শিবলী রুবাইয়াতের জামিন চাইলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা!

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের রিমান্ড শুনানিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন জামিন চেয়ে শুনানি করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রিমান্ড শুনানির জন্য দুপুর ১২টায় এজলাসে তোলা হয় তাকে। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করার স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। যে টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে সেটা কোনো অবৈধ টাকা না। এখানে কোনো মানি লন্ডারিংয় হয়নি।’ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। এর আগে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান। ওই দিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। বুধবার দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে শিবলী রুবাইয়াতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন মোনার্ক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ. মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের প্রোপাইটর আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির দিলকুশা শাখার ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের সাবেক ইনচার্জ ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন, এসইভিপি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আসামি শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এক কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার ঘুষ গ্রহণ করেন। এছাড়া ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে।’ ব্যাংক কর্মকর্তারা কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স অনুসরণ না করে, পণ্য রপ্তানির বিপরীতে কোনরূপ রেকর্ডপত্র না পেয়েও কর্তব্যে অবহেলা ও পরস্পর যোগসাজশে 'নিজের বা অন্য কারও অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তিন লাখ ৬১ হাজার ইউএস ডলার টাকা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে তিনি এক কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন।

নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দিলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা

নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ তিন স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপার এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের তিনটি ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের ম্যুরালটি ভাঙা হয় ৷ এরপর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের ম্যুরালটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ডিসি অফিসের নিচে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত কর্নারও ভেঙে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘অনেক কষ্টের বিনিময়ে এই ফ্যাসিস্টদের পরাস্ত করা হয়েছে। অবশেষে তারা পালিয়ে গেছে। কিন্তু ফ্যাসিস্টরা নানা চিহ্ন রেখে গেছে। যে কারণে আমরা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টদের সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এখানে জুলাই আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জের শহীদদের নামের তালিকা স্থাপন করা হবে।’ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘স্বৈরাচারের এই চিহ্নগুলো ২৪-এর গণ-আন্দোলনের চেতনাকে কলুষিত করে। এই শহরে এসব চিহ্ন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আগামীতে সকল স্বৈরাচারের প্রতীক এভাবেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সাবেক সভাপতি আব্দুল বারী ভূঁইয়া, মহানগর বিএনপির সদস্য রফিক আহমেদ, জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জাকিরসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

হাইকোর্টে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা

তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ঈশ্বরদী থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আক্তার। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত সাংবাদিককে কাকরাইলস্থ ইসলামী ব‍্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় বৈশাখী টেলিভিশনের মাইক্রোফোন ভাংচুরসহ মারধর করা হয় আরও কয়েকজন সাংবাদিককে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায় ঘোষণার পর বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা। হঠাৎ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের উপস্থিতিতে দলটির শতাধিক নেতাকর্মী হট্টগোল শুরু করেন। এর প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ব্রিফিং বর্জনের পাশাপাশি অ্যানেক্স চত্বরে বসে পড়েন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি জানান সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সাংবাদিকরা।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সব আসামি খালাস

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ জনসহ সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়। আলোচিত এই মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে ফাঁসি ও ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আসামিদের সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। এরইমধ্যে এ মামলার পাঁচ আসামি মারা গেছেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন তিনি। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছলে শেখ হাসিনার অবস্থা লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় দাসকে জামিন দিতে হাইকোর্টের রুল

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। গত ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পর দিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।

মানহানির মামলায় সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিচার শুরু

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হল। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি একই আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ছিল। ওইদিন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন। একইসঙ্গে তাপসী তাবাসসুমের জামিন মঞ্জুর করেন। তার আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত আসামিকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। মামলার আবেদনে বলা হয়, ‘গত ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা জনাব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লিখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।’

