আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪১৭তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ অনুষ্ঠিত হয়। পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করাহয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাফাত উল্লা খান, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের অফিসারদের প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ

ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ১১ দিনব্যাপী ‘ফাউন্ডেশন কোর্স ফর প্রবাশনারী অফিসার্স অ্যান্ড আদার্স অফিসিয়ালস’ (জেনারেল ব্যাংকিং মডিউল-কম্বাইন্ড ব্যাচ) শীর্ষক কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোর্সে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখা থেকে ৪৪ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শেখ আকতার উদ্দীন আহমেদ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শাহ্‌ সৈয়দ রাফিউল বারী।

রমজানে ব্যাংকে লেনদেনের নতুন সময় নির্ধারণ

রমজানে ব্যাংকিং লেনদেনের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোজার মাসজুড়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে। সেই হিসাবে বিরতিহীনভাবে লেনদেন চলবে ৫ ঘণ্টা। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ‘এখন ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে লেনদেন চলে।’ সেই হিসাবে রমজানে লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা কমেছে। ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ব্যাংকে এভাবে লেনদেন হবে। একইসঙ্গে রোজায় ব্যাংকের অফিস সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। পবিত্র মাসে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। এখন যা তাকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। অর্থাৎ অফিস সূচিও ৩০ মিনিট কমছে। সপ্তাহে ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) ব্যতীত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন এ সময়সূচিতে ব্যাংক চলবে। সার্কুলারে জানানো হয়, রমজানে ব্যাংকে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় লেনদেন অব্যাহত থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে রোজা শুরু হবে। এর আগে পবিত্র মাসের জন্য ব্যাংকের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রোজা শেষে এখনকার সময়সূচি অনুযায়ী ব্যাংক অফিস খোলা থাকবে। সেই সঙ্গে লেনদেনও চলবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি । সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সাম্প্রতিক জাপান সফর নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ বিষয়ে জাপানের প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ বাণিজ্য গ্রুপ এনইএক্সআই (নিপ্পন), মিটসুই, মারুবেনি, এইচএসবিসি, মিতসুবিসি হেভি ইন্ডাস্ট্রি ও জেটির প্রতিনিধিদের সাথে টোকিওতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তারা এ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’ জাপানকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার ও বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীনে বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে।’ আরো বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে এ দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য জাপানের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বানন জানান তিনি।বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাম্প্রতিক জাপান সফর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এতে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।’ তিনি বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ ও এই দেশ থেকে জাপানে দক্ষ জনশক্তি নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাতকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত সময়ে দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ে টাস্কফোর্সের সুপারিশ’ সংক্রান্ত কনফারেন্সের প্রথম সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর ও নানা অবকাঠামো নির্মাণে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আসে। শ্রম উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। কনফারেন্সের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর সাবেক ডাইরেক্টর জেনারেল ও অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কে এ এস মুরশিদ। সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ফেব্রুয়ারিতে ৫ বার বৃদ্ধির পর এবার দাম কমল স্বর্ণের

ফেব্রুয়ারির প্রথম ২০ দিনে টানা পাঁচ বার স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পর এবার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ১ হাজার ১৫৫ টাকা। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এই মূল্য সোমবার থেকে কার্যকর হবে। দাম কমানোর ফলে এখন সবচেয়ে ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ কিনতে লাগবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা। বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতিভরির দাম পড়বে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৮১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৪০১ টাকা।

রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাংক লুটের ঘটনা বাংলাদেশেই ঘটেছে: গভর্নর

