তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার চীনের


তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার চীনের

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে ২০টিরও বেশি নতুন চীনা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চীনা দূতাবাসে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “গতবছর থেকে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল খাতের ২০টিরও বেশি নতুন চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা বাস্তবায়িত হলে ওইসব খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে।”

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী, তবে উচ্চ শুল্ক ও সহায়ক নীতিমালার অভাব এ খাতে বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে নীতিমালা যুগোপযোগীকরণের আহ্বান জানান এবং ঢাকা চেম্বারকেও সহযোগিতার অনুরোধ করেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়।” তিনি সম্ভাবনাময় অন্যান্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

বৈঠকে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে চীন থেকে আমদানি হয়েছে ১৬.৬৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এবং বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের সুযোগ কাজে লাগাতে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা প্রয়োজন।”

এছাড়া ডিসিসিআই সভাপতি চীনকে অবকাঠামো, জ্বালানি, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, চিকিৎসা সরঞ্জাম, এপিআই, সেমিকন্ডাক্টর এবং জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×