নির্বাচন নিয়ে যারা তাড়াহুড়ো করছে, তাদের স্লোগানে ভারতের সুর: চরমোনাই পীর
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৪৩ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে তাড়াহুড়ো করা পক্ষগুলোর বক্তব্যে ভারতের সুর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তার পূর্ণ বাস্তবায়নের আগেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে।
শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বাংলার মানুষের কাছে তিনটি কাজের কমিটমেন্ট করেছিলেন। সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এরপর জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু বিচার দৃশ্যমান হওয়ার আগেই তিনি নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন। কেন এবং কী কারণে এটা করলেন; দেশের মানুষ জানতে চায়। আজকে নির্বাচনের জন্য যারা তাড়াহুড়ো করছেন; তাদের স্লোগানের সঙ্গে ভারতের স্লোগান মিলে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, বারবার ইসলামী আন্দোলনকে ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে দলটিকে ব্যবহার করলেও, ক্ষমতায় গিয়ে তারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।”
"আমাদের সন্তানদের জীবন কেড়ে নিয়ে মায়েদের কোল খালি করা হয়েছে। আর দেশকে বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানানো হয়েছে। এখন আমরা সজাগ হয়েছি, দেশের মানুষ এখন আর ঘুমিয়ে নেই। আমাদের সম্পদ আর চুরি করতে দেব না," বলেন মুফতি রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পর ৫৩ বছর ধরে দেশ যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, সেই ধারা আর চলতে দেওয়া যাবে না। টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রথমে মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। এরপর সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।"
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সভাপতি শামসুল হক সুমন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাঞ্ছারামপুর আসনের সংসদ সদস্য পদে দলের মনোনীত প্রার্থী হাফেজ কাজী মোহাম্মদ আলী।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা জাকির হোসেন খাসনগরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির জেলা সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার আহমদ লিটন এবং কেন্দ্রীয় স্টেজ কমান্ডার আব্দুর রহিম।