
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুজিবাজার কেন্দ্রিক শিক্ষা ও কর্মশালার আয়োজন
পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক একাডেমী শিক্ষা ও সচেতনতামূলক ধারাবাহিক কর্মশালার অংশ হিসাবে আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর অধ্যাপক এবং স্কুল অব বিজনেসের ডিন সারওয়ার উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৪০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাকিব হাসান সিদ্দিকী। প্রথমেই তাঁরা ডিএসই’র অফিস পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্ক অবহিত হন। পরে পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক একাডেমিক শিক্ষা সচেতনতামূলক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র উপ মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি পুঁজিবাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামী দিনের পুঁজিবাজার কেন্দ্রীক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিবে। এই জন্য ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন শিক্ষা সচেতনতামূলক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের জ্ঞানতে সমৃদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়াও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার পূর্বে যথাযথ জ্ঞান অৰ্জন করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য ডিএসই নিয়মিত বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আজকের এই অনুষ্ঠান ডিএসই’র নিয়মিত পরিচালিত বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের একটি অংশ। আর পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য সুশাসন বৃদ্ধি করার কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে পুঁজিবাজারের সুশাসন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার ফলাফল আগামীতে দেখতে পাওয়া যাবে।’ পরবর্তীতে তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও সাত্বিক আহমেদ শাহ্, মহাব্যবস্থাপক (বাজার উন্নয়ন বিভাগ) ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোঃ ছামিউল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।

ভারত থেকে সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আনছে সরকার
ভারত থেকে আমদানি করা ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ভিসিটি ওশান জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। জাহাজে রাখা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিজনেস এলিট ফোরটি আন্ডার ফোরটি’ পেলেন বাংলাদেশি কাদের
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিজনেস এলিট ফোরটি আন্ডার ফোরটি’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা মুহাম্মদ কাদের। তিনি একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান এবং অল কাউন্টি হেলথকেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান। জানা যায়, বিজনেস এলিট অ্যাওয়ার্ডস বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান এবং উৎসাহী নেতৃত্বের উদযাপন করে এবং তাদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য একটি পেশাদারী উদ্বোধন প্রদান করে। এর মর্যাদাপূর্ণ এবং উত্তম পুরস্কার কর্মসূচি সবচেয়ে সফল ব্যবসায়িক নেতাদের প্রতিভা এবং সম্ভাবনা চিহ্নিত করে এবং তাদের নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে। এই ইভেন্টগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যবসাগুলোর সম্প্রসারণ এবং বৃদ্ধির জন্য সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়।২০২৫ সালে বিজনেস এলিট অ্যাওয়ার্ডস তাদের ৪০টি হোনোরি ঘোষণা করেছে, যাদের বয়স ৪০ এর নিচে। তবে তাদের অর্জন, ব্যবসায়িক ধারণা, চিন্তাধারা, উদ্ভাবন এবং ব্যবসার বৃদ্ধি এমনভাবে এগিয়ে, যা দেশব্যাপী অন্যান্য ৪০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের মধ্যে একজন হলেন মুহাম্মদ কাদের। তাকে ২০২৫ সালের বিজনেস এলিট ৪০ আন্ডার ৪০ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।মুহাম্মদ কাদেরের নাম বিজনেস এলিট অর্গানাইজেশন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজে ঘোষণা করেছে। তার নির্বাচনের ফলে প্রমাণি হয়েছে, তার নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং ব্যবসায়িক কৌশল স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। অল কাউন্টি হেলথকেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে কাদের তার নেতৃত্বে কোম্পানিটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার উদ্ভাবনী চিন্তা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে কার্যকরভাবে উন্নত করেছে এবং রোগীদের সেবা আরও উন্নত করেছে।বিজনেস এলিট অ্যাওয়ার্ডসের এই পুরস্কারটি কেবল প্রতিভাবান নেতাদের সম্মাননা জানানোই নয়, বরং তাদের জন্য একমাত্র প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে যা ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ এবং ভবিষ্যত বৃদ্ধির জন্য সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক। বিজনেস এলিট ৪০ আন্ডার ৪০ পুরস্কার বিজয়ীরা একে অপরের সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সহযোগিতার সুযোগ লাভ করে এবং তাদের ব্যবসায়িক যাত্রার জন্য নতুন দিকনির্দেশনা পেতে পারেন।২০২৫ সালের মে মাসে বিজনেস এলিট অর্গানাইজেশন একটি বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করবে, যেখানে তারা ৪০ জন নির্বাচিত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। এই অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা তাদের সফলতার গল্প শেয়ার করবেন এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ পাবেন।মুহাম্মদ কাদেরের বিজনেস এলিট ৪০ আন্ডার ৪০ পুরস্কারে নির্বাচিত হওয়া শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। তিনি একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে প্রমাণ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম, উদ্ভাবনী চিন্তা ও নিরলস প্রচেষ্টা দিয়ে যে কেউ পৃথিবীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এবং সফল হতে পারেন।এটি শুধু কাদেরের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের জন্যও একটি বড় অর্জন, যারা এখন বিশ্বের ব্যবসায়িক দুনিয়ায় নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি’র ৪০৭তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
শরি‘আহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি’র পরিচালনা পর্ষদের ৪০৭তম সভা বুধবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। সভায় অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম আবদুল আলীম, সম্মানিত পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, সম্মানিত পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান কামাল মোস্তফা চৌধুরী, সম্মানিত পরিচালক অশোক কুমার সাহা, ফিরোজুর রহমান, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামসুল আলম, গুলজার আহমেদ, মোঃ জাহেদুলহক, অসিত কুমার সাহা, জাহিদুল আলম এবং স্বতন্ত্র পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ। সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোঃ মিজানুর রহমান, এফসিএস।

