ইসলামী ব্যাংক চাকরিচ্যুতি কর্মকর্তাদের মহাসড়ক অবরোধ
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০২:০১ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের শত শত কর্মকর্তা চাকরিচ্যুতি ও ওএসডি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছেন। তারা চাকরিতে পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবি তুলে মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ফৌজদারহাট এলাকায় মহাসড়কের পাশে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় চার শতাধিক কর্মকর্তা মানববন্ধনে অংশ নেন। কিছুক্ষণ পর তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়, দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
অবরোধকারীরা অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রায় ৪০০ কর্মকর্তাকে কোনো কারণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪ থেকে ৫ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কর্মস্থলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এতে তারা পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
এর আগে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা রবিবার থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিলেও, শনিবার সকাল থেকেই মানববন্ধন ও অবরোধের মাধ্যমে তাদের আন্দোলন শুরু হয়।
আন্দোলনরত ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ৪০০ জন কর্মকর্তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করে নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, ওএসডি প্রত্যাহারসহ ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। বেতনের টাকাও আমরা তুলতে পারছি না। আইডি কার্ড বন্ধ করে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। চাকরি হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি।
অধিকারের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের ৬ দফা দাবি:
১. বিনা কারণে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহাল।
২. পরীক্ষাবর্জনের কারণে দেওয়া শাস্তিমূলক বদলি বাতিল।
৩. রাজনীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।
৪. শর্তযুক্ত অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট বন্ধ করা।
৫. চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের ওপর নির্যাতনের তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
৬. পরীক্ষা বর্জনের অভিযোগে দায়ের করা জিডি ও সাইবার ক্রাইম মামলা প্রত্যাহার।
অবরোধের কারণে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও কর্মকর্তারা জানান, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে এবং দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।