বিশ্বের কোনো দেশে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে আর্থিক খাতের সর্বনাশ কোথাও হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, বহির্বিশ্বে দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনা হয়, মূল্যস্ফীতি হয়; কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাংক লুট করার ঘটনা একমাত্র বাংলাদেশেই ঘটেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নীলফামারী সরকারি কলেজে আয়োজিত দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গভর্নর বলেন, শুধু একটি ব্যাংক নয়, সাত সাতটি ব্যাংক লুট করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে এই সাতটি ব্যাংক লুট করে অর্থ পাচার করা হয়েছে বিদেশে। বিশ্বের কোনো দেশে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে আর্থিক খাতের এত বড় সর্বনাশ কোথাও ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, একটি পরিবারের হাতেই ছিল সাতটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেটা আইনবহির্ভূত। ইসলামী ব্যাংকের আশি শতাংশের ওপর শেয়ার এস আলম গ্রুপ নামে একটা পরিবারের কাছে। কীভাবে তারা পেল? এটা পুরোপুরিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে গভর্নর বলেছেন, কিছু ব্যাংক ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক অন্যতম। ঘুরে দাঁড়িয়েছে কারণ ডিপোজিটররা কমিটেড টু দ্য ব্যাংক। তারা জানে ব্যাংকটা ভালো ছিল। এ আস্থা ব্যাংকিং খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যাংকিং খাতের জন্য আস্থাটা দিতে পারলে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ। তিনি আরও বলেন, সবগুলো ব্যাংক আমরা দাঁড় করাব। প্রতিটি ডিপোজিটরের অর্থ আমরা ফেরত দেব—এ গ্যারান্টিটা আমরা দিচ্ছি। তাই ব্যাংকগুলোকে এমনভাবে পুনর্গঠন করব, এমনভাবে ম্যানেজমেন্টে নিয়ে আসব, যাতে শক্তিশালী ব্যাংক হিসেবে তারা দাঁড়িয়ে যেতে পারে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সময় লাগবে উল্লেখ করে গর্ভনর বলেন, পাচার হওয়া কয়েক লাখ কোটি টাকা দেশে ফেরত আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা অনেক জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করেছি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারি সংস্থা ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাদের কাছ থেকে কারিগরি ও আইনি সহায়তাও নিচ্ছি। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। সভায় কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে সন্ধ্যায় নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিসি নায়িরুজ্জামান।

আগামী বাজেটের আকার ছোট হবে

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় বাজেট জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (আইবিডব্লিউএফ) আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুহম্মদ শহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছোট হতে হবে। অর্থাৎ বাজেটের আকার ছোট হতে হবে। কারণ এই বাজেট বড় প্রকল্পের নামে অর্থ ব্যয় কিংবা অর্থ লুটপাটের বাজেট হবে না। বাজেটের আকার যাই হোক, তা বাস্তবায়ন করতে পারলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিতে হবে।’ সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়নে যাকাত অর্থনীতির গুরুত্বও তুলে ধরেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘গত বাজেটের চেয়ে এবারের বাজেট ভিন্ন হতে হবে। গত বাজেট নির্বাচনের আগে হয়েছে, সেটি নির্বাচনী বাজেট ছিল। প্রায় সব সরকারই নির্বাচনের আগের বাজেটে বলে যায়, আমরা ৫ বা ৬ মাস ক্ষমতায় আছি, বাজেটের আর্ধেক আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো, পরবর্তী অংশ নির্বাচনে জয়ী সরকার বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু গত বাজেটে ঘুণাক্ষরেও এই কথাটি বলা হয়নি। সরকার যে পরিবর্তন হতে পারে বাজেটে তা উল্লেখই করা হয়নি। আমরা এখন ব্যয়ের বাজেট ঠিক রেখে চলছি। হয়তো কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘উৎপাদন থেমে গেলে কিংবা কর্মসংস্থান না থাকলে অর্থনীতি কিন্তু ঠিক থাকবে না। জাকাতের অর্থ যদি সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় হয় তাহলে সরকারের ব্যয়ের বাজেট কমে যাবে। জাকাত দিলে এনবিআরের পক্ষ থেকে রেয়াদ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। এআইটি’র অর্থ কেন ফেরত দেওয়া হবে না, এটার ব্যবস্থা রাখা হবে। কর (রাজস্ব) বিভাগ ও কর (নীতি) বিভাগকে আলাদা রাখা উচিত। যখন তখন এসআরও জারি করবেন না, এতে মৌলিক স্বাধীনতা থাকে না, বিদেশি বিনিয়োগ আসে না; এটা ঠিক না। বাজেটে দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।’ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর প্রাইভেট সেক্টরের সংস্কার হওয়ার দরকার ছিল, সেটি হয়নি। বাজেটে যে অপচয় হয়, এনবিআর ভবন তৈরিতে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। কাগজে কলমে শুধু প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। বাজেটে শুল্ক কর যাই থাকুক, অপচয় রোধ করতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন বাজেটে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ দেশের নীটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘সংস্কার কমিশনে স্টেক হোল্ডার বা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি নেই, এটি একটি গলদ। এখন যে ট্যাক্স পলিসি রয়েছে, সেটি ব্যবসা পরিপন্থী। কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের টাকা লুণ্ঠন করার জন্যে আইন করে রেখেছে। ঘুষ ও দুর্নীতির ব্যবস্থা সরকারিভাবেই উনারা করে রেখেছেন। আমার (ব্যবসায়ীদের) টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। এনবিআরের পলিসি মেকিংয়ে যারা থাকবেন, কোনক্রমেই তারা যেন এক্সিকিউশনে থাকতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’ বিভাগ ভিত্তিক বাজেট করার পরামর্শ দেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম হায়দার। সেমিনারে অন্যবক্তারা বলেন, আইবিডব্লিউএফ এর দাবি ও সুপারিশসমূহ আগামী বাজেটে প্রতিফলিত হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধান ও জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সরকারের প্রতি অনুরোধ, এই প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী বাজেট প্রণয়ন করা।

