আরএমজি রপ্তানি তো হচ্ছেই, আরও নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:০৬ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০২৫ সালের পরিবর্তনের বাংলাদেশে অর্থনীতির গতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন গ্রোথ ড্রাইভার খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআই-এর ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আরএমজি রপ্তানি হচ্ছে, সেটা তো আছেই, নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে। ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ও চামড়ার খাতের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া, তিনি দুর্নীতি এবং হয়রানিকে রাষ্ট্রীয় ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, চীন থেকে আমেরিকার আমদানি সরছে, আর আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিকল্প বাজার খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।
তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা, বাণিজ্য সুবিধা, পণ্যের বৈচিত্র্য এবং শাসনব্যবস্থা উন্নয়নের ওপর জোর দেন, যাতে বাণিজ্য যুদ্ধে তৈরি নতুন সুযোগ কাজে লাগানো যায়।
বাংলাদেশ শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠন (এফবিসিসিআই)-এর সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং সংগঠনটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের পর সংগঠনটির নেতৃত্বে একজন সাবেক আমলাকে বসানো হয়েছে, যার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ব্যবসায়ীরা বর্তমান অবস্থায় এতিমের মতো, তারা কোথায় যাবে, কী করবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ বন্দরের শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে এবং নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সংগঠনের সাবেক নেতা আব্দুল হকও বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ও করণীয় বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা এফবিসিসিআই-এর ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন। তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হলেও সংগঠন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এফবিসিসিআই-এর কার্যকর ট্রেড বডির ভূমিকায় দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হয়। এছাড়া, বিবিএফ-এর পক্ষ থেকে আব্দুল হকের নেতৃত্বে এফবিসিসিআই নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়।