
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএসইসির দোয়া মাহফিল
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কমিশনের সকল গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কমিশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর সূচনা হয় জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ, নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ এবং বিএসইসির মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি- ২০২৪ এর সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কমিশনের অন্যান্য কর্মচারীগণ অনলাইনে জুম ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ ও নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা হয়। এছাড়াও সভায় মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের আত্মত্যাগসহ সকলের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার শান্তি এবং দেশের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ উপস্থিত সকলে উক্ত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। একইসাথে এদিন ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বিএসইসির পক্ষ হতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমল: শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিও বেড়েছে ১২৪৭৮টি, ৩৩৭ বিদেশি বিও বন্ধ
দেশের শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা। গত কয়েক মাস ধরে বিদেশিদের পুঁজিবাজার ছাড়ার যে ধারা চলছে তা এখনো থামেনি। হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ চালানোর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চার মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৩৩৭টি। বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই মিছিল চলছে গত বছরের নভেম্বর থেকে। দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমলেও হাসিনা সরকার পতনের পর স্থানীয় তথা দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত চার মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। অবশ্য চলতি বছরের শুরুর তুলনায় বর্তমানে শেয়াবাজারে প্রায় ১ লাখ বিও হিসাব কম রয়েছে। বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। এই সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ১৩ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিও হিসাবে বেড়েছে ১২ হাজার ৪৫১টি। অন্তর্বর্তী সরকার যেদিন দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয়, সেদিন বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫টি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে তিনি দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান। সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে এই সরকারের চার মাস পার হয়েছে। হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে পতনের পাল্লা ভারী হয়েছে। শেয়ারবাজারে মন্দা দেখা দিলেও বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য সার্বিকভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ৪৬ হাজার ৭৪৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৮৪টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ৪৭ হাজার ৮১টি। অর্থাৎ বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কমেছে ৩৩৭টি। বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই প্রবণতা চলছে আরও আগে থেকেই। গত বছরের নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব কমছে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এরপর ওই বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫৫ হাজার ৩৪৮টিতে। এ হিসাবে চলতি বছরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ৮ হাজার ৬০৪টি। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কম আছে ৮ হাজার ৭৬৮টি। বিদেশিদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও সরকার পতনের পর স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ১৩৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৩ হাজার ৮২২টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৫৮টি। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১২ হাজার ৪৭৮টি। হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেলেও তার আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। অর্থাৎ চলতি বছরে বিও হিসাব কমেছে ৯২ হাজার ১০৫টি। এদিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ২৮৮টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪টি। অর্থাৎ হাসিনা সরকার পতনের পর পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ১১ হাজার ৮৫৪টি। অপরদিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫৯২টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৪৭২টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ১২০টি। হাসিনা সরকার পতনের পর নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ১৫২টি। সে হিসাবে গত চার মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ৪১৪টি। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৬টি, যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭টি। অর্থাৎ গত চার মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ১৪ হাজার ৬৮৯টি।অপরদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৯টি। অর্থাৎ গত চার মাসে যৌথ বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৭১৫টি।

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠান লে-অফ ঘোষণা
