পাবনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতীয় নাগরিক
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:২৬ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাবনা সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তিনি ভারতীয় নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে চাকরি করছেন। শুধু তাই নয়, শ্বশুরের নামে লিজ নেওয়া সরকারি জমি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে ভোগদখলে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি বর্তমানে পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি নথি অনুযায়ী, তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লিতে। তার বাবা নির্মল কুমার। ভারতের ভোটার আইডি কার্ড নম্বর ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ড নম্বর ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১।
অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকত্ব না থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। ভারতে তার নামে জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে, স্ত্রী-সন্তানও সেখানেই বসবাস করেন। ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভারত সরকারের কাছ থেকে ভাতা পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি প্রায়ই দীর্ঘ ছুটি নিয়ে ভারতে যাতায়াত করেন। এছাড়া শ্বশুরের নামে লিজ নেয়া পাবনা শহরের একটি সরকারি সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সুখ রঞ্জনের শ্যালক সুমন কুমার রায় অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা সরকারি জমি লিজ নিয়ে থাকতেন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর সবাইকে না জানিয়ে বোনকে একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে লিজ নবায়নের আবেদন করেছে। এখন আমার বাড়িতেই থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে চাইছে।
অভিযোগের বিষয়ে পাবনার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর জানান, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে এবং কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। ইতোমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার স্ত্রী-সন্তানরা পারিবারিক ঝামেলায় ভারতে চলে গেছে। আমার সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তদন্ত হলে আমি বৈধ সব কাগজপত্র দেখাতে পারবো।