ইসলামী ব্যাংক খুলনা জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির খুলনা জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) খুলনার শিল্পকলা একাডেমি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান এ কে এম মাহবুব মোরশেদ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ ও খুলনা জোনপ্রধান মুহাম্মদ কামরুল বারী ইমামী। সম্মেলনে খুলনা জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাংক। এ ব্যাংক দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করেছে। সারাদেশে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৬৫০০ ইউনিট নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করছে। এজেন্ট ব্যাংক প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাধারণ মানুষ এখন গ্রামে বসেই সহজে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যেই এজেন্ট ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি সততা ও দক্ষতার সাথে যথাযথ নিয়মাচার পরিপালন করে সেবা প্রদান করার জন্য এজেন্ট মালিকদের প্রতি আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংকে আড়াই কোটি মানুষের আমানত রয়েছে। এ ব্যাংকে নতুন ১৭ হাজার কোটি টাকার ডিপোজিট এসেছে। যার ২৫% ডিপোজিট সংগৃহীত হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে। তিনি এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন। সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ করা হয়, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক দেশের ৪৭৩টি উপজেলায় ২৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকসংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। দেশের মোট এজেন্ট ব্যাংকিং আমানতের ৩৯% এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ৫৬% এককভাবে ধারণ করছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং। শুধু ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ২২৭৭ কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট এবং ১৭ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে।

এনসিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
এনসিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা প্রধান ও রিলেশনশীপ ম্যানেজারদের ব্যবসাপর্যালোচনা সভা সম্প্রতি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাকির আনাম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইভিপি ও হেড অব ক্রেডিট এডমিনিষ্ট্রেশন ডিভিশন সাইফ উদ্দিন আহমেদ, ইভিপি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান আলী তারেক পারভেজ এবং এসভিপি ও হেড অব এসএমই বিজনেস শরীফ মোহাম্মদ মহসীনসহ উক্ত অঞ্চলের ২৫টি শাখা ও ১টি উপশাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দ ও এসএমই রিলেশনশীপ ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন, ব্যবসায়ের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উন্নয়নেরউপর গুরুত্বআরোপ করেন এবং শাখা প্রধান ও রিলেশনশীপ ম্যানেজারদের চলতি বছরের বিবিধচ্যালেঞ্জিং অবস্থাতেও বিভিন্ন সম্ভবনাময় ক্ষেত্রসমূহে নতুন নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণেরকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

রোজায় পুঁজিবাজারে লেনদেন ১০টা থেকে ১টা ৪০
রোজায় দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেনের নতুন সূচি নির্ধারণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিএসই বলেছে, রোজায় সকাল ১০টা থেকে থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলবে; এরপর ১০ মিনিট হবে ‘পোস্ট ক্লোজিং সেশন’। তবে ডিএসই দাপ্তরিক কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। রমজান মাস এবং ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির পর ডিএসই অফিস ও লেনদেনসূচি স্বাভাবিক সূচিতে ফিরবে। সাধারণ সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট পোস্ট ক্লোজিং সেশন থাকে। আর অফিসসূচি থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। রোজায় সরকারি অফিসের কাজের সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে ২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হতে পারে।

