দিল্লির গোলামির শিকল ভেঙে খানখান করেছি, ওয়াশিংটনের দাসত্বের জন্য নয়
- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৪৪ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ দিল্লির আধিপত্য থেকে মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু এখন ওয়াশিংটনের প্রভাব বিস্তারের নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে খেলাফত মজলিস কুড়িগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে যেমন রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, তেমনই ২০২৪ সালের আন্দোলনও হাজারো শহীদের ত্যাগে অর্জিত। সেই আন্দোলনের ফসল হিসেবে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন নতুন ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ওয়াশিংটনের আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, এ ধরনের কোনো উদ্যোগ জনগণ মেনে নেবে না এবং তা রুখে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি। তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে তৌহিদি জনতার ওপর দমন-পীড়ন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে হেফাজতের নেতাকর্মীদের উপর গুলি চালানো এবং ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার শহীদ হওয়া এইসবই ছিল তার স্বৈরাচারী শাসনের ধারাবাহিকতা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুফতি ইব্রাহিম খলিল নোমানী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিসবাহুল ইসলাম সুজা।
সমাবেশ শেষে মামুনুল হক কুড়িগ্রামের চারটি আসনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: কুড়িগ্রাম-১ আসনে শহিদুল ইসলাম ফয়েজি, কুড়িগ্রাম-২ এ মুফতি নুরুদ্দীন কাশেমী, কুড়িগ্রাম-৩ এ মামুনুর রশীদ, এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মুফতি শাহাদত হোসাইন।