ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় কুবির সেই ছাত্রীকে, আসামির স্বীকারোক্তি


ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় কুবির সেই ছাত্রীকে, আসামির স্বীকারোক্তি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আসামি মো. মোবারক হোসেন। রোববার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন, মোবারকের জবানবন্দির রেকর্ডপত্র হাতে পাওয়ার পর।

পুলিশ ঘাতক মোবারক হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানায়, মোবারক সুমাইয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। এ ঘটনাটি দেখে ফেলায় তিনি সুমাইয়ার মা তাহমিনা বেগম ফাতেমাকে প্রথমে বালিশ-চাপা দিয়ে হত্যা করেন। এরপর তিনি আবার সুমাইয়ার কাছে ফিরে গেলে সুমাইয়া বাধা দেন। তখন মোবারক তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। ঘাতক মোবারক আদালতে মা-মেয়েকে হত্যার এ বর্ণনা দেন। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধর্ষণের বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাসা থেকে জব্দ করা কাপড়-চোপড় ও বিছানার চাদরসহ অন্যান্য আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে। গ্রেপ্তারের পর মোবারক মা ও মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার ১ নম্বর আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন হাতে পেলে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে। সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যার ঘটনায় মোবারক হোসেনই একমাত্র আসামি, এতে অন্য কেউ জড়িত নয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরী এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে সুমাইয়া ও তার মা তাহমিনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওইদিন রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকা থেকে পুলিশ মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×