১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, আসামি ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ৪৬ জন
গ্রাহকের ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইস্টার্ন ব্যাংকের (ইবিএল) চেয়ারম্যান মো. শওকত আলি চৌধুরী প্রকাশ ডিসকো শওকত এবং ব্যাংকটির কর্মকর্তাসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মো. মুর্তজা আলী নামে এক ব্যবসায়ী। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী মো. মুর্তজা আলী একজন ব্যবসায়ী এবং ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, পরিচালক এম গাজিউল হক, সেলিনা আলি, আনিস আহমেদ, মুফাক্কারুল ইসলাম খসরু, গাজী মো. সাখাওয়াত হোসাইন, কে জে এস বানু, জারা নামরীন, ড. তাওফিক আহমেদ চৌধুরী, রুসলান নাসির, কে এম তানজিব উল হক, খন্দকার আতিক-ই রাব্বানী, মাহরীন নাসির, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদী জামান, রিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী, এম খোরশেদ আনোয়ার, মাহমুদুন নবী চৌধুরী, এম খোরশেদ আলম, মহিউদ্দিন আহমদ, ইউনিট হেড মো. ওবাইদুল ইসলাম, মাহদিয়ার রহমান, মো. মাইনুল হাসান ফয়সাল, ট্রানজেকশন ব্যাংকিং হেড মো. জাবেদুল আলম ও হেড অব কর্পোরেট বিজনেস সঞ্জয় দাশ। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে, ব্যাংকটির হেড অব প্ল্যানিং আশরাফ উজ জামান, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মাসুদুল হক সরদার, হেড অব ট্রেড অপারেশন মো. মোকাদ্দাস, হেড অব ব্যাংকিং মো. জাহিদ হোসাইন, হেড অব বিজনেস সৈয়দ জুলকার নাইন, হেড অব ডিজিটাল ফিন্যান্স আহসান উল্ল্যাহ চৌধুরী, চিফ টেকনোলজি অফিসার জাহিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আবদুস সালাম, হেড অব কমিউনিকেশন জিয়াউল করিম, হিউম্যান রিসোর্সের প্রধান মনিরুল ইসলাম, হেড অব বিজনেস ইনফরমেশন মাসকুর রেজা, হেড অব ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট মোস্তফা সরওয়ার, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, চান্দগাঁও শাখার ব্যবস্থাপক পারভেজ আলম, নিজাম উদ্দিন, ওআর নিজাম রোড শাখার ব্যবস্থাপক গোলাম মাইনুদ্দিন, কর্পোরেট এরিয়া হেড ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী এম এ কিউ সরওয়ার এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অডিট প্রধান মো. রেজাউল ইসলামকে। মামলায় এজাহারে বাদী মো. মুর্তজা আলী উল্লেখ করেন, তিনি ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক। ২০১৭ সালে তিনি ইস্টার্ন ব্যাংকের ও আর নিজাম রোডের শাখায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়ী হিসেবে জমা করেন। কিন্তু ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী সঞ্চয়ী হিসাবের ওপর ৭ শতাংশ মুনাফা পাওয়ার কথা থাকলেও ব্যাংক সেটা দেয়নি। পরে ব্যাংকে থাকা অর্থের পরিমাণ মুনাফাসহ ছয় কোটি ১০ লাখ টাকা দাঁড়ালে মুর্তুজা আলী সেটা ইস্টার্ন ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখায় স্থানান্তর করেন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মর্তুজা আলী ইস্টার্ন ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখায় পাঁচ কোটি ৮০ লাখ টাকার ছয়টি এফডিআর (স্থায়ী আমানত) খোলেন এবং তার বিপরীতে একটি ওএসডি (সিকিউরড ওভারড্রাফট) ঋণের জন্য আবেদন করেন। ২০১৯ সালে বিদেশে থাকার সময় তিনি ব্যাংকটির চান্দগাঁও শাখায় তার নামে দুটি জাল সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট ও চারটি জাল ঋণ অ্যাকাউন্টের বিষয়ে জানতে পারেন। তার জাল স্বাক্ষর ও ভুল তথ্যে দিয়ে ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৭ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে এবং পাঁচ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। মুর্তুজা আলী তার সকল পাওনা পরিশোধ করতে ইস্টার্ন ব্যাংক বরাবর লিখিত আইনি নোটিশ পাঠালেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মর্তুজা আলী ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে সব মিলিয়ে ১১ কোটি টাকা পাবেন বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হেলাল বিন মঞ্জুর তামিম বলেন, ‘ব্যবসায়ী মুর্তুজা আলীর সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টসহ এফডি (ফিক্সড ডিপোজিট) অ্যাকাউন্ট খোলেন। এফডিতে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা জমা করেন। এ ছাড়া সঞ্চয়ী হিসাবে ৫০ লাখ টাকা জমা ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদসহ উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে বিভিন্ন নামে এবং ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলে। সেই অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করে বাদী বিদেশে থাকা অবস্থায় তারা এফডির বিপরীতে ঋণ নেয়। যা বাদী জানতেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এফডিআরের লাভসহ সর্বমোট ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তাই মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

