জুলাই-আগস্টে ৬৭ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করল বাংলাদেশ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৩৫ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি অর্থবছরের শুরুর দুই মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধে বড় অঙ্কের অর্থ গুনতে হয়েছে বাংলাদেশকে। জুলাই ও আগস্ট মাসে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে মূলধন ও সুদ মিলিয়ে মোট ৬৭ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করেছে সরকার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের এই প্রাথমিক সময়ে যেমন ঋণ পরিশোধ বেড়েছে, তেমনি বৈদেশিক অর্থছাড় ও নতুন প্রতিশ্রুতির পরিমাণেও কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে।
সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে মোট পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এর মধ্যে ৪৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলার পরিশোধ হয়েছে মূলধন হিসেবে এবং বাকি ১৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলারেরও বেশি গেছে সুদ পরিশোধে।
তুলনামূলকভাবে, গত অর্থবছরের একই সময়কালে বাংলাদেশ সরকার প্রায় ৫৯ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বিদেশি ঋণের বিপরীতে। আর এবার এই সময়টিতে পরিশোধ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ হাজার ১৩১ কোটি টাকায়, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৬ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, এ দুই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ৭৫ কোটি ৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের ৪৬ কোটি ডলারের তুলনায় অনেক বেশি।
ঋণপ্রবাহের পাশাপাশি বৈদেশিক প্রতিশ্রুতিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে নতুন বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ২৪ কোটি ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে তা ছিল ২০ কোটি ডলার।
ইআরডি জানায়, “গত বছরের তুলনায় দেশে ঋণের প্রবাহ বাড়িয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা, চলতি বছরের দুই মাসে ৭৫ কোটি ৬ লাখ ডলার ঋণ এলেও গত বছরের একই সময়ে এসেছিল প্রায় ৪৬ কোটি ডলার।”
বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও অর্থ প্রবাহ এবং প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের জন্য কিছুটা স্বস্তির জায়গা তৈরি করেছে।