ভোলায় খতিব হত্যার রহস্য উদঘাটন, নিজের ছেলেই হত্যা করেছে: পুলিশ


ভোলায় খতিব হত্যার রহস্য উদঘাটন, নিজের ছেলেই হত্যা করেছে: পুলিশ

ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, ভোলা সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৪৪) হত্যার সাত দিন পর পুলিশ ঘটনার ছক উন্মোচন করেছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যার পেছনে তারই ছেলে দায়ী।

ভোলা জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ছেলে রেদওয়ান হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে তজুমদ্দিন উপজেলার একটি এলাকা থেকে ভোলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে আটক করে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শরীফুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২০ মিনিটে ৯৯৯–এ খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ডিবির টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গুরুতর আহত নোমানী হুজুরকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হালিমা বিনতে কামাল ভোলা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়ে, রেদওয়ান হক পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেখানো স্থানে বাড়ির পেছনের খাল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে তদন্তাধীন রয়েছে।

এসপি শরীফুল হক জানান, নিহতের ছেলে একাই হত্যার পরিকল্পনা ও প্রয়োগ করেছে। বাবার কঠোর শাসন মানতে না পেরে ক্ষোভে হত্যা চালায়। হত্যার আগে ইউটিউবে ক্রাইম মুভি দেখে আঘাতের পদ্ধতি শিখে নেন।

তদন্তে জানা গেছে, দুই মাস আগে থেকেই সে হত্যার প্রস্তুতি নিতে থাকে। ছুরি, টি-শার্ট, ক্যাপ ও হাতঘড়ি সংগ্রহ করে পরিকল্পনা সাজায়। একবার আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ৬ সেপ্টেম্বর রাতে একা অবস্থায় বাবাকে হত্যা করে।

এসপি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ঘাতক ছেলে বাবার সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন না; রাগের কারণে মামার বাড়িতে থাকতেন। তবে পড়াশোনা বাবার মাদ্রাসায় করতেন। পুলিশ এখনও যাচাই করছে, হত্যায় অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×