শেয়ারবাজারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে: খসরু
গত ১৫ বছরে দেশের শেয়ারবাজারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কেউ কখনো স্টক মার্কেটকে বরণ করতে পারেনি। স্টক মার্কেট যে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, এটা কেউ বোঝেনি। অর্থনীতি চালাতে স্টক মার্কেট যে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে সেটা আমরা ধারণ করতে পারিনি। আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছর কীভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে স্টক মার্কেটকে ব্যবহার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা ও এগিয়ে যাওয়ার উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই ভবনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। আমীর খসরু বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আগামীতে যদি নির্বাচিত সরকার আসে, আর আমরা সেই সুযোগ পাই, তাহলে আমরা স্টক মার্কেটকে ধারণ করবো। তিনি বলেন, স্টক মার্কেট যদি স্বচ্ছভাবে চলে তাহলে সাধারণ মানুষও মনে করবে এখানে বিনিয়োগ করা যায়। সবাই তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের জন্য বিনিয়োগ করবে। স্টক মার্কেটের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটা ব্রোকারেজ হাউজে শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের অনেক বড় চাকরির সুযোগ রয়েছে। এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, আমি বক্তৃতার জন্য বলছি না, আমাদের দলে অভ্যন্তরীণ আলাপ হয়েছে, আমরা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে সিরিয়াসভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। নিয়ন্ত্রণমুক্ত ছাড়া পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করবে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা পুঁজিবাজার লুটপাট করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে তারাই ঘুরেফিরে আবারও পুঁজিবাজারে এসব কর্মকাণ্ড চালাবে। কারণ দিন শেষে টাকা কথা বলে। তাদের লুটপাটের কারণে অনেকে আত্মহত্যা করেছে, অনেকে নিঃস্ব হয়েছে। তাই তাদের আইনের আওতায় আনতে ডিবিএকেও ভূমিকা রাখতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএসইসিতে কোনো সরকারের নাক গলানোর সুযোগ নেই। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা। বিগত দিনে যা হয়েছে, বিএসইসি কমিশন হিসেবে নয় বরং রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করেছে। এর আগে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের ধসের পর অলিখিতভাবে ফোর্সড সেল বন্ধ করে ও করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফোর্সড সেল বন্ধ করে নেগেটিভ ইক্যুইটি তৈরি করা হয়েছে। এতে করে অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদানের সক্ষমতা হারিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে শেয়ারবাজারকে দেড় বছর স্থবির করে রাখা হয়েছি বলে জানান বিএসইসির সাবেক এই চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারবাজার থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আস্থা নষ্ট করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিগত দুটি কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যায়। এখন তো দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কখনো হয়নি। এর মাধ্যমে বাজারে আস্থা নষ্ট হয়েছে। এছাড়া কারসাজির অনেক ঘটনা ঘটেছে। আর বিতর্কিত রোড শো করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমেও আস্থা নষ্ট করা হয়েছে।

গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক-অবাস্তব: মোহাম্মদ হাতেম
নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ‘গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক ও অবাস্তব। এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকেন।’ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনাতিতে এ কথা বলেন তিনি। বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘শিল্পে আমাদের যখন প্রাকৃতিক গ্যাস দেওয়া হয়, আমরা ১৫ পিএসআই বা ৪০ পিএসআই নিয়ে থাকি কিন্তু ২ বা ৩ পিএসআইর বেশি পাইনি। তিতাসের রিপোর্টে দেখেছি ৪০ শতাংশ সিস্টেম লস, মানে চুরি। গ্যাসের চুরির কারণে বাকি চাপ আমাদের ওপর আসে। এখন উনারা (তিতাস) বলছে, ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন।’ মোহাম্মদ হাতেম আরো বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আপনারা দেখবেন হাজার হাজার অবৈধ চুলা, সেগুলো চলছে। সবগুলোর সঙ্গে তিতাস জড়িত। সিস্টেম লস কমালে মূল্যবৃদ্ধির চিন্তা করতে হতো না। এখনো তিতাসের হিসাবে ১৩ শতাংশ সিস্টেম লস। ১ শতাংশ সিস্টেম লস কমালে এক হাজার কোটি টাকা সেফ হয়।’ ‘বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির পর আমদানি মূল্যের ওপর সরকার ভ্যাট বসিয়ে ব্যবসায় করছে।’ মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘১২ টাকার গ্যাস আমাদের থেকে ৩০ টাকা নিচ্ছে। এখন ৩০ টাকার গ্যাস যদি ৭৫ টাকা নেওয়া হয়। যদিও বলছে পুরোনো গ্রাহকদের দাম বাড়বে না। কিন্তু আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হলে নতুন সংযোগ নিতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতা বাইরের দেশের সঙ্গে। এখন বেশি দামে গ্যাস কিনলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। তখন আর আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবো না।’ গণশুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, সদস্য (অর্থ, প্রশাসন ও আইন) মো. আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য (গ্যাস) মো. মিজানুর রহমান, সদস্য পেট্রোলিয়াম ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, সদস্য (বিদ্যুৎ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শাহিদ সারওয়ার উপস্থিত আছেন। গণশুনাতিতে ব্যবসায়ী, শিল্প কারখানার মালিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, সাংবাদিক, আইনজীবী, অ্যাক্টিভিস্টসহ আরও অনেকে উপস্থিত আছেন। এর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনসহ (পেট্রোবাংলা) দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গণশুনানি করে বিইআরসি। চলতি বছরের শুরুতে পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। এরপর তিতাস গ্যাস কোম্পানিসহ সরকারি ছয়টি বিতরণ কোম্পানি খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। আবেদনে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং ক্যাপটিভের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়। গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে জানানো হয়, গ্যাসের দাম বাড়ানো না হলে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছর সরকারকে বিশাল টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। দেশি গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে আসছে অর্ধেকের মতো। আর ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে জোগান দেওয়া হচ্ছে। গণশুনানিতে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রতি ঘনমিটার এলএনজির বর্তমান আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। এ জন্য দামের পার্থক্য কমাতে গ্যাসের মূল্য বাড়াতে হবে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ‘দেশি গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ক্রমেই কমে যাওয়ায় শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সর্বাধিক প্রভাব পড়েছে। চাহিদা মেটাতে দেশি গ্যাসের সঙ্গে ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে এলএনজি আমদানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। পেট্রোবাংলার প্রস্তাব পাওয়ার পর বিইআরসির পক্ষ থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কোম্পানিগুলো পেট্রোবাংলার নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রস্তাব জমা দেয়। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এখন এসব প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে।’

খেলাপি ঋণ ছাড়াল তিন লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা
২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ তিন লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। আর ছয় মাসে বেড়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ তথ্য জানিয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে যে অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে, নিয়মনীতি সঠিক পরিপালনের কারণে এখন তা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। ফলে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশ বর্তমানে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে মোট ঋণের স্থিতি ১৭ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২০ দশমিক ২ শতাংশ।’ ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা হয়, যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতাসীন হয় তখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। দ্বিতীয়বার ক্ষমতা নেওয়ার সময়ও খেলাপি ঋণ ছিল ৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ বেড়ে ৫১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা হয়। এছাড়াও তৃতীয় দফায় ক্ষমতা নেওয়ার সময় ২০১৮ সালের শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। গত বছর জুনে খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ওই সময় মোট বিতরণকৃত ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ খেলাপি ছিল। গত বছর মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতে প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ। প্রতি বছরই তিন মাস অন্তর অন্তর অর্থাৎ বছরে চারবার খেলাপি ঋণের হালনাগাদ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪ সালে ডিসেম্বর প্রান্তিকের খেলাপি ঋণ আজকে ঘোষণা করা হলো।

শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি চলছে
শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনসহ (পেট্রোবাংলা) দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গণশুনানি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বাংলামোটরের বিয়াম অডিটোরিয়ামে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এ শুনানি শুরু হয়। বছরের শুরুতে পাইকারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। এরপর তিতাস গ্যাস কোম্পানিসহ সরকারি ছয়টি বিতরণ কোম্পানি খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করে। আবেদনে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা এবং ক্যাপটিভের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়। গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে জানানো হয়, গ্যাসের দাম বাড়ানো না হলে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছর সরকারকে বিশাল টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। দেশি গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে আসছে অর্ধেকের মতো। আর ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে জোগান দেওয়া হচ্ছে। পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘প্রতি ঘনমিটার এলএনজির বর্তমান আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। এজন্য দামের পার্থক্য কমাতে গ্যাসের মূল্য বাড়াতে হবে।’ প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ‘দেশি গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ক্রমেই কমে যাওয়ায় শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সর্বাধিক প্রভাব পড়েছে। চাহিদা মেটাতে দেশি গ্যাসের সঙ্গে ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে এলএনজি আমদানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। পেট্রোবাংলার প্রস্তাব পাওয়ার পর বিইআরসির পক্ষ থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কোম্পানিগুলো পেট্রোবাংলার নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রস্তাব জমা দেয়। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এখন এসব প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে।’

