চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:২১ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পড়ে থাকা ৪৭৫টি পণ্যবাহী কনটেইনার নিলামে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনায় নেওয়া এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বন্দরের জায়গা সংকট ও পণ্যজট নিরসন করা।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরে প্রায় ১০ হাজার কনটেইনার খালাস না হওয়ায় জায়গা দখল করে পড়ে আছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব কনটেইনার আমদানি হলেও পণ্যগ্রহীতারা সেগুলো খালাস করেননি। ফলে এগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এনবিআরের "দ্রুত নিলাম, বিলি-বন্দেজ ও ধ্বংস কার্যক্রম" সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী এসব কনটেইনার ধাপে ধাপে নিলামে তোলা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস জানিয়েছে, আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ১৫ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ৩০ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত কাস্টমস ও এনবিআরের ওয়েবসাইটের ই-অকশন প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
ব্যক্তি পর্যায়ের দরদাতাদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন সার্টিফিকেট এবং হালনাগাদ আয়কর রিটার্নের কপি দাখিল বাধ্যতামূলক। বিড করার সময় মোট কোটেশনের ১০ শতাংশ জামানত হিসেবে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট বা ডিডির স্ক্যান কপি অনলাইনে দাখিল করতে হবে।
মূল দলিলাদি ও পে-অর্ডারের মূল কপি ৩০ জুলাই দুপুর ২টার মধ্যে সিলগালাযুক্ত খামে কাস্টমস হাউসের নির্ধারিত বাক্সে জমা না দিলে অনলাইন বিড বাতিল বলে গণ্য হবে। সর্বোচ্চ দরদাতাকে সরকারি বিধি মোতাবেক অগ্রিম আয়কর ও ভ্যাট প্রদান করতে হবে। পণ্য পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে ১৬ থেকে ২২ জুলাই, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. তফছির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, “বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে এই নিলাম কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৪৭৫টি কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে, যা পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হবে।”
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বন্দর চত্বর থেকে দীর্ঘমেয়াদি অব্যবহৃত কনটেইনার সরিয়ে জায়গা খালি করে কার্যকর ব্যবস্থাপনার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।