ভালো দিক না দেখার প্রবণতা কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদদের মধ্যে: অর্থ উপদেষ্টা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:২৪ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫
কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদদের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তাঁর মতে, তরুণ অর্থনীতিবিদদের একটি বড় অংশ সরকারের কোনো ইতিবাচক উদ্যোগই দেখতে পান না।
সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘অনেক কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এখন নাকি কিছুই (ভালো) দেখেন না। দেখতে হলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হয়। আর যদি দেখতে না চাই, তাহলে দেখা যাবে না।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ স্মরণ করিয়ে দেন, ‘১৯৭০ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি। অনেকেই আমার ছাত্র। বর্তমান গভর্নরও আমার ছাত্র। আমাদের অনেক ভুল ত্রুটি আছে। তবে ভালো দিকগুলো উৎসাহিত করলে ভালো লাগে।’
এনবিআর আয়োজিত এই সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল চলতি অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং শুল্ক নীতির পরিবর্তনগুলো গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। বক্তব্য দেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা কেবল গ্লাসের খালি অংশটা না দেখে যে অর্ধেকটা ভরা আছে, সেটাও দেখুন। আমরা নাকি ফ্যাসিস্টের পথে চলে যাচ্ছি। সমালোচনা গঠনমূলক হলে ভালো হয়; মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখলে তা আবার ঠিক হয় না। হ্যাঁ, আমাদের ভুল আছে, আমরা সাধু নই।’
সেমিনারে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে মৌলিক কিছু নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাস্টমে অনেক ফাঁকি আছে। এসব খতিয়ে দেখা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে। আইন করে রাজস্ব বাড়ানো যাবে না, যদি এসবের বাস্তবায়ন না থাকে।’
তিনি কর ফাঁকির উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘গতবার সিগারেটে আমরা কর বাড়ালেও রাজস্ব আদায় বাড়েনি। অনেকেই বিদেশি সিগারেট খান। কিন্ত এসব বৈধভাবে আসে না।’
রাজস্ব ঘাটতি প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব সময় বাজেটে এনবিআরকে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। লক্ষ্যমাত্রা বড় না হলে বেশি দূরে যাওয়া যায় না। এবার আমরা লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাস্তবায়ন কার্যকর না হলে রাজস্ব আদায়ে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি আসবে না। এজন্য নীতি সংশোধনের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে নজরদারি জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।