দুর্গাপূজায় ইলিশ, ভারতের অনুরোধ আর ১২০০ টন রপ্তানি


দুর্গাপূজায় ইলিশ, ভারতের অনুরোধ আর ১২০০ টন রপ্তানি

দুর্গাপূজার উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিবেশী ভারত পাচ্ছে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারও বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই মাছ রপ্তানি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রপ্তানির পরিমাণ কম এবং মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও সদরে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানান, “প্রতিবেশী হিসেবে এবং ভারতের বারবার অনুরোধে দুর্গাপূজায় ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

বাংলাদেশ থেকে দুর্গাপূজার আগে প্রতিবছরই ইলিশ রপ্তানি করা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গে এই সময় ইলিশের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ে। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, “আমরা বারবারই বলেছি, দেশের চাহিদাকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের অনুরোধে কিছু ইলিশ পাঠাতে হচ্ছে। তবে এবারে চাহিদার তুলনায় অনেক কম এবং তুলনামূলক বেশি মূল্যে দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এর আগেও একই কথা বলেছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যবশত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে তাদের পাঠাতে হয়েছে। তবে চাহিদার চেয়ে কম পাঠানো হয়েছে। এবারে দামও বাড়িয়ে রাখা হয়েছে।”

এর আগে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এবারের রপ্তানিযোগ্য ইলিশের প্রতি কেজির ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৫২৫ টাকা। প্রজ্ঞাপনটিতে সই করেন উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী।

গত বছর দুর্গাপূজার সময় প্রথমে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে তা কমিয়ে ২,৪২০ টনে নামিয়ে আনা হয়।

এদিকে এবারের ইলিশ রপ্তানির ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ঘিরে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক। তবে সরকার বলছে, সীমিত পরিমাণ ও উচ্চ মূল্যে রপ্তানি করে দেশের বাজারেও প্রভাব পড়বে না।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×