৪৮০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি: আমান গ্রুপের চার পরিচালককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৫৭ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৫
৪৮০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে আমান গ্রুপের চার পরিচালককে দেশের বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ব্যাংক এশিয়ার দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫ এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন—গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, মো. তৌফিকুল ইসলাম এবং মো. তরিকুল ইসলাম। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, আমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানির খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংক এশিয়া মোট সাতটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে এক মামলায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে চার পরিচালকের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একাধিকবার পুনঃতফসিলের সুযোগ নেওয়ার পরও ঋণ পরিশোধ না করায় তাদের ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ হিসেবে বিবেচনা করে আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে একই দিন ইউসিবি ব্যাংকের দায়ের করা আরেক মামলায় ঢাকা অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম জাকারিয়া হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধেও বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন অর্থঋণ আদালত-৫ এর বিচারক।
প্রসঙ্গত, আমান গ্রুপের মালিকানাধীন বেশ কয়েকটি বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে—যার মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড মিলস ও আমান কটন ফাইবার্স ছাড়াও রয়েছে আমান টেক্স, আমান সিমেন্ট মিলস ও আমান ট্রেডিং।
এর আগে ২০২২ সালে প্রতারণার এক মামলায় জেল খেটেছেন রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও তৌফিকুল ইসলাম। ওই মামলায় অভিযোগ ছিল, যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে মেসার্স আরএস অ্যান্ড টি ইন্টারন্যাশনালের নামে তারা ৮৮ কোটি টাকা ঋণ নেন। এ ঋণের বিপরীতে ১১৩ শতক জমি বন্ধক রাখা হলেও, পরে প্রতারণার মাধ্যমে সেই জমি অন্যত্র হস্তান্তর করা হয়। ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংক এই ঘটনায় মামলা করে। এরপর ২০২২ সালের ২৩ মে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।