চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে দীর্ঘ যানজট


চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে দীর্ঘ যানজট

কক্সবাজারের উখিয়ায় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষাকাবৃন্দ।

সোমবার ( ১৮ আগষ্ট)  সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলমান ছিলো। এসময় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। 

তহবিল সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১ হাজার ২০০ শিক্ষককেচাকরিচ্যুত করা হয় বিগত এপ্রিলে-মে মাসে। এই ঘটনার জেরে গত ০৩ এপ্রিল কক্সবাজার-টেকনাফ হাইওয়ে সড়ক অবরোধ করেছিলো চাকরিচ্যুত স্থানীয় । কোন বাস্তব আশ্বাস না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু করেছে  চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। 

শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও কোনো সমাধান হয়নি।আন্দোলনের কারণে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে; পায়ে হেঁটে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন তীব্র গরমে দুর্ভোগের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তহবিল সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় সম্প্রতি টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১ হাজার ২০০ শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফ রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে ‘লার্নিং স্কুল’ পরিচালনা করে আসছে। ইউনিসেফের তহবিলে দেশীয় বেশ কয়েকটি এনজিও প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলগুলো চালাচ্ছিল। সব মিলিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিদ্যায়তনে ৮ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার বাঙালি ও ৪ হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষক। এদের মধ্যে আকস্মিকভাবে ১ হাজার ২০০ বাঙালি শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির করা হয়। বিনা নোটিশে চাকরি হারানোর প্রতিবাদে  উখিয়া ও টেকনাফে কয়েকবার বিক্ষোভ করেছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। এরই ধরাবাহিকতায় সোমবার ( ১৮ আগষ্ট)  সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন তারা। 

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া  একজন জানান, প্রায় ৪ হাজারের মতো হোস্ট শিক্ষক, যারা দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে  শিক্ষকতা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। হঠাৎ করে কোনপ্রকার পুর্বসতর্কতা ও নোটিশ প্রদান ছাড়া রাতারাতি চাকরিচ্যুত করায় রাস্থায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুদ্দিন দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ তৈরি করা যাবে না। শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ের করতে হবে। এসময় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষক বোরহান বলেন, সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বাড়ি ফিরে যাব না। 

আন্দোলনকারীদের পক্ষে সমন্বয়ক জিনিয়া তিন দফা পেশ করেন, যেখানে  আন্দোলনকারীদের  দাবি মানা হলে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×