আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে


আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে

অর্থ ‘নয় ছয় করার’ অভিযোগে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে আল আরাফাহ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরীকে।

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ রোববার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক শাহরিয়ার সিদ্দিক জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয় না এ ব্যাপারে। তবে কোনো ব্যাংকের পর্ষদ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কনসেন্টের প্রয়োজন হয়।"

ফরমান আর চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারও ফোন ধরেননি।

২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে আল আরাফাহ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ফরমান আর চৌধুরী। ২০২১ সালের অগাস্টে মেয়াদ পূর্তির পর তাকে পুনর্নিয়োগ দেয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “ব্যাংকের এজেন্ট বিভাগে অর্থ ‘নয় ছয়’ করার ঘটনায় পরিচালনা পর্ষদ তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে।”

২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতের সংস্কারে নামে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় ব্যবসায়ী এস আলমের দখলে ছিল আল আরাফাহ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলমের ভাই আব্দুস সামাদ লাবু।

দেশে পটপরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংকগুলো নিয়ে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ প্রেক্ষাপটে নিজেই পদ ছেড়ে দেন আবদুস সামাদ। তখন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন সেলিম রহমান। তিনি কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমানের ছেলে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।আল আরাফাহ এর নতুন পর্ষদে চেয়ারম্যান করা হয় লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়াকে। তার সঙ্গে থাকা অপর চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ ও হিসাববিদ মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আল আরাফাহ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে নানা রকম অনিয়ম ধরা পড়েছে। ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের বিষয়েও তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।”

সর্বশেষ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তার আগে ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×