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কোম্পানিগুলোতে অর্ডার না থাকায় এবং কোম্পানির নামে ব্যাংকে পর্যাপ্ত ঋণখেলাপি থাকায় আর পরিচালনা করা সম্ভব না। তিনি জানান, বেক্সিমকো টেক্সটাইল লিমিটেড এবং গার্মেন্টসের ১৬টি ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের বর্তমানে কারখানায় কোনো কাজ না থাকার কারণে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক লে-অফ থাকবে। লে-অফ চলাকালীন সময়ে শ্রমিকদেরকে আইন অনুযায়ী মজুরি প্রদান করা হবে। লে-অফ থাকাকালীন শ্রমিকের স্বশরীরে কারখানায় এসে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল মালেক রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা , বাণিজ্য উপদেষ্টা , অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, বেক্সিমকো লিমিটেডের রিসিভার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা চেম্বারের নতুন সভাপতি তাসকীন আহমেদ
২০২৫ সালের জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাসকীন আহমেদ। বর্তমানে তিনি দেশের খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। একইসঙ্গে রাজীব এইচ চৌধুরী এবং মো. সালিম সোলায়মান যথাক্রমে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বারের ৬৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাসকীন আহমেদকে আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ডিসিসিআইর নব-নির্বাচিত অন্যান্য পরিচালক হলেন— এনামুল হক পাটোওয়ারী, মো. মোস্তফা কামাল, মিনহাজ আহমেদ, মোহাম্মদ জমশের আলী, রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম এবং সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম। ঢাকা চেম্বারের নব-নির্বাচিত সভাপতি তাসকীন আহমেদ ১৯৯৯ সালে তার পারিবারিক ব্যবসায় যোগদান করেন এবং তার দীর্ঘ ২৫ বছরের কর্মজীবনে, তিনি ইফাদ গ্রুপের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক ইউনিটের নেতৃত্ব প্রদান করেন। এছাড়া তিনি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি এবং বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএএমএ) ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনে সম্পৃক্ত থাকাকালে তিনি আঞ্চলিক ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে দৃঢ় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ের স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

চলতি মাসে প্রবাস থেকে এলো ১৩৮ কোটি ডলার
ডিসেম্বর মাসের প্রথম দুই সপ্তাহেই দেশে এসেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যার প্রতিদিনের গড় ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত নভেম্বর ও অক্টোবরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১০৯ কোটি ৭৬ লাখ ও ১১২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৬ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সবশেষ নভেম্বরে এসেছে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা বিপিএর
দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ দশটি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এসব দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোণা দেয় সংগঠনটি। এ দিকে, বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিম ও মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ সময় এসব দাবি তুলে বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। বিজ্ঞপ্তিতে ‘বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বার বার বলার পরও নজর দিচ্ছে না। উল্টো করপোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি, যেন দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারেন। বর্তমানে করপোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে, প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই সংকট দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বার বার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সহযোগিতা করছে। তাই, আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি ‘ ‘বিপিএ’র দশ দফা দাবি: করপোরেট কোম্পানিগুলোকে শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকার নিয়ম করতে হবে। কারণ, বর্তমানে করপোরেট কোম্পানিগুলো ডিম ও মুরগি উৎপাদনেও অংশ নিচ্ছে, যার ফলে ছোট খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না; বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে; ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে; প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে; ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে; আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে প্রান্তিক খামারিদের জন্য; সরকারি নীতিমালা তৈরি করে করপোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; চুক্তিভিত্তিক ফার্মিংয়ের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে ও প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে হবে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪১১তম পর্ষদীয় সভা অনুষ্ঠিত
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরমান আর চৌধুরী, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁঞা ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৪০৩তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
শরি‘আহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪০৩তম সভা অনুষ্ঠিত। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। সভায় অংশ নেন ব্যাংকের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, পরিচালক অশোক কুমার সাহা, ফিরোজুর রহমান, এসএএম হোসাইন, মোহাম্মদ শামসুল আলম, গুলজার আহমেদ, মো. জাহেদুল হক, ফেরদৌস আলী খান, একেএম আবদুল আলীম, মো. আবুল হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. সিদ্দিকুর রহমান, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান।

সাবিককে দুই বছর আগেই জরিমানা করা উচিত ছিল
বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আরও দুই বছর আগে জরিমানা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলশান ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য বলেন। অনুষ্ঠানে সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, চুরি-দুর্নীতি বহু দেশেই ঘটে। কিন্তু, বাংলাদেশের মত দুর্নীতি সচরাচর দেখা যায় না। তিনি বলেন, ‘কর কমানো হলেও নিত্যপণ্যের বাজারে দাম কমছে না এবং চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হলেও তা বন্ধ হয়নি।’ তিনি সাকিব আল হাসানের পুঁজিবাজারে কারসাজির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘সাকিব আল হাসানকে দুই বছর আগেই জরিমানা করা উচিত ছিল।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক তদন্তে সাকিব আল হাসানের নাম শেয়ার কারসাজির সঙ্গে যুক্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

২৩ ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকোর দায়-দেনা সাড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা
১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকোর ৫০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দায়-দেনা আছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বেক্সিমকোর ১৮৮ কোম্পানির মধ্যে ৭৮ কোম্পানি ঋণ সুবিধা নিয়ে পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ হাজার ৫০০ কোটি দায়-দেনা আছে।এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো ব্যবস্থাপনায় ‘রিসিভার’ নিয়োগ করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে তা স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়।গেল ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত করে তা ব্যবস্থাপনায় তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এখন কারাবন্দি। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা কমবে: অর্থ উপদেষ্টা
আগামী অর্থ বছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা কমানো হবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এ প্রণোদনা সারা জীবন দেয়া সম্ভব নয়।’ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গুলশানের একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলন তিনি কথা বলেন।সম্মেলনে উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘যৌক্তিক কর ব্যবসায়ীদের দিতে হবে। সারা জীবন প্রণোদনা দেয়া সম্ভব না। আগামী অর্থ বছরের বাজেটে প্রণোদনা কমানো হবে।’ট্যাক্স সিস্টেমকে রিফর্ম করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স পলিসি ও ট্যাক্স ইমপ্লিমেন্টেশন আলাদা করা হবে।’এর আগে, একই অনুষ্ঠানে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজনীতির পথরেখাকে কতটা সুগম করতে পারব, তার পুরোটা নির্ভর করবে কতটা অর্থনৈতিক স্বস্তি দেয়া হচ্ছে তার ওপর। সব সংস্কারের আগে অর্থনৈতিক সংস্কার কতটা স্বল্প সময়ে করা যায়, তা ভাবা বেশি জরুরি।’এ জন্য মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। বিনিয়োগ হয় দীর্ঘ মেয়াদের ওপর। এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর বিনিয়োগগুলো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আনতে পারবো কিনা তা নিশ্চিত করা দরকার।’বিদেশি কোম্পানিগুলো তেল আহরণে আগ্রহ দেখালেও চুক্তি করতে চাচ্ছে না বলেও জানান দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে এগোনোর পথ সুগম করতে হবে।’

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন
ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) আয়োজিত ১৬০তম ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) একাডেমির মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও আইবিটিআরএ’র প্রিন্সিপাল কেএম মুনিরুল আলম আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ জুবায়েরুল হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান মিজি, এনএসএম রেজাউর রহমান ও মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন কাওসার। বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ইন্টার্নশিপ কোর্সে অংশ নেন।

এনসিসি ব্যাংক ও জেনারেল ফার্মার মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং সেবা চুক্তি
এনসিসি ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি জেনারেল ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা সংক্রান্ত পেরোল ব্যাংকিং বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে জেনারেল ফার্মার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এনসিসি ব্যাংকের পেরোল ব্যাংকিংয়ের আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত যেকোনো শাখা ও উপ-শাখার মাধ্যমে দ্রুততার সাথে নগদ লেনদেন ও বিশেষ আর্থিক সেবা পাবেন। এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন এবং জেনারেল ফার্মার পরিচালক রাফিদুল হক ও সাকিবুল হকের উপস্থিতিতে এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম এবং জেনারেল ফার্মার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোঃ শাহীন হাসান স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময়, এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক- মোঃ রাফাত উল্লা খান, মোঃ জাকির আনাম, মোঃ মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসইভিপি ও সিআইও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, এসভিপি ও শ্যামলী শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দীন, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান শাহীন আক্তার নুহা এবং জেনারেল ফার্মার মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন সিদ্দীকসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিকদের বেতন দিতে আইন শিথিল, জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে বেক্সিমকো
