জুলাইয়ে রপ্তানি বেড়েছে ২৫ শতাংশ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:২৯ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মাসেই রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩.৮২ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি আয়ের এই বড় অংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যেখানে আয় দাঁড়িয়েছে ৩.৯৬ বিলিয়ন ডলারে—২৪.৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে নিটওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে ২৬.০১ শতাংশ, যার পরিমাণ ২.১৭ বিলিয়ন ডলার। ওভেন পোশাক রপ্তানিও ২৩.০৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলার।
হোম টেক্সটাইলস রপ্তানি থেকেও ভালো আয় এসেছে—৬৮.০৮ মিলিয়ন ডলার, যা ১৩.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৫.৪৪ মিলিয়ন ডলারের, যা ৪.৯২ শতাংশ বেশি।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি বেড়ে হয়েছে ১২৭.৩৮ মিলিয়ন ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ২৯.৬৫ শতাংশ। কৃষিপণ্য খাত থেকেও ১২.৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, মোট আয় হয়েছে ৯০.৫০ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো হিমায়িত ও জ্যান্ত মাছ রপ্তানি, যেখানে প্রবৃদ্ধি ৪২.৭১ শতাংশ। এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৪১.২০ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতেই এসেছে ৩১.২৩ মিলিয়ন ডলার—৪৭.৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ।
প্রযুক্তি ও শিল্পপণ্য খাতেও ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানি ৭৪.৪৫ শতাংশ বেড়ে ৫৮.২৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতেও ৭.৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আয় হয়েছে ২১.১৬ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহুমুখীকরণ এবং বৈচিত্র্যময় বাজারে প্রবেশের কৌশল এই প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।