বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের সহযোগিতা চাইলো ডিসিসিআই


বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের সহযোগিতা চাইলো ডিসিসিআই

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চীনা দূতাবাসে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় এ অনুরোধ জানান তিনি।

আলোচনায় তাসকীন আহমেদ জানান, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৬.৬৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি করেছে ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও এলডিসি উত্তরণে চীনের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাসকীন আরও বলেন, চীন বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। অবকাঠামো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, শিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, লজিস্টিকস, চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্বাস্থ্যসেবা, এপিআই, সেমিকন্ডাক্টর ও জাহাজ নির্মাণ খাতে চীনের অতিরিক্ত সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, “বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।”

জবাবে, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, “গত এক বছরে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে ২০টিরও বেশি নতুন চীনা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।” তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা আরও বাড়বে।

ইয়াও ওয়েন জানান, চীনা উদ্যোক্তারা ইলেকট্রিক ভেহিকল খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী, তবে উচ্চ শুল্ক ও নীতিমালার ঘাটতি এ খাতের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে নীতিমালার যুগোপযোগীকরণে উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছি।” এ প্রক্রিয়ায় ঢাকা চেম্বারকেও অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের মোট রফতানির ৮৫ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে; যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়।” এজন্য রপ্তানির বহুমুখীকরণ ও অন্যান্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×