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ৫ দিনের রিমান্ডে

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে তোলা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবী রানী রায় এ রিমান্ড দেন। এর আগে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামিপক্ষে আইনজীবী হিসেবে আদালতে শুনানিতে অংশ নেন লিগ্যাল এইডের অ্যাডভোকেট ইতফা আক্তার। এর আগে সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে রাত ৯টার দিকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির মধ্যে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাহামুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলেসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে কালীগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে লালমনিরহাট জেলাতেও ৫ আগস্টের পর সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে আটটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার বলেন, গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। সাবেক এ মন্ত্রীকে চেকআপের জন্য রংপুর মেডিকেলেও নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার রিমান্ড আবেদনের জন্য আদালতে তোলা হয় তাকে।

ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী হওয়ার অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।’ গত ১৬ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাদের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ওই ১২ বিচারপতি হলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া দলবাজ বিচারপতি হিসেবে চিহ্নিতদের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন সংগঠন। এ ছাড়া সাধারণ আইনজীবীরাও দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন।

এবার মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু

অস্ত্র মামলায় বিচার শুরুর আদেশের দুই দিন পর এবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। রাজধানীর রমনা থানায় করা মাদক মামলাটিতে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পাশাপাশি তার জামিন বাতিন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালীন ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওইদিন বেলা ২টার দিকে র‌্যাবের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। এ সময় তার কার্যালয় অবৈধ পশুর চামড়া পিস্তল এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।পরদিন র‌্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর তিনি জামিন পান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। সম্রাট কারাগারে থাকা অবস্থায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এখনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি। তবে অস্ত্র আইনের মামলায় গত মঙ্গলবার সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত।

প্রতারণা মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রীর কারাদণ্ড

প্রতারণার দায়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী তৌসিফ মাহমুদ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে ইভ্যালি থেকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ বাইক অর্ডার করেন মামলার বাদী তৌফিক মাহমুদ। মূল্য বাবদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। ৩ এপ্রিল তিনি আর ওয়ান ফাইভের আরও দুটি বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্য বাবদ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক তিনটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। পরে ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ তৌফিক মাহমুদকে দুটি চেক দেয়। ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়। টাকা আদায়ে বারবার তাগাদা দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু রাসেল-শামীমা কোনো টাকা ফেরত না দেয়ায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি। পরে ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন তৌফিক মাহমুদ।

কারাগারে ফ্লোরেই ঘুমান সালমান এফ রহমান

কারাগারে থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের চক্রান্ত করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আদালতে এসেও সরকারের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তানুসারে সবাইকে ‘প্রস্তুত’ থাকতে নির্দেশনা দেন সালমান এফ রহমান।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টার বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখাতে সোমবার সকালে সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১০ জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।এদিন সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে ১০টা ২২ মিনিট পর্যন্ত ধাপে ধাপে আদালতের হাজতখানা থেকে এই ১০ আসামিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের এজলাসে তোলা হয়। কাঠগড়ায় আসা মাত্রই আসামিদের আইনজীবীরা তাদের কাছে চলে আসেন। তখনও বিচারক এজলাসে এসে শুনানি শুরু করেননি। এই সুযোগে সালমান এফ রহমানের কাছে তার আইনজীবী গোলাম মোনতাজা ও মুকুলসহ আরও কয়েকজন হাজির হন। মোনতাজাকে কাছে ডেকে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের কী খবর? এরা কী করতেছে? সরকার আমার ৪০ হাজার শ্রমিকের চাকরি খেয়েছে। ১০ হাজার শ্রমিক মাঠে নামলেই তো হয়। আমি চাইছিলাম কোম্পানিটা চালানো হোক। এখন দেশের যে অবস্থা।’এ সময় সালমান এফ রহমান আইনজীবীদের কাছে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। তখন তাকে আইনজীবীরা জানান, ‘রোববার ইবতেদায়ি শিক্ষকদের মারধর করা হয়েছে। রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়েছে। শুনেছি ২ জন মারাও গেছে স্যার।’এ সময় সালমান এফ রহমান মুচকি হেসে বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) কী বার্তা দিয়েছেন।’ এ সময় আইনজীবীরা কোনো উত্তর না দিলেও তিনি পুনরায় বলেন, ‘নেত্রীর বার্তা অনুযায়ী সবাইকে রেডি থাকতে বলেন।’ এ সময় বিভিন্ন আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশ, বিচারপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তখনো বিচারক এজলাসে না থাকায় শুনানি শুরু হয়নি।এ সময় একজন সাংবাদিক সালমান এফ রহমানের কাছে কারাগারে কেমন আছেন বলে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা যে লেখে-আমাকে হটপটে খাবার দেয়। এসব মিথ্যা। ঠিক সময়ে খাবার দেয় না। রাতের খাবার বিকাল ৪টায় দেয়। এছাড়া কুরআন শরিফ দেয় না। জায়নামাজও দেয় না। ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেয় না অনেক আগে থেকেই। আমি ফ্লোরে ঘুমাই।’সে সময় সেখানে উপস্থিত এক আইনজীবী আল ইমরান (মুকুল) বলেন, ‘উনি বলছিলেন বেক্সিমকোর ৪০ হাজার শ্রমিকের কাজ বন্ধ। বিভিন্ন ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিচ্ছে। ’ তিনি বলছিলেন, আমার কোম্পানি বন্ধ করলে আমি করব, সরকার কেন করবে। এসব নিয়ে বিভিন্ন কথা বলছিলেন।’ নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুত থাকার বিষয়ে কী বার্তা দিচ্ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ সময় আমি ছিলাম না।’এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে রিট