দেশের আলোচিত শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন দিতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরি মধ্যে গ্রুপটি এরই মধ্যে ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া একক ঋণগ্রহীতার সীমাও অতিক্রম করেছে। ফলে নতুন করে তাদের আর ঋণ পাওয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা থেকে জনতা ব্যাংককে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১২ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে বেক্সিমকোকে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকটি। এদিকে তারল্যসংকট ও আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংক রেটে (সুদে) ৫ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা ধার চেয়েছে জনতা ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যাংকটি সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মূলধনের জোগান চেয়েছে। জানা গেছে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আওতাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি পর্যালোচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভা গত ২৮ নভেম্বর শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ইউনিটগুলোতে নিযুক্ত শ্রমিকদের আগামী তিন মাসের বেতন পরিশোধে প্রয়োজনীয় অর্থসহায়তা দেবে জনতা ব্যাংক। তবে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় এবং একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম করায় বেক্সিমকোকে আর ঋণ দেওয়ার সুযোগ নেই জনতা ব্যাংকের। পাশাপাশি ব্যাংকটি তারল্যসংকটে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জনতা ব্যাংক চিঠি দিয়ে আইনের ধারা থেকে অব্যাহতি ও ঋণ বিতরণের অনুমতি চেয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে বর্তমানে জনতা ব্যাংকে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা, যা খেলাপি হয়ে পড়েছে। চিঠিতে জনতা ব্যাংকের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় ব্যাংকের ৬০ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বা ৬১ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হচ্ছে। তহবিল সংকট কাটাতে ও আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে ব্যাংক রেটে (সুদে) ৫ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার কোটি টাকা মূলধনও চেয়েছে ব্যাংকটি। এমন পরিস্থিতিতে বেক্সিমকো গ্রুপকে ঋণ দিতে জনতা ব্যাংকের জন্য ব্যাংক আইনের দুটি ধারা শিথিলের অনুমতি প্রদান করা হয়। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়। প্রতি মাসে বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে তিন মাসের বেতন দিতে ১৮০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে যে সুসংবাদ দিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি যখন দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে তখন এই মূল্যস্ফীতি নিয়ে সুসংবাদ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। গভর্নর বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা। আমরা আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে এটিকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনব এবং আমি আশা করি, এটি সম্ভব হবে। আমরা এ লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি।’ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বেড়ে অক্টোবর ২০২৪ সালের ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই বৃদ্ধি প্রধানত খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে হয়েছে, যা অক্টোবরের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে নভেম্বরে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়াও, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হারও সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে নভেম্বরে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ড. মনসুর বলেন, ‘বন্যার কারণে প্রায় সারাদেশে খাদ্যশস্য ও সবজির উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম চড়া। এটা শীঘ্রই নেমে আসবে। আমরা যদি মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারি। তাহলে আমরা ব্যাংকের সুদের হার এবং নীতির হার কমিয়ে আনব।’ গভর্নর বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। আমরা দেখেছি যে মূল্যস্ফীতি একটি কাঙ্ক্ষিত স্তরে নামিয়ে আনতে কমপক্ষে ১২ মাস সময় লাগে। সুতরাং, এর জন্য আমাদের সেই নির্দিষ্ট সময়টা দিতে হবে।’ ড. মনসুর বলেন, যদিও মুদ্রানীতি কঠোর করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ন্ত্রণেও রাজস্ব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি এখনো কমেনি। গভর্নর বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই মুদ্রানীতি অত্যন্ত কঠোর করেছি। আমরা নীতি হার বাড়িয়েছি। আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমি মনে করি, জানুয়ারির তথ্য না আসা পর্যন্ত আমি দেখব। এ পর্যন্ত এটি হতাশাজনক ছিল।’ এসব ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বিগত সরকার তথ্য-উপাত্তে হেরফের করেছে বলে দুটি কারণে এমন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘এখন আর কোনো বাধা নেই। সুতরাং, গত বছর কম ছিল, এই বছরটি বাস্তব এবং আমরা এই সময় অর্থনৈতিক নীতি কঠোর করার প্রক্রিয়াগুলোতে অর্থনীতির প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। এ ছাড়াও, মুদ্রানীতি কঠোর করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল এবং চিনির মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের আমদানি শুল্কও প্রত্যাহার করেছে সরকার।’ সূত্র: বাসস

শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৯ দিনে ভারত থেকে চাল এল ৩৫ হাজার ৪৩ টন
সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে ২৯ দিনে ৯৬৯ ট্রাকে ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়েছে। দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর গেল ১৩ নভেম্বর চালের প্রথম চালান আসে এই বন্দরে। এভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে বলে দাবি আমদানিকারকদের। তবে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘চাল আমদানির প্রভাব এখনো সাতক্ষীরার চালের বাজারগুলোতে পড়েনি।’ ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে চলতি অর্থব ছরের ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়। যার আমদানি মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা। আমদানিকৃত এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন বাসমতি, মিনিকেট ও মোটা স্বর্না এবং জামাইবাবু জাতের চাল। ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশন রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল বসর বলেন, ‘ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬৯টি গাড়িতে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩ টন। সরকার যেহেতু চালের ওপর ডিউটি ফ্রি করে দিয়েছে যার জন্য এখানে কোন রাজস্ব আদায় হয়নি।’ উত্তরবঙ্গের চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ভারত সরকার চাল রপ্তানি শুরু করার পর থেকে অন্যান্য বন্দরের পাশাপাশি ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। তবে, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে কেবল আমদানি শুরু হয়েছে। এখনো তেমন প্রভাব পড়তে শুরু হয়নি দেশের চালের বাজারগুলোতে।’ সাতক্ষীরা জেলা সদরের বৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চিকন বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৭৮ টাকা, চিকন আটাশ জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৮-৫৯ টাকা ও মোটা জাতের চাল ৪৮-৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এ ছাড়া, আমদানিকৃত মোটা স্বর্ণা ও জামাইবাবু জাতের চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। তবে, ভারতীয় চাল আমদানিতে দেশি চালের বাজারে এর কোনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি। সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান সাতক্ষীরার চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে, ভারত থেকে চাল আমদানি শুরুর কারণে শিগগিরই চালের বাজার কমতির দিকে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।

কমল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে টানা দুই দফা বাড়ানোর পর ফের স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভাল মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গেল ১ ডিসেম্বর সোনার দাম কমানো হয়। পরে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ও বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুই দফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়।

মাথাপিছু জিডিপিতে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের চেয়ে গড়ে বেশি আয় করেন বাংলাদেশের মানুষেরা। আয়ের ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। অথচ দুই দশক আগেও ভারত ও পাকিস্তান বেশ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের চেয়ে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘করোনা মহামারী ও বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থবির হলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার একেবারে নেতিবাচক ধারায় যায়নি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তবে তা ছিল ধীরগতির। এ দিকে, জাতীয় মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে গত দুই যুগের ব্যবধানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার থেকে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বহু স্বল্প আয়ের দেশ ঋণ সংকটে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে, তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি সাড়ে চার শতাংশে নেমে আসে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে তা আরও কমে তিন দশমিক চার শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তী দুই বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গতি অর্জন করে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে তা বেড়ে সাত দশমিক এক শতাংশে দাড়ায়। কিন্তু, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ফের ধীর হয়ে আসে।’ চলতি অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির হার চার শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। এ দিকে, বিশ্ব ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিশ্ব ব্যাংক ৬৩টি দেশকে নিম্ন আয়ের হিসাবে শ্রেণিভুক্ত করেছিল। এরপর থেকে, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ ৩৯টি দেশ মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় ওঠে আসে। যার অর্থ ২০২৩ সাল নাগাদ তাদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় এক হাজার ১৪৫ ডলারের উপরে ছিল। বাকি দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার প্রত্যাশিত হয়নি। প্রবৃদ্ধির হারে টেকসই হওয়ায় নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মধ্যে মাত্র ছয়টির ২০৫০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ বছরে অগ্রগতির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দেশগুলো এগিয়ে গেছে। এসব নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের আসন্ন গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস রিপোর্টে বিস্তারিত তুলে ধরবে। যা আগামী ১৪ জানুয়ারী প্রকাশিত হবে।’ প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চার বছর ধরে ভারতের ওপরে বাংলাদেশ। মাথাপিছু জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ক্ষেত্রে টানা চার বছর ধরে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। আইএমএফের সর্বশেষ হিসাবে, ২০২৩ সালে এসে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬২১ ডলার। আর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি দুই হাজার ৬১২ ডলার। ২০২০ সালে প্রথম বারের মত মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল এক হাজার ৮৮৮ ডলার। আর ভারতের ছিল এক হাজার ৮৭৭ ডলার। এ দিকে, ২০১৬ সালে প্রথম বারের মত পাকিস্তানকে মাথাপিছু জিডিপিতে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ। ওই বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৬৫৯ ডলার। পাকিস্তানের ছিল এক হাজার ৪৬৮ ডলার। এরপর আর কোন বছর পাকিস্তান বাংলাদেশকে ছাড়াতে পারেনি। মাথাপিছু জিডিপি ওঠানামার মধ্যে ছিল দেশটির। সর্বশেষ ২০২৩ সালে এসে পাকিস্তানের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়ায় এক হাজার ৪৭১ ডলার। ক্রয়ক্ষমতায় পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে, ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ভুটানের মাথাপিছু জাতীয় আয় ৭২০ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৭৪০ ডলার। ওই সময়ে দেশটির মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৪১৯ শতাংশ। মায়ানমারের মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০০০ সালে ছিল ১৯০ ডলার। গত বছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে এক হাজার ২১০ ডলারে। ওই সময়ে দেশটির মাথাপিছু জাতীয় আয় বেড়েছে ৫৩৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে নেপালের মাথাপিছু জাতীয় আয় ২২০ ডলার থেকে বেড়ে এক হাজার ৩৭০ ডলার হয়েছে। ওই সময়ে দেশটির আয় বেড়েছে ৫২৩ শতাংশ। পাকিস্তানের মাথাপিছু জাতীয় আয় ৪৭০ ডলার থেকে বেড়ে এক হাজার ৫০০ ডলার হয়েছে। দেশটির আয় বেড়েছে ২১৯ শতাংশ। আগানিস্তানের মাথাপিছু জাতীয় আয় গত বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০ ডলার।

ডিভিডেন্ড বিতরণে ব্যর্থতায় জরিমানার মুখে নয় কোম্পানির পরিচালকরা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়টি কোম্পানির পরিচালকরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণে ব্যর্থ হওয়ায় জরিমানার মুখে পড়ছেন। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিগুলোকে ডিভিডেন্ড বিতরণ করার জন্য সর্বশেষ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেও তারা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ডিভিডেন্ড পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিধায় কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জরিমানা আরোপ করছে বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হল বিডি পেইন্টস, ওরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিং মিলস, মামুন এগ্রো প্রোডাক্টস, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), কৃষিবিড ফিড, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, প্যাসিফিক ডেনিমস ও কৃষিবিদ সীড। বিএসইসি জানিয়েছে, দুই বছর আগে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু, সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত ডিভিডেন্ডের অর্থ কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করেনি।’ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ও শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিএসইসি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিভিডেন্ড বিতরণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের (স্বাধীন পরিচালক ব্যতীত) জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও কমিশন কোম্পানিগুলোকে ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য একটি সময়সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছিল। যা ছিল ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪। যদি ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কোম্পানির পরিচালকরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডিভিডেন্ড বিতরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের ওপর দশ লক্ষ টাকা থেকে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। আর যদি আরোপ করা জরিমানার অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না হয়, তাহলে প্রতিদিন তাদেরকে দশ হাজার টাকা করে বাড়তি জরিমানা আরোপ করা হবে। ডিভিডেন্ড বিতরণের নিয়ম: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্তির বিধি অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে ঘোষিত বা অনুমোদিত ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে হয়। যদি কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর পরিচালকরা যৌথভাবে ও একযোগে দায়বদ্ধ হবেন এবং তাদেরকে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ডিভিডেন্ড বিতরণে ব্যর্থ হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিডি পেইন্টসের পরিচালকদের ৯৭ লাখ টাকা, ওরিজা এগ্রো ৪৭ লাখ টাকা, সাফকো স্পিনিং ২০ লাখ টাকা, পেসিফিক ডেনিমস ১৩ লাখ টাকা, লুব-রেফ দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা, মামুন এগ্রো ১৩ লাখ টাকা, কৃষিবিদ ফিড দশ লাখ টাকা, কৃষিবিদ সীড দশ লাখ টাকা ও অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন এক কোটি ৯১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।

বিসিসিএমইএর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিসিসিএমইএ) বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) হোটেল ফারস্ এন্ড রিসোর্ট ঢাকায় এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া হয়। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হক আব্বাসী। সভায় ‘বিসিসিএমইএ’র সদস্যরা ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও বর্তমান পরিচালনা সহায়ক কমিটির সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন ও বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। জিয়াউল হক সভায় সঞ্চালনা করেন ও আবুল কালাম আজাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তিন ধরনের লোক বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে লুটপাটে জড়িত: অধ্যাপক তামিম
বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে একক ক্ষমতাবলে কুক্ষিগত করে রেখে সীমাহীন দুর্নীতি করা হয়েছে। রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীরাই- এই দুইটি খাতে লুটপাটে জড়িত। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম।অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিযোগিতা ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেয়া হয়েছে। কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে একক ক্ষমতা চরম অপব্যবহার করা হয়েছে। পিডিবি বিদ্যুৎ কেনা, সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ হয় এককভাবে। আমলা, রাজনীতিবিদরা এই একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে সুবিধাভোগ করে। নিজস্ব ক্ষমতা সম্পন্ন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দরকার। যার মাধ্যমে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব।’আইন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয় না উল্লেখ করে এই অধ্যাপক বলেন, ‘মাফিয়ারা আইনের মাধ্যমেই চুরি করেছে। কিছু ক্ষেত্রে আইনের ফাঁক রয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া দরকার। তাহলে পরবর্তী কেউ এমন করার সাহস পাবে না। এ জন্য শপথ নিতে হতে হবে তরুণদের।’‘শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে তিন বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত মুনাফা দেখানো হয়েছে। কাগজ-কলমের মাধ্যমে আমরা দেখিয়েছি। কিন্তু, কাগজের বাইরে যে লুটপাট হয়েছে, তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়। বললেন ম তামিম।তিনি বলেন, ‘আদানির প্রজেক্টে কয়লার মূল্য বহু বেশি ধরা হয়েছে। বাকি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রে কয়লার দাম বহু কম। ১০০ শতাংশ ক্যাপাসিটি চার্জ তো দিতে হবেই, সঙ্গে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দাম দিতে হবে, ব্যবহার না করলেও। অন্যান্য ক্ষেত্রে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দিলেই চলে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তেলবিদ্যুতের বিকল্প ছিল। কিন্তু, ২০১২-১৩ সালের পর কুইক রেন্টাল প্রয়োজন ছিল না।’ডোমেস্টিক সেক্টরে মূলত গ্যাস চুরি হচ্ছে উল্লেখ করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সার্বক্ষিণিক ব্যবহার করছে দুই চুলা এক হাজার ৪০০ টাকায়। দুই সিলিন্ডার ব্যবহারে লাগে ২৮ হাজার। তফাত কম হলে চুরি কম হত। যেহেতু পার্থক্য বেশি, সেহেতু অবৈধ সংযোগে ঝোঁক বেশি। এটি বন্ধ করতে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার।’ তিনি বলেন, ‘বিপিসি বাংলাদেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে সরকারি স্বার্থ জড়িত। লস দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতানোর কারণে একে অস্বচ্ছ রাখা হয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ বিইআরসির হাতে দেয়া উচিত। বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার দরকার আছে, কিন্তু তা অবশ্যই ন্যায্যতার ভিত্তিতে।’

বরিশালে ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বরিশালের হোটেল গ্র্যান্ড পার্কে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। সম্মেলনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, খুলনা ও শরীয়তপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, খুলনা ও শরীয়তপুর অঞ্চলের শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, অপারেশনস ম্যানেজারগণ ও উপশাখা ব্যবস্থাপকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আবদুল আউয়াল মিন্টু ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে সব স্তরের কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বিশেষভাবে শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়, নতুন আমানত সংগ্রহ ও গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মো. তৌহিদুল আলম খান শাখাগুলোকে রেমিটেন্স গ্রাহকদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সব গ্রাহকের কাছে নতুন ও আকর্ষণীয় ডিপোজিট পণ্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সৌদিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলের সাথে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মিয়া মো. মাইনুল কবিরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেসব সমস্যা মোকাবেলা করছেন এবং ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা, ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফুল আলমসহ ব্যাংকের সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এনআরবি ব্যাংকে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
এনআরবি ব্যাংক পিএলসি. কর্মীদের মধ্যে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এএমএল এন্ড সিএফটিকনফারেন্স-২০২৪ আয়োজন করেছে। আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এ,কে,এম, এহসান, হেড অফ বিএফআইইউ (এক্টিং) এবং সভাপতিত্ব করেন এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাকির আমীন চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্যামেলকো আনোয়ার উদ্দিন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও মো. শাহীন হাওলাদার, উপ-ব্যবস্থাপনাপরিচালক ও সিআরও মো. আলী আকবর ফরাজি। বিএফআইইউ-এর যুগ্ম পরিচালকদ্বয় জনাব মো. ইমতিয়াজ হারুন এবং ইবনে আহসান কবির রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রতিদিনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নবিষয়ক করণীয় এবং বর্জনীয় নিয়ে তাদের আলোচনা উপস্থাপন করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যামেলকো, ডামেলকো, হেড অফ ডিভিশন ও শাখা প্রধানগণ।