এক বছরে দেশে বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার: বিবিএস


এক বছরে দেশে বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার: বিবিএস

দেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪’ বলছে, গত এক বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৬০ হাজার।

জরিপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষে দেশে মোট বেকার ছিল ২৪ লাখ ৬০ হাজার, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২০ হাজারে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে ঢাকা বিভাগে। এখানেই বেকারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি - প্রায় ৬ লাখ ৮৭ হাজার। তাদের মধ্যে অধিকাংশই স্নাতক ডিগ্রিধারী।

বিবিএস-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার কমেছে, অথচ বেকারত্বের হার উল্টো বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়াই এই সংকটের মূল কারণ। সবচেয়ে বড় ধাক্কা খাচ্ছে তরুণরা। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী যেসব যুবক-যুবতী বেকার আছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ২৯ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান।

অন্যদিকে, দেশের শ্রমবাজারে নিরক্ষর শ্রমিকের সংখ্যা এখন ১ কোটি ৩০ লাখ। দক্ষতা সংকটের কারণে এসব শ্রমিক উৎপাদনশীল খাতে আশানুরূপ অবদান রাখতে পারছেন না। বিশেষ করে শিল্প ও সেবা খাতে কাজ করলেও অনেকেই পান না ন্যায্য পারিশ্রমিক।

প্রতিবেদনে কর্মসংস্থানের খাতেও বড় ধরনের বৈষম্যের চিত্র উঠে এসেছে। বর্তমানে দেশের মোট কর্মজীবী মানুষের ৮৪ শতাংশই কাজ করছেন অনানুষ্ঠানিক খাতে। গ্রামীণ এলাকায় এই হার ৮৭.৫৮ শতাংশ, আর শহরে তা ৭৩.৭৬ শতাংশ।

এর মানে, দেশের অধিকাংশ শ্রমিক এখনো শ্রম আইনের সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×