সুপ্রিম কোর্টে দায়েরকৃত জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলাসমূহের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করা হয়। আইনজীবীসহ ১০ জন বাদী হয়ে এই রিট দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, ঢাকা কোর্টের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী মাহমুদুল হাসান, সাব্বির আহমদ এবং চারজন আইনের ছাত্র বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন। রিটকারীদের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইন দ্বারা স্বীকৃত। স্বচ্ছ বিচার পাওয়া সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫ অনুযায়ী স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতামূলক বিচার একটি মৌলিক অধিকার। তাই রিটটি দায়ের করা হয়েছে। শিশির মনির বলেন, রিটে নিম্নোক্ত বিষয় চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহের শুনানি কেন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে না এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে যেন আপিল বিভাগে চলমান গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করার ক্ষেত্রে লজিস্টিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। রিটে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

ফের ৩ দিনের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সালমান এফ রহমানকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মোজাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত ২১ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান ভিকটিম মো. আমিন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৯৯ জনকে এজাহারনামীয় করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি পেছাল

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের কার্যতালিকায় আবেদনটি তিন নম্বরে ছিল। কিন্তু একজন বিচারপতি অসুস্থ থাকায় আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ শুনানি হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। আইটেম নম্বর এক। একজন বিচারপতি অসুস্থ থাকায় ২০ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, ৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রিভিউ আবেদনের শুনানি ২৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছিল। আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন আজহার। এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে।

সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার একটি আদালতে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর একটি হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল। রিমান্ড শুনানির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগ সরকার আমলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিবর্গ এবং দলটির অনেক নেতা আত্মগোপনে যান। তাদের অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলে খবর এসেছে। কেউ কেউ গ্রেফতার হয়েছেন ও হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। সেগুলো হলো, মো. আল শাহরিয়ার হোসেনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা, অটোরিকশা চালক মো. রনি হত্যা মামলা, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব হত্যা মামলা। সবগুলো মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের যৌথ হামলার অভিযোগ রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে অধ্যাদেশ জারি

