ঘুষকাণ্ডে এবার জামায়াতের সেই আইনজীবীর সনদ স্থগিত
- পটুয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৪৩ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫
.png)
ঘুষকাণ্ডে জড়িয়ে আলোচনায় আসা পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং জেলা জামায়াতের রোকন সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন শিকদারের আইনজীবী সনদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বার কাউন্সিলের সচিব (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার।
সভায় অংশ নেন ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এএসএম বদরুল আনোয়ার এবং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট সকালে কলাপাড়ার একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন নিশ্চিত করতে বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকার একটি খামসহ মামলার নথিপত্র পাঠান পিপি রুহুল আমিন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিচারক নীলুফার শিরিন নিজেকে অপমানিত বোধ করে বার কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগ করেন।
তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এর আগেও একই মামলার এক আসামির জামিনে সহায়তার জন্য রুহুল আমিন হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সরাসরি ঘুষ পাঠানোয় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করতে বাধ্য হন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পিপি রুহুল আমিন নিয়মিতই আসামি পক্ষের হয়ে তদবির করতেন এবং আদালতের আদেশ প্রত্যাশামতো না হলে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতেন। আলোচিত ‘জুলাই শহীদ জসিম কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলা’তেও তার আসামি পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার পরদিন ২১ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতি এক জরুরি সভা করে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। লিখিত সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক, দুদক, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়।
একই দিন রাতে জেলা ও পৌর জামায়াত নেতারাও জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানেও রুহুল আমিনের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।