বৈশ্বিক পোশাক শিল্পে অবদানের সম্মাননা পেল বিজিএমইএ


বৈশ্বিক পোশাক শিল্পে অবদানের সম্মাননা পেল বিজিএমইএ

বাংলাদেশের পোশাক খাতের আন্তর্জাতিক সাফল্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছালো। বৈশ্বিক পোশাক শিল্পে অসাধারণ অবদান, নৈতিক ও টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের পক্ষ থেকে দুইটি মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা অর্জন করেছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারের ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেলে আয়োজিত এক প্রদর্শনী ও মেলায় বিজিএমইএ এই সম্মাননা গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজিত হয় গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ–ইউএসএ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিইউসিসিআই) এবং নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার ইনক.

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের সার্টিফিকেট অব রিকগনিশনের মাধ্যমে সিনেটর লুইস আর. সেপুলভেদা (৩২তম সিনেট জেলা) বিজিএমইএকে স্বীকৃতি দেন এর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ–মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ক সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মাননাটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করেন।

মেলার উদ্বোধক ছিলেন ইউএস স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (SBA) প্রশাসক মিস কেলি লফলার। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের অফিসের দিলিপ চৌহান, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক জাফে, ফ্লোরিডার মেয়র ডেভিড ডিউই, ফ্যাশন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের নির্বাহী প্রযোজক ভিক্টোরিয়া ম্যাকডুগাল, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিভিউ-এর চেজারে কোস্টান্তিনি এবং সোসাইটি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক রিভিউ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবীণ জাতিসংঘ সংবাদদাতা গ্লোরিয়া স্টার কিনস।

নিউইয়র্ক স্টেটের এই দ্বৈত সম্মাননা বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) খাতকে নৈতিক উৎপাদন, উদ্ভাবন এবং টেকসই ব্যবসায়িক চর্চার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

বিজিএমইএ এই সম্মাননার জন্য নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি, সিনেটর লুইস আর. সেপুলভেদা এবং আয়োজক সংগঠনগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানিয়েছে, “এই অর্জন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি যে, টেকসই উন্নয়ন, নৈতিক সোর্সিং এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক খাতকে আরও শক্তিশালী ও বৈশ্বিক মানের স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর।”

বিজিএমইএর এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পে আরও বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×