অর্থপাচারের অভিযোগে এস আলমকে দুদকে তলব

বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া এস আলম ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আলম ও এস আলম সুপার এডিবল ওয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদুল আলমকেও তলব করা হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এস আলমের ছেলে ও ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস এবং অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদের সই করা চিঠিতে সাইফুল আলম ও মোরশেদুল আলমকে এস আলম সুপার এডিবল ওয়েল লিমিটেডের অনুকূলে ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং টিআইএনসহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। এর আগে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ইসলামী ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

রিজার্ভ বেড়ে পৌনে ২১ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন (২০.৮৫ বিলিয়ন) ডলারে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন ২০.৮৫ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৫ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২৬.১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১১ কোটি ডলারেী দাঁড়িয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি শুধু আইএমএফকে জানানো হয়। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সে হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। যেখানে বাংলাদেশ সেই শঙ্কামুক্ত রয়েছে। দেশের রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। আর মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে (বিয়োগ করলে) নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। এদিকে চলতি ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনে ১৯৩ কোটি ডলার বা ১.৯৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি মাস ফেব্রুয়ারিতেও দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে রেমিট্যান্স। এর আগে নতুন বছরের প্রথম মাসের (জানুয়ারি) পুরো সময়ে ২১৯ কোটি (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর অর্থবছরের হিসাবে গত আগস্ট থেকে টানা ৬ মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি ) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, কানেকটিভিটি বৃদ্ধি ও নেপাল ইকনমিক সামিট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন , দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কানেক্টিভিটি (সংযোগ) বৃদ্ধি করা দরকার। কৌশলগত অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করতে আগ্রহী । এসময় দুদেশের বাণিজ্য ভলিউম বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। নেপালের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও চমৎকার উল্লেখ করে বলেন, নেপাল বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্য আমদানি করে থাকে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য গত ৩ অক্টোবর ভারত ও নেপালের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। চুক্তির আওতায় ২০২৫ সালের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। এসময় ঘনশ্যাম ভান্ডারী ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ রপ্তাণির পরিমান বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে নেপালে অনুষ্ঠিতব্য নেপাল ইকনমিক সামিটে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। বাণিজ্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব ) মো. আব্দুর রহিম খান ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত গ্যাসের দাম বাস্তবায়িত হলে দেশে শিল্প থাকবে না, বললেন ব্যবসায়ীরা

প্রস্তাবিত দ্বিগুণেরর বেশি গ্যাসের দাম বাস্তবায়িত হলে দেশে শিল্প থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরাম (ইআরএফ) সেমিনারে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা নেতারা। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। অনেকগুলো ব্যাংক দেওলিয়া, এনবিআরও সহযেগিতা করছে না। এ অবস্থায় অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা কেউ বিনিয়োগ করবে। বিদ্যমান বিনিয়োগও সম্প্রসারণ হবে না। সার্বিকভাবে দেশে শিল্প থাকবে না।’ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘সিস্টেম লস কমানোর পাশাপাশি শুল্ক-কর কমিয়ে গ্যাসের দাম কমানো সুযোগ রয়েছে। তা না করে যদি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তাহলে দেশে শিল্পই থাকবে না।’ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করলে আমদানি নির্ভরতা বাড়বে, চাপে পড়বে অর্থনীতি।’ মাসরুর রিয়াজ আরও বলেন, ‘এখনকার চ্যালেঞ্জিং সময়ে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা হলে উৎপাদনমুখী খাতে পণ্য উৎপাদনের ব্যয় বাড়বে। কমবে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা। নতুন বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে সিমেন্ট, ইস্পাত ও সিরামিক খাতে নতুন করে আমদানি নির্ভরতা বাড়বে। ফলে আর্থিক খাতে চাপ পড়বে। আমদানি বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রা বেশি লাগবে।’ ‘আবার গ্যাসের দাম বাড়লে অনেক শিল্প বন্ধ হবে, তখন মন্দ ঋণ বাড়বে।’

১৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যুর নিলাম মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৫ বছর (রি-ইস্যু) মেয়াদি বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বিক্রির নিলাম আগামী মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে মঙ্গলবার ১৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বিক্রির (রি-ইস্যু) নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ নিলামে ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ কুপন হারে ইস্যু করা ১৫ বছর মেয়াদি (আইএসআইএন নম্বর বিডি ০৯৩৭৮২১১৫৭) ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত (লিখিত) মূল্যের ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যু করা হবে।’ এ বন্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে ২০৩৭ সালের ২৭ এপ্রিল। এছাড়া ট্রেজারি বন্ডের রি-ইস্যু নিলাম প্রাইসভিত্তিক হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, নিলামে শুধু সরকারি সিকিউরিটিজের প্রাইমারি ডিলারের ভূমিকায় নিয়োগ পাওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিড দাখিল করতে পারবে। তবে অন্যান্য ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নিজস্ব খাতে তাদের ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের জন্য প্রাইমারি ডিলারের মাধ্যমে নিলামে বিড দাখিল করতে পারবে।অভিহিত (লিখিত) মূল্যে প্রতি ১০০ টাকা মূল্যের বন্ড কিনতে কাঙ্ক্ষিত প্রাইস ও বন্ড কেনার পরিমাণ উল্লেখ করে নিলামে অংশ নিতে হবে। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এমআই মডিউলের মাধ্যমে বিড দাখিল করতে হবে। তবে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নিয়ে ম্যানুয়াল বিডস ইন সিলড কভারস পদ্ধতিতে বিড দাখিল করা যাবে।এদিকে, নিলামে অংশগ্রহণের বিস্তারিত নির্দেশনা এরই মধ্যে প্রাইমারি ডিলারসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবসা সম্প্রসারণে পূবালী ব্যাংকের সকল ব্যবস্থাপকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি কক্সবাজারের হোটেল লং বিচ অডিটরিয়ামে দুইদিন ব্যাপী ‘বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। পূবালী ব্যাংকের দেশব্যাপী ৫০৮টি শাখার ব্যবস্থাপক, সকল অঞ্চল প্রধান ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দের অংশগ্রহণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী। সম্মেলনে পূবালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ- মনির উদ্দিন আহমদ, হাবিবুর রহমান, এম. কবিরুজ্জামান ইয়াকুব এফসিএমএ (ইউকে), সিজিএমএ; আজিজুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, মুস্তফা আহমদ ও আরিফ আহমেদ চৌধুরী; স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ-মোহাম্মদ ইছা, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, আহমদ এনায়েত মনজুর, মো. শাহনেওয়াজ খান, মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান ও সুলতানা সরিফুন নাহার এবং উর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪ সালে বিশেষ সাফল্যের জন্য ৫১ জন শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাপককে প্রধান অতিথি পদক প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনজুরুর রহমান উন্নততর ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের আমানত, অগ্রীম ও আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আহ্বান জানান। তিনি প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তিনি সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন। শুধুব্যবসায়িক মুনাফা অর্জন নয়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে পূবালী ব্যাংকের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী পূবালী ব্যাংকের অতীত ঐতিহ্য, ইতিহাস ও কৃষ্টির দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেন, দক্ষ কর্মী বাহিনী, সর্বোচ্চমানের অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সর্বাধিক সম্প্রসারিতবেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।

সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যাকাত গুরুত্বপূর্ণ : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যাকাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সমাজ ব্যবস্থায় যাকাতের সৌন্দর্য ও প্রভাব রয়েছে। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘Role of Islamic Social Finance in Economic Empowerment and Human Development’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শেখ বশিরউদ্দীন বলেন , সম্পদ বন্টনের যে প্রক্রিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি অনুস্মরণীয় তার অন্যতম সঠিক পদ্ধতি যাকাত। যাকাত প্রদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সমাজে যাকাতের ইম্প্যাক্ট দৃশ্যমান করতে হবে।উপদেষ্টা বলেন, যাকাত দারিদ্র বিমোচনের একটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। নৈতিকতা বিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বন্টন হবেনা। আমরা সুষম সমাজ চাই-নৈতিক নেতৃত্ব চাই। তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ট্যাক্সেশন সিস্টেম যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাবেনা। এখন মানুষের সাফল্যকে বিচার করা হয় তার ভোগ সক্ষমতাকে দিয়ে। তাঁর আত্মসন্মান,শ্রদ্ধা ও সামাজিক দায়কে বিচার করা হয়না বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, সমাজের বৈষম্য দূর করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে অনেক তাঁজা প্রাণ দিতে হয়েছে অথচ বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে। এর মূলোৎপাটন করতে হলে আমাদের সম্পদের সুষম বন্টন অবসম্ভাবীভাবে প্রয়োজন। এর নিয়ামক হিসাবে আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায় সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেমিনারে কী নোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোইকোনমিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এর ড. এম এমরানুল হক। অর্থনীতিববদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেন ওয়ার্ল্ড যাকাত এন্ড ওয়াকফের সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক ড. মোহাম্মদ গাজালি নূর।সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইকনমিকস ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক,তারবিয়াহ এডুকেশন নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোখতার হোসেন, সিজেডএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিষদের কনভেনার এবং রহিম-আফরোজ গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মুনওয়ার মিসবাহ মঈন। এর আগে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ত্রয়োদশ যাকাত ফেয়ার ২০২৫ এর উদ্বোধন করেন। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) ২ দিনব্যাপী যাকাত ফেয়ার আয়োজন করে। এখানে বিভিন্ন আর্থিক ও যাকাত প্রতিষ্ঠানের স্টল,যাকাতের হিসাব নিরুপণ ও যাকাত সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দানের জন্য কনসালটেশন ডেস্ক ও ইসলামি বইয়ের স্টল রয়েছে। আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফেয়ার সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজি, মাছ ও মুরগির দাম বেড়েছে। সব ধরনের সবজি ও মাছ কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। তবে আলু ও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে সিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩০-৫০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি বড় সাইজের ২০-৩০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, পাকা টমেটো কেজিতে ২০-৪০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, মুলা কেজি ২০ টাকা, মটরশুঁটি ৭০-৮০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা ও শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ও কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০-৫০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস ও মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন আলু ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আদা ১৪০-২৮০ টাকা, রসুন ২৩০-২৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৮-৮৬ টাকা ও নাজির সের ৭৬-৮৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে সোনালি কক মুরগি ৩৩০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগী ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ২০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৬০ টাকা করে দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার চড়া রয়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১ হাজার ৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০-৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০-১০০০ টাকা , মৃগেল ৩৫০-৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০-২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০-১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০-৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০-২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কুড়াল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০-৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০-৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ১৫০-১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে পুনাকের চুক্তি সই

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাপ্রাপ্ত অফার ও পরিষেবাসংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি হয়। পুনাকের সভানেত্রী আফরোজা হেলেন ও কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল কাইয়ুম খান চুক্তিপত্রে সই করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুনাকের সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদা ওয়াহাবসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। আয়োজকেরা জানান, চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা পুনাকের সব পণ্যে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাকের পাশাপাশি প্রতি বিলিং সাইকেলে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন।

স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজস্ব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়: গভর্নর মনসুর

