৪০ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বেড়েছে, বাড়বে আমদানি-রফতানিতে


৪০ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বেড়েছে, বাড়বে আমদানি-রফতানিতে

প্রায় চার দশক পর চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবা খাতে ট্যারিফ বাড়াল সরকার। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন ট্যারিফ কার্যকর হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এবার গড়ে ট্যারিফ বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪১ শতাংশ। তবে বন্দরের সফটওয়্যার ও সিস্টেমে আপডেট সম্পন্ন হওয়ার পর পুরোপুরি নতুন ট্যারিফ আদায় করা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ৫২টি সেবা খাতের মধ্যে ২৩টিতে সরাসরি ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে বন্দর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ভাড়া, টোল, রেল, ফি এবং অন্যান্য মাশুল নতুন হারে আদায় হবে। মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ডলারের ভিত্তিতে, যেখানে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। ডলার বেড়ে গেলে ট্যারিফও বাড়বে।

সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে বন্দরে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছিল। প্রায় ৪০ বছর পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন এ উদ্যোগ নিল।

তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন। বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, এই মুহূর্তে ট্যারিফ বাড়ানো উচিত হয়নি। আমরা বলেছিলাম, বাড়ালেও যেন তা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত থাকে। কিন্তু এখন ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে।

দেশের মোট সমুদ্র বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনার ও পণ্য পরিবহণের ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই সম্পন্ন হয়। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে সবচেয়ে বেশি ট্যারিফ বেড়েছে কনটেইনার পরিবহনে। আগে একটি ২০ ফুট কনটেইনারের জন্য খরচ হতো ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা, এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি কনটেইনারে ট্যারিফ বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×