চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে


চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে চাঁদা না পেয়ে ইতালি প্রবাসী মাসুম শেখকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মশিউল আযম চুন্নুসহ আটজনের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) মাসুম শেখের স্ত্রী পলি আক্তার রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বালিয়াকান্দি আমলি আদালতে এ বিষয়ে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ছাত্রদল নেতা খন্দকার শফিউল আজম শিবলু (চুন্নুর ছেলে), খন্দকার শোভন আরেফিন, নাজমুল হাসান বিপু, শ্রমিক দল নেতা সহেল শেখ, মো. নান্নু বিশ্বাস, বালিয়াকান্দি ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. মহসীন খান, এবং রায়পুর গ্রামের উজ্জ্বল দাস।

মামলার বাদী পলি আক্তার বর্তমানে বালিয়াকান্দি কৃষি অফিসে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী মাসুম শেখ ২০০৭ সালে জীবিকার তাগিদে ইতালি যান। এ সময় ছাত্রদল নেতা শিবলু তাকে (পলি আক্তার) উত্ত্যক্ত করলে তিনি থানায় মামলা করেন এবং পরবর্তীতে বদলি হয়ে ফরিদপুরে চলে যান। মাসুম শেখ সম্প্রতি দেশে ফেরেন।

অভিযোগে বলা হয়, ১৫ আগস্ট শুক্রবার মাসুম শেখ জুমার নামাজ পড়ে বাবার কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘বালিয়াকান্দির সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে মাসুম শেখ, তার স্ত্রী পলি আক্তার ও জিএম মোর্শেদসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও বালুমহাল দখলসহ সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। তারা যৌথবাহিনীর হাতে একবার গ্রেপ্তার হলেও পরে মুক্ত হয়ে আবারও অপরাধমূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা মশিউল আযম চুন্নু বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে মাসুম শেখ আমার কাছ থেকে আট লাখ টাকা নিয়েছিল। তখন আমার নামে মিথ্যা মামলা করেছিল। এছাড়া অনেক অপরাধ করেছে। এসব কারণে আমার লোকজন তাকে (মাসুম শেখ) মেরেছে।” তিনি আরও বলেন, “তিন বছর ধরে মামলার বাদীর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।”

রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু বলেন, “ইতালিপ্রবাসী মাসুম শেখের স্ত্রী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন বলে শুনেছি। দলীয় পদ না থাকায় ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছি না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাব।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×