লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রমের উদ্বোধন


লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রমের উদ্বোধন

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কারকৃত ও স্থানান্তরিত নতুন পৌরসভা কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পৌর আধুনিক বিপনি বিতানের চতুর্থ তলায় ফিতা কেটে এ কার্যালয়ে উদ্বোধন করেন পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন। পরে এই উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

আলোচনা সভায় পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌ. বিলকিস আকতার, চৌমুহনী এস এ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর জেড এম ফারুকী, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী, বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হোসেন, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া তপন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি আ হ ম মোশতাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল প্রমুখ। 

পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারপরও সকল কিছু মোকাবেলা করে পৌরবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সীমাবদ্ধতা থাকায় ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু করতে পারছি না। তবে পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ। আমার কিংবা পৌরসভার সমস্যাগুলো। সর্বপ্রথম আমাকে জানাবেন। যদি আমি ব্যবস্থা না নেয়। অথবা আমার জবাবে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে বিদ্রুপ মন্তব্য ও প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিবেন। 

উন্নয়ন কাজের গুনগত মানে অসন্তোষ পৌরবাসী উল্লেখ করে পৌরসভা প্রশাসক বলেন, কয়েকটি রাস্তা যথাযথভাবে সংস্কার হয়নি। সেগুলো তালিকা আমরা করেছি। সে অনুযায়ী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কোথায় পুনরায় সংস্কারে বাধ্য করেছি ঠিকাদারকে। যে কয়েকজন করেনি, তাদের কাজের টাকা (বিল) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া অন্যান্য কিছু সেবার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওইসব অভিযোগের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। 

তিনি আরও বলেন, পৌরসভায় নিয়মের কোন বালাই ছিল না। যেখানে যাচ্ছি, যেটি ধরছি, সেখানেই অনিয়মে ভরা। অতিত ইতিহাস খুবই খারাপ। ২৬ কোটি টাকা ঋণ। এরমধ্যে সাড়ে ৪ কোটি বিদ্যুৎ বিল। কর্মচারিদের বেতন বকেয়া ৬ কোটি টাকা। কিন্তু প্রতি মাসে খরচ বাদে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। এত টাকা উদ্বৃত্ত থাকার পরেও কেন, ২৬ কোটি টাকা ঋণ হলো। সেই প্রশ্নের যে উত্তর পাই। তা আপনাদের বলা যাবে না, তবে আপনারা অবগত আছেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×