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ করতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, ‘অধ্যাদেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কাউন্সিলের বিধান করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের দুজন বিচারক (একজন অবসরপ্রাপ্ত ও একজন কর্মরত), হাইকোর্টের দুজন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়ে ছয় সদস্যের এই কাউন্সিল গঠন করা হবে।’ এ কাউন্সিল নিজ উদ্যোগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, `একই সঙ্গে যে কোনো মানুষ, যে কোনো আইনজীবী যাতে নিজের ইচ্ছায় আবেদন বা কারও নাম প্রস্তাব করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আছে। এই কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর সাক্ষাৎকার নেবে। এই কাউন্সিলের নাম হবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল।’ আসিফ নজরুল আরো বলেন, ‘উচ্চ আদালতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ, দক্ষ ও দলনিরপেক্ষ এবং প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিয়োগ হবে- এমন একটি চাহিদা সমাজে বহু বছর ধরে ছিল। এখন এ বিষয়ে আইন হয়েছে। একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারকেরা নিয়োগ পাবেন বলে আশা করি।’ সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি সমাজে দীর্ঘ দিন ধরে আছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। এটির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একটু সময় লাগছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য।’

সাবেক সাংসদ মোস্তফা জালাল পাঁচ দিনের রিমান্ডে

ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে সোমবার ভোরে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের মনসুরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর ভাগনি জামাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন। এর আগে ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে করা হয়। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে থাকা অবস্থায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আরও কয়েকটি মামলায়।

দশ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

অস্ত্র মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল মঞ্জুর করে সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার মো. সাব্বির হামজা চৌধুরী। ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ অস্ত্র আইনে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় একই বছরের ৩ জুলাই ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। গত ৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ও মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এর আগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকা গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা হয়।

নতুন মামলায় গ্রেফতার সালমান-আনিসুল-দীপু-পলকসহ ১৬ জন

নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক মন্ত্রী আসিনুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৬ জনকে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আদালতে তাদের নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার চারটি ও মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সালমান এফ রহমানকে। একই থানার ৫টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে জাসদের একাংশের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে। যাত্রাবাড়ী থানার সাতটি, মোহাম্মদপুর থানার একটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে। যাত্রাবাড়ী থানার দুটি এবং সূত্রাপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। আদাবর থানার মামলায় নতুন করে গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার ছয়টি, মোহাম্মদপুর থানার দুইটি, সূত্রাপুর থানার দুইটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হকও। এ ছাড়াও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ স্বপন, মো. জুলহাস ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফাকেও।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা করার আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কে, কিসের ভিত্তিতে ক্ষমা পাচ্ছে তার কোনো নীতিমালা নেই। যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইতোমধ্যেই এই ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্ষমা পেয়েছে। যার মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকির অন্যতম। আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বছরের পরে বছর রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকা হয়। ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে, নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, সরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি হবে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিএনপির পক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন। আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদন একসাথে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা ও তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন রোববার (১৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রোববারের শুনানির কার্যতালিকার ১৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন। আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে গেল ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

আমি কারাগারে বৈষম্যের শিকার: পলক

কারাগারে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রিমান্ড শুনানির জন্য তাদের আদালতে হাজির করা হয়।বুধবার পলকের পক্ষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে একটি আবেদন করেন পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি। আবেদনের শুনানিকালে তিনি বলেন, ‘আড়াই মাস ধরে কারাগারে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বৈষম্যের শিকার। তাকে অন্তত পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’ এ সময় বিরোধিতা করে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আসামি পলক। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে এখন ফোনে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। ফোনে কথা বলতে দিলে তিনি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে পারেন। তাই, তাকে ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। শুনানি শেষে বিচারক আসামি পলকের কারাগারে ফোনে কথা বলার আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই দিনে পলকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ’ পরে পলক শুনানি শেষে আদালত থেকে কোর্ট হাজতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। ‘কারাগারে আমি বৈষম্যের শিকার। আমাকে কারাগারে কথা বলতে দেওয়া হয় না। ১০ মিনিটিও কথা বলতে দেয় না। আমি কারাগারে বৈষম্যের শিকার। মানুষের যে মৌলিক মানবাধিকার আছে, সেটা আমার ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’

ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

রাজধানীর কলাবাগান থানার মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান। আসামিদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীন, ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন কারাগারে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ জামিনে আছেন। এছাড়া পলাতক রয়েছেন আরও ১৫ আসামি। মামলা থেকে জানা গেছে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসাবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করেন আরও ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর আগে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়। একই সঙ্গে হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।