ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন পরীক্ষা সংক্রান্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১১:৩৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মীদের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য ইসলামী ব্যাংক বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়। এ প্রেক্ষিতে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক কিছু কর্মকর্তাকে "নিয়োজিত কর্মকর্তা" শূন্য ঘোষণা করা হয়।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষয়টি ইসলামী ব্যাংকের বিধি ও নীতি বিভাগ (ভিডিওন-২) থেকে নিষ্পত্তি করে যথাযথভাবে রিটার্ন করা হয় এবং ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে, “ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন লভ্যাংশ বণ্টনকারী প্রতিষ্ঠান। এর কর্মচারীরা দেশীয় প্রচলিত আইন, বিধি-বিধান এবং নিয়োগের শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কর্মচারীদের চাকরি ও ব্যাংকের লাভ-লোকসান একে অপরের সাথে জড়িত নয়, বরং ব্যাংক নিজস্ব বিধি-বিধান অনুসরণ করে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।”
ব্যাংক আরও জানায়, বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষাটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ও আইবিএ-এর মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা হয়। এ পরীক্ষার আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো আইন লঙ্ঘন বা আদালত অবমাননার ঘটনা ঘটেনি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ইসলামী ব্যাংক তাদের বিবৃতিতে পরিষ্কারভাবে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি একটি শরী‘আহ্ কমপ্লায়েন্ট ব্যাংক হিসেবে রাষ্ট্র ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সকল নিয়মাবলি পরিপালন করে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই মূল্যায়ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যাংকের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করে সম্মানিত গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।