মৃত স্বামীর ঋণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে: ফরিদপুরের দুই বিচারককে তলব
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:৪১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মৃত স্বামীর ঋণের দায়ে তিন এতিম শিশু সন্তানের মাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এ সাঈদ ও অর্থঋণ আদালতের বিচারক এ কে এম রফিকুল হাসানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংক ফরিদপুরের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপককেও তলব করা হয়েছে। আগামী ৬ মার্চ তাদের সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এছাড়া একই আদেশে পপি খাতুনকেও অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জামিউল হক ফয়সাল সাংবাদিকদের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৭ জানুয়ারি একটি গণমাধ্যমে ‘মৃত স্বামীর ঋণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে, মামলার আসামি এতিম তিন শিশু সন্তান ঘুরছে দ্বারে দ্বারে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরের পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ী মৃত আমিন শেখ ও পপি খাতুন দম্পতির তিন শিশু সন্তান আইরিন (১০), আহমাদুল্লাহ (৫) ও জানাতুন নাঈমা (৪)। নাবলক এতিম তিন শিশু বাবার ঋণের দায়ে ব্র্যাক ব্যাংকের দায়ের করা অর্থ ঋণের মামলার আসামি। মা পপি খাতুন জেলে যাওয়ার পর থেকেই একই মামলার আসামি তিনটি এতিম শিশু সারাক্ষণ শঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে, কখন জানি তাদেরও পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ২৬ জানুয়ারি বিকেলে পৌরসদরের অডিটোরিয়াম এলাকায় এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আজ পপি খাতুনের জামিন চাওয়া হলে হাইকোর্ট শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।