সরকারের পক্ষে স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজস্ব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি একদিনে হয়নি। তাই সমাধানও একদিনে সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (এআএএফ) আয়োজিত ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্চ এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইরআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপত্তিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়াল (সিপিডির) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বক্তব্য রাখেন। গভর্নর জানান, বছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া এক্সটার্নাল সেক্টর, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংস্কার করাই এখন গভর্নরের ফোকাস। গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থান একটি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে, স্থিতিশীল বিনিময় হার এবং অর্থপ্রদানের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত রয়েছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলে উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের কিস্তি বিলম্বিত হওয়া সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ সন্তোষজনক। পাচার কমার কারণে, এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার আসবে। মূল্যস্ফীতি ঠিক করতে আরো ৫-৬ মাস লাগবে। তিনি বেসরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছেন, এটিকে ব্যাংক আমানত হ্রাস এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারি ঋণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন। গভর্নর উল্লেখ করেছেন যে, ট্রেজারি বিল বন্ডের হার ১২.৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এটি ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারি ঋণ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়, বেসরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে হবে। গভর্নর বলেন, একটা গ্রুপ যদি একটা ব্যাংক থেকে ৮৭ ভাগ নিয়ে যায়, তাহলে সে ব্যাংকে কিভাবে বাচানো যায়। তবে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে, ব্যাংকগুলোও নিজেরা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে ফিরেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামী ব্যাংক থেকে একটা গ্রুপ ৭০ থেকে ৮০ হাজার অর্থ নিয়ে যায়। সেই ইসলামী ব্যাংক এখন নিজেরাই দাঁড়িয়েছে। তাঁরা আমানত বাড়িয়ে এখন ঋণ বিতরণ করছে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দৃশ্যমান কিছু একটা দেখাতে হবে। যাতে পরবর্তী সরকার এ বিষয়ে এটার ধারাবাহিকতা রাখে। তা ছাড়া ব্যাংক খাত সংস্কারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসনকে গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে অর্থ মন্ত্রনালয়ে ইন্টারফেয়ার না থাকে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে সুদহার বাড়ানোর সঙ্গে বিনিয়োগের বাধাকেও দূর করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়িয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক বরিশাল জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন। ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান এ কে এম মাহবুব মোরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ, বরিশাল জোনপ্রধান মোঃ সরোয়ার হোসেন এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়াইব আহমেদ। সম্মেলনে বরিশাল জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব বলেন, ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক সকল বাধা পেরিয়ে গৌরবের সাথে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং এখন গণমানুষের দোরগোঁড়ায়। গ্রাহকসেবা প্রদানে সর্বোচ্চ সততা ও আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ও শরী’আহ নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এজেন্ট মালিকদের প্রতি আহবান জানান। সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ করা হয়, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক দেশের ৪৭৩টি উপজেলায় ২৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকসংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। দেশের মোট এজেন্ট ব্যাংকিং আমানতের ৩৯% এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ৫৬% এককভাবে ধারণ করছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং। শুধু ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ২২৭৭ কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট এবং ১৭ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে

১০ ও ১০০ টাকার নোট নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত

২১১ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, প্রথম বারের মতো নতুন ১০ টাকার নতুন নোট এবার দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ১০০ টাকার নতুন নোটও পাচ্ছেন না সাধারণ গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যাংক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১৯-২৫ মার্চ পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন নোট বিনিময় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ১৯ মার্চ থেকে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ের মাধ্যমে ৫, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। এটা চলবে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত। তবে একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না।’ যেসব ব্যাংক ও শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে: জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকর যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ নম্বর শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা। অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দিলকুশাস্থ প্রধান শাখা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা(মিরপুর-১), উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা। ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানস্থ এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা শাখা (নারায়ণগঞ্জ), ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর শাখা(নারায়ণগঞ্জ), ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা (সাভার), ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা (সাভার), ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

সাবেক গভর্নর আতিউর ও অর্থনীতিবিদ বারাকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এননটেক্স কোম্পানির নামে জনতা ব্যাক থেকে ২৮৭ কোটি টাকার আত্মসাৎ অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান এবং খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ মোট ২৩ জন ব্যক্তি রয়েছেন। এজাহারে বলা হয়, ‘আতিউর রহমান ও তার সহযোগী অন্যান্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন অনৈতিক কৌশলে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যদিও এর আগে ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম তদন্ত করে দুদক প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগের পরিসমাপ্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।’

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪১৬তম পর্ষদীয় সভা অনুষ্ঠিত

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১৬তম সভা বুধবার (১৯ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারসভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় পর্ষদ পরিচালক মোঃ শাহীন উল ইসলাম, মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, মোহাম্মদআশরাফুল হাছান এফসিএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর. চৌধুরী,অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাফাত উল্লা খান এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাহীগণউপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক খালেদ মাহবুব মোর্শেদ, অতিরিক্ত পরিচালকমৃধা নবী হোসেন, যুগ্ম পরিচালক শিকদার আবুল বাশার ও সহকারী পরিচালকহাসিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এস আলমের অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন: সিআইসি ডিজি

আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) এবং তার পরিবারের কর ফাঁকির অনুসন্ধানে নেমে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ব্যাংক খাতে এস আলমের ‘লুটপাটের’ তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব বলেছেন, ‌‌'২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা; ১০টি কম্পিউটারে সাতজন অফিসার আমার এক মাস যাবত এন্ট্রি দিয়ে শেষ করতে পারেনি। তিনি বলেন, এর মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ৩০ জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর ব্যাংকে স্থিতি ছিল। ৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যাংক সুদ পেয়েছে। ‌‌'এর অধিকাংশই তারা শো করে নাই। আমরা কাজ করছি এখন।' বুধবার আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ও কর কর্মকর্মতাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দার আয়োজিত ‘কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’র কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন আহসান হাবিব। এস আলমের দুই ছেলের ‘কালো টাকা সাদা’ করার সময় ব্যাংকের সহায়তায় জালিয়াতি হওয়ার তথ্যও এ সময় তুলে ধরেন তিনি। সিআইসির মহাপরিচালক বলেন, “এস আলমের দুই ছেলে জালিয়াতি করে ৫০০ কোটি টাকা হোয়াইট করেছে। কিন্তু ওই ব্যাংক আজ পর্যন্ত আমাকে তথ্য দেয়নি। তদন্ত করে দেখা গেল, এসআইবিএলের পটিয়া শাখায় ২১ ডিসেম্বরে পে অর্ডার কেটেছে। পরে ক্লিয়ারিং হয়। অথচ আইন শেষ হয়ে গেছে ৩০ জুন। “তখন সে ব্যাংক ওলটপালট করে আগের ডেটে পে অর্ডার দেয়। এটা হেড অফিস থেকে করা হয়। আরো অনেক সমস্যা আছে। আমরা ধরেছি।” ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আজও একটা রানিং ব্যাংক চেয়ারম্যানের ১২১ কোটি টাকা ব্লক করেছি।” এর পাশাপাশি ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে এসব ‘অলিগার্ক শ্রেণির’ বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের কাজ করার অনুরোধ জানান সিআইসির মহাপরিচালক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া সব দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমার হাতে অসংখ্য ব্ল্যাংক চেক আছে অনেক ব্যাংকের। অনেক তথ্য আছে। ইনফরমেশন ইজ দেয়ার।” এ সময় বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর কমিশনার মো. খাইরুল ইসলামও একইরকম তথ্য সামনে আনেন। তবে তিনি কারো নাম বলেননি। তার ভাষ্য, “অনেক স্টেটমেন্ট এনে দেখছি যে হিউজ টাকা শুধু ডেবিটই হচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। টাকাটা শুধু উত্তলোন হচ্ছে। প্রতিদিন শুধু হিউজ টাকা উত্তলোন হচ্ছে এই করদাতাদের। এই টাকাগুলো কোথায় যাচ্ছে? কোথায় যায় এই প্রশ্ন যখন করি, আর উত্তর দিতে পারেন না।” ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান ম. আবদুর রহমান খান বলেন, “এটা আপনাদের আইনি দায়িত্ব। আইনে কঠোর কথা বলা আছে। “আপনারা (ব্যাংক কর্মকর্তারা) যারা ট্যাক্স অথরিটিকে সহায়তা করবেন না, তারা ডিফল্ট অ্যাসেসি হিসেবে গণ্য হবেন। এবং একজন ডিফল্ট অ্যাসেসির বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া যায়, আমাকে যারা সহযোগিতা করে নাই তাদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।” তিনি বলেন, “ব্যাংকওয়ালারা দুষ্টু আছেন। কথায় কথায় চার্জ কাটেন। আমাদের সহযোগিতা না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। আমরা অনেক ডেভিয়েশন করেছি। এভাবে চলার সুযোগ নেই। “গোয়েন্দা কার্যক্রম করতে প্রচুর তথ্য দরকার। আপনারা আমাদের বড় সোর্স। এবং এটা আইনি। আমরা জেল দিই না বলে এখানে এত ফাঁকি। ধীরে ধীরে আমাদের তথ্য আদানপ্রদান অটোমেশন করতে হবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে যেন তথ্য পাওয়া যায়।”