এনসিপির বিক্ষোভ, রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:০৬ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৫
.png)
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তাবিত আসন বিন্যাসের শুনানিতে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সরাইল-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে দলটির নেতাকর্মীরা।
প্রায় দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ এনসিপি কর্মী ও সমর্থকরা। এতে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ প্রত্যাহার করলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে শুনানিকালে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো. আতাউল্লাহ ও তার সহকর্মীদের ওপর রুমিন ফারহানার সমর্থকরা হঠাৎ হামলা চালায়। এ ঘটনায় তারা রুমিন ফারহানাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপি নেতা মো. আতাউল্লাহ, উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য রান্টু সরকার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান।
মো. আতাউল্লাহ বলেন, আমাকে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি, বরং ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বিজয়নগরের জনগণ জানে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের ম্যানেজ করা যায় না। রুমিন ফারহানা রাতের আঁধারে তিনটি ইউনিয়ন সরিয়ে নিজের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অথচ আমরা দশটি ইউনিয়নকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই।
বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ থেকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন। তারা জানান, এর মধ্যে রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।