ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে লক্ষ্মীপুরে শিবিরের বর্ণাঢ্য র্যালি
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:৩৬ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৫

ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ প্রতিপাদ্যে লক্ষ্মীপুরে র্যালি আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির লক্ষ্মীপুর শহর ও জেলা শাখা।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকা থেকে র্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। র্যালিতে শহর ও জেলা শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। তারা তুমি কে আমি কে রাজাকার-রাজাকার স্লোগানে উত্তাল করে তোলে র্যালি। এ সময় তারা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ প্রদানের দাবি জানান এবং ফ্যাসিবাদের বিচার দাবি করেন।
র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন ছাত্রশিবিরের লক্ষ্মীপুর শহর সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের লক্ষ্মীপুর শহর শাখার সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ, জেলা সভাপতি আবদুর রহমান, শহর সেক্রেটারি আবদুল আউয়াল হামদু, জেলা সেক্রেটারি আরমান হোসেনসহ শহর ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে শহীদ সাব্বির হোসেনের পিতা আমির হোসেন, শহীদ কাউছার হোসেন বিজয়ের ছোট ভাই বিপুল হোসেন,
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলার সাবেক আহ্বায়ক আরমান হোসাইনসহ সম্মুক সারির নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “স্বৈরাচার হাসিনা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে পালিয়ে গেছে। এখন আবার একটি পক্ষ শিবিরকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারে কোনো লাভ হবে না, শিবির তার আদর্শের পথেই এগিয়ে যাবে।”
তারা আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলো, কিন্তু এখন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ প্রদান এবং ফ্যাসিবাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, দ্রুত এসব কার্যক্রম শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে।”