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এখন অগ্রাধিকার কর্মসূচি: বাণিজ্য সচিব
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও এর দপ্তর সংস্থার প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘রমজান মাসে ভোক্তাদের স্বস্তিতে রাখতে যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের অগ্রাধিকার কর্মসূচি।’ একই সাথে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম মনিটরিং জোরদার করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগদানের পর এটাই কর্মকর্তাদের সাথে তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা।বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন এএইচএম আহসান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার এবং ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করে। তিনি ১৩ তম বিসিএস শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের একজন সদস্য। এর আগে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

দেশের অর্থনীতি যেভাবে কামব্যাক করেছে, সেটা মিরাকল: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘গত ছয় মাসে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি কামব্যাক করেছে, সেটা মিরাকল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের অর্থনীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, সেটা যে কোনো সময় ফল করত বলেও জানান তিনি। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনার টাকা নাই কিন্তু আপনি মসজিদ করবেন। সরকার কেন মসজিদ করবে? গণমাধ্যমে দেখলাম একটি মসজিদ করতে ১৫-১৬ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু এই মসজিদ পাড়ার কমিটিগুলো ৩ কোটি টাকায় করতে পারত। চুরির একটা উৎসব চলেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এনার্জি খাতে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনা দরকার। স্টেট স্পন্সরশিপ করে ডাকাতি হয়েছে এ খাতে। বিদ্যুৎ খাতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। বড় বড় পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা গ্যাসের জন্য প্রচুর পরিমাণে কূপ খনন করতে চাই।’ বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে। এই পোর্টের দক্ষতা না বাড়লে ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে না। রি-এক্সপোর্ট করতে গেলে চট্টগ্রামের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। এজন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা চাই চট্টগ্রামের প্রতিটি পোর্ট উন্নয়ন করতে, তাহলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে।’ শফিকুল আলম বলেন, ‘ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের নিজের জন্য টানেল হয়েছে। দেশের অর্থনীতি কলাপস হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল, ছয় মাসে ইকোনমি যে অবস্থায় কামব্যাক করেছে তা মিরাকল। আমরা এমন এক ইকোনমিক ব্যবস্থা পেয়েছিলাম যেখানে জমিদারের মতো হাতে কিছু টাকা পেয়েছি তা বাজে কাজে ব্যবহার হয়েছে। অপচয়কে ট্যাকেল দিতে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। বাজেটের বড় অংশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এনার্জি সিস্টেমে দক্ষ না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না। পাওয়ার সিস্টেমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশে বিনিয়োগ দরকার, সেটা করা হয়নি। রেভিনিউ সিস্টেম করছেন তা ভালো ছিল না। হাতে টাকা নাই, যা তা খরচ করেছে বিগত সরকার। ৫৬০টা মডেল মসজিদ বেশি ব্যয়ে করা হয়েছে, যা আরও কম টাকায় করা যেত। এমনভাবে রেললাইন টানা হয়েছে সারা দিনে রেল চলে না। এটা জনগণের টাকার অপচয় করা ছাড়া কিছু নয়।’

