নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হলেন প্রেস সচিবের ভাই
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৫০ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা অধিশাখা–১ এর যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নাসিকের প্রশাসকের পদটি তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পালন করবেন।
তবে এই নিয়োগকে ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এক বিষয়ও—ড. আব্দুল্লাহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভাই।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) থেকে জারি করা অফিস আদেশের মাধ্যমে তার নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। ড. আব্দুল্লাহ সেপ্টেম্বরের শুরুতে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার আগে নাসিকের প্রশাসক ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান, যিনি সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাও প্রেস সচিবের ঘনিষ্ঠজন, এবং মাগুরার একই গ্রামের বাসিন্দা। নিয়োগের আগে মাগুরা সমিতির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ড. আব্দুল্লাহ ও লিয়াকত আলীকে একসাথে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আমার ভাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কোনও লবিং করিনি। এলজিআরডি উপদেষ্টা বা সচিবকে একবারও ফোন করিনি। এই নিয়োগে আমি কোনও প্রভাব খাটাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার ভাই জার্মানি থেকে মাস্টার্স, অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি একজন দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা, এজন্য আমাকে কোনও তদবির করতে হয়নি। আমি স্বজনপ্রীতিতে বিশ্বাস করি না।”
এদিকে, এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, ড. নছরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসন সংকট ও নিরাপত্তার কারণে, পারিবারিক সম্পর্কের কারণে নয়।
নাসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, ড. আব্দুল্লাহ ৩১ আগস্ট থেকে প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন। প্রথমে তিনি প্রেস সচিবের ভাই হওয়া বিষয়টি জানতেন না, পরে বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল নম্বরে তাকে পাওয়া যায়নি।