নতুন রূপে রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘রূপালীক্যাশ’
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:১৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রূপালী ব্যাংক পিএলসি এবার নিজেদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নতুন করে সাজিয়ে আনছে ‘রূপালীক্যাশ’ নামে, যেখানে থাকছে উন্নত প্রযুক্তি এবং আধুনিক ফিচার। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই সেবা চালু করা হবে।
এর আগে, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকের পুরনো মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ‘রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত পর্যন্ত ‘রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ’ পরিচালিত হচ্ছিল ওএসভি বাংলাদেশ লিমিটেডের (ওএসভিবিএল) প্রযুক্তিগত সহায়তায়। তবে এবার রূপালী ব্যাংক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ‘রূপালীক্যাশ’ পরিচালনা করবে। নতুন প্ল্যাটফর্মটি আরও গ্রাহকবান্ধব ও নিরাপদ বলে জানানো হয়েছে।
রূপালী ব্যাংক ইতোমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশজুড়ে উপবৃত্তি, ভাতা ও ভর্তুকির অর্থ বিতরণসহ নানা ধরনের সেবা দিয়ে আসছে। নতুন ‘রূপালীক্যাশ’-এর মাধ্যমে এসব কার্যক্রম আরও দ্রুত ও সহজভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
মোবাইল ব্যাংকিং বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান সরকার বলেন, “গ্রাহকদের কথা চিন্তা করেই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসছি। গ্রাহকরা নিজেদের লেনদেনের স্টেটমেন্ট দেখতে, শেয়ার ও ডাউনলোড করতে পারবেন কোনো ধরনের চার্জ ছাড়াই। এছাড়া, তারা বাসায় বসেই রূপালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিতে এবং জমা দিতে পারবেন। নতুন ‘টোকেন ফিচার’-এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ছাড়াই রূপালীক্যাশ এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করা যাবে, যা অন্য কোনো এমএফএসে পাওয়া যায় না।”
‘রূপালীক্যাশ’-এর মাধ্যমে গ্রাহকরা ই-কেওয়াইসি ভিত্তিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, মোবাইল ওয়ালেট ব্যালেন্স চেক করা থেকে শুরু করে এক ওয়ালেট থেকে অন্য ওয়ালেটে টাকা স্থানান্তরের মতো সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া, থাকছে নগদ উত্তোলন ও জমা, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণ, বেতন লেনদেন, মোবাইল রিচার্জ এবং মার্চেন্ট বিল পরিশোধের ব্যবস্থাও।
বর্তমানে রূপালী ব্যাংকই একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, যারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করছে। ‘রূপালীক্যাশ’ দেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও বেগবান করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে, এই সেবা সমাজের প্রান্তিক জনগণের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।