কয়েকটি ব্যাংকের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম: গভর্নর
সহায়তা করার পরও কয়েকটি ব্যাংকের টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। লাইফ সাপোর্টে থাকা ব্যাংকগুলো বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে অর্থনীতির পুনঃকৌশল নির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য ফাহমিদা খাতুন।এদিকে, ব্যাংকগুলো যেন দুর্বল ও সবল- এমন দুইভাগে ভাগ করে প্রচার করা না হয় সেই পরামর্শ দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু। এক বছরের বেশি সময় ধরে আর্থিক খাতের আলোচনার কেন্দ্রে কয়েকটি ব্যাংকের তারল্য সংকট। আর আগস্টে হাসিনা সরকার পতনের পর সামনে আসে সেগুলোর মরণদশা। এরপর আস্থা সংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোকে সবল করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। লাইফ সাপোর্টে থাকা ব্যাংকগুলো বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতির পুনঃকৌশল নির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য ড. ফাহমিদা খাতুন। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।তবে, ব্যাংক বন্ধের বিপক্ষে অবস্থান ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর। পরামর্শ দেন, দুর্বল ও সবল বলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলাদা না করার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, ইসলামী ও ইউসিবিএলের সংকট অনেকটা কেটেছে। তবে, সহায়তা দেয়ার পরও কয়েকটি ব্যাংকের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। আহসান এইচ মনসুর জানান, নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে না। বরং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে কীভাবে আন্তঃলেনদেন যোগ্য করা যায়, সেদিকেই বেশি মনোযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও করনী নিট কম্পোজিটের মধ্যে পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং করনী নিট কম্পোজিট লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্যাংকের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী এবং করনী নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কুতুব উদ্দিন আহমেদ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী এবং করনী নিট কম্পোজিটের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মেসবাহুর রহমান খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ চুক্তির আওতায় করনী নিট কম্পোজিট লিমিটেডের কর্মকর্তারা ব্যাংকের পে-রোল প্রিভিলেজ সার্ভিস এর বিশেষ সুবিধা পাবেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. মোঃ ইদ্রিস আলী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, ও করনী নিট কম্পোজিট লিমিটেডের গ্রুপ সিএফও মোঃ আলমগীর হোসেন সিকদার, জিএম (এ্যাকাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন, ডিজিএম (এ্যাকাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স) মোঃ রবিউল ইসলাম এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন
ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের (আইবিএফ) উদ্যোগে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক মো. আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইবিএফ-এর নির্বাহী কমিটি ও ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব এবং আইবিএফের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী বক্তব্য দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইবিএফ-এর মহাব্যবস্থাপক ফায়জুল কবির। এসময় বিজয়ী প্রতিযোগীদের মধ্যে ড. রিয়াজুল ইসলাম ও ড. মাহমুদ আহমেদ অনুভূতি প্রকাশ করেন। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সম-সাময়িক বিষয়াবলী সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতায় ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ২৫০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারিদের যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৪০ জন বিজয়ীর মাঝে চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে কমিয়ে আনার আশা অর্থ উপদেষ্টার
রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রোজা সামনে রেখে অর্থ উপদেষ্টার কাছে মানুষকে আশ্বস্ত করার মতো কোনো খবর আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে আশ্বস্ত করার খবর হলো আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোজার সময় যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আছে সেটা এনসিওর করতে। সেজন্য আমরা নিরলসভাবে চাল, ডাল, চিনির সরবরাহ নিশ্চিত করছি। এখন তো চিনির দাম অনেকটাই রিজনেবল অবস্থায় এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি বাকিগুলো যাতে রিজনেবল দামে আসে। প্রথমত, সরবরাহটা নিশ্চিত করা। সরবরাহ নিশ্চিত করলেও অনেক সময় সঠিক দামে ভোক্তারা পায় না। এখানে আবার মার্কেট ডায়নামিকস আছে। তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন আগে বলেছি, মজুত যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান। দরকার হলে সেটা আমরা রিপিট করব। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া অন্যান্য যে এজেন্সি আছে... সয়াবিন গুদামে, বেসমেন্ট রেখে দিয়েছে কি না! কিছুটা তারতম্য হতে পারে, কিন্তু একটা ক্রাইসিস হয়ে যাবে সেটা হওয়ার কথা নয়। উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি রোজার সময় যাতে কোনো রকমভাবে দাম না বাড়ে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য আমাদের উদ্দেশ্য রয়েছে। এক পার্সেন্ট কমেছে। যাতে ধারাবাহিকভাবে কমে আসে। বাজেট দেওয়ার সময় এটা যাতে রিজনেবল অবস্থায় আছে। কারণ এটা আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ। রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭/৮ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি হলেই জীবন-যাপনের মান কমে হয়। এবার বড় একটি (পণ্যের) অংশ আমাদের আমদানি করতে হয়েছে। এটা আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর প্রভাব ফেলেছে। বিস্কুটের ওপর ভ্যাট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখন কেউ লেখে না যে বিস্কুট কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আরও দু’একটা পণ্যের কথা আমাকে বলেছে, রোজার সময় এই পণ্যগুলো একটু দরকার। আমি দেখব সেটার দামও যতটা কমানো যায়।

লোডশেডিং বন্ধ রাখা সম্ভব নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা
গরম ও সেচ কাজের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা থাকায় গ্রীষ্মে লোডশেডিং বন্ধ রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে সিপিডি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা। সভায় উপদেষ্টা জানান, লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সেচকাজ এবং গরমে চাহিদা বাড়ায় এবারও লোডশেডিং হবে। তবে, তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। সেই সাথে, সবাইকে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার অনুরোধ করছি।’ গ্রীষ্মে সেচ মৌসুম ও অতিরিক্ত গরমে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহারে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। গত বছর সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট থাকলেও, বেশিরভাগ সময় মিলেছে ১৫ হাজারের মধ্যে। তখন লোডশেডিং ছাড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হচ্ছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এবার গরমে লোডশেডিং ছাড়াতে পারে ৩ হাজার মেগাওয়াট। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, এবার গ্রীষ্মে শহর ও গ্রামে সমান লোডশেডিং করা হবে। তারও আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা শেষে জ্বালানি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবে না। তবে গ্রীষ্মে ৭০০-১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।

সিএসইর পরিচালক পদে জামাল ইউসুফ জুবেরীর যোগদান
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিতে (সিএসই) নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন জামাল ইউসুফ জুবেরী। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সিএসইর পর্ষদ সভায় তিনি স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যোগ দেন । বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাকে সিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেয়। জামাল ইউসুফ জুবেরী একজন বিশিষ্ট পেশাজীবী। তিনি দেশের প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডে (ডেলিভারী হিরো গ্রুপ) ডিরেক্টর (ফিনান্স) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন ডেলিভারি কার্যক্রমের বৃদ্ধিতে এবং একই সাথে পাণ্ডামার্ট ইত্যাদির কৌশলগত উৎকর্ষ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছেন। এছাড়াও সব সংশ্লিষ্ট অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক, আইনী ও রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্সের নিশ্চিতের কাজ পালন করছেন। এর আগে জামাল ইউসুফ হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশনে (এইচএসবিসি) ২০০৮-২০১৩ পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। যেখানে তিনি মূলধনের দক্ষ ব্যবহার, তারল্য ও সুদের হারের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যালেন্স শিটের টেকসই বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। এছাড়াও স্থানীয় মুদ্রা ও বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার ক্রিয়াকলাপের ফলে উদ্ভূত এফএক্স মূল্য ঝুঁকি ও কর্পোরেট ক্লাইন্টদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা হেজিং বিষয়ক সমাধান কাঠামো তৈরিতে কাজ করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন- মেলবোর্ন বিজনেস স্কুল, আস্ট্রেলিয়া থেকে এমবিএ এবং ইন্সিটিউট অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। জামাল ইউসুফ ২০০৩ সাল থেকে একজন সার্টিফাইড ফিনান্সিয়াল এনালিস্ট (সিএফএ) ও একই সাথে তিনি সিএফএ ইন্সটিটিউট ও সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সদস্য। সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন পরিচালককে অভিনন্দন জানিয়ে সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফিনান্স, মুদ্রা, আইনি কাঠামো বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অপরিহার্য এবং জামালের ইউসুফের মতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি পরিচালক হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এবং সিএসই সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমূখী অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের অভিজ্ঞতা সমন্বয়ের মাধ্যমে এই পরিচালনা পর্ষদ সবাইকে সাথে নিয়ে পুঁজিবাজার তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে৷’

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪১৭তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ অনুষ্ঠিত হয়। পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করাহয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাফাত উল্লা খান, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের অফিসারদের প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ
ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ১১ দিনব্যাপী ‘ফাউন্ডেশন কোর্স ফর প্রবাশনারী অফিসার্স অ্যান্ড আদার্স অফিসিয়ালস’ (জেনারেল ব্যাংকিং মডিউল-কম্বাইন্ড ব্যাচ) শীর্ষক কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোর্সে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখা থেকে ৪৪ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শেখ আকতার উদ্দীন আহমেদ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শাহ্ সৈয়দ রাফিউল বারী।

রমজানে ব্যাংকে লেনদেনের নতুন সময় নির্ধারণ
রমজানে ব্যাংকিং লেনদেনের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোজার মাসজুড়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে। সেই হিসাবে বিরতিহীনভাবে লেনদেন চলবে ৫ ঘণ্টা। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ‘এখন ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে লেনদেন চলে।’ সেই হিসাবে রমজানে লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা কমেছে। ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ব্যাংকে এভাবে লেনদেন হবে। একইসঙ্গে রোজায় ব্যাংকের অফিস সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। পবিত্র মাসে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। এখন যা তাকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অর্থাৎ অফিস সূচিও ৩০ মিনিট কমছে। সপ্তাহে ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) ব্যতীত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন এ সময়সূচিতে ব্যাংক চলবে। সার্কুলারে জানানো হয়, রমজানে ব্যাংকে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় লেনদেন অব্যাহত থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে রোজা শুরু হবে। এর আগে পবিত্র মাসের জন্য ব্যাংকের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রোজা শেষে এখনকার সময়সূচি অনুযায়ী ব্যাংক অফিস খোলা থাকবে। সেই সঙ্গে লেনদেনও চলবে।