ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের বৈঠকে হট্টগোল, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:০৩ পিএম, ৩০ জুন ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা চলাকালীন একদল বহিরাগত হঠাৎ করে ভবনে ঢুকে হট্টগোল সৃষ্টি করে। তারা চেম্বারের কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত ও মারধর করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ হার্ডড্রাইভ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেম্বারের একাধিক কর্মকর্তা ও সদস্য জানান, আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য এফবিসিসিআই নির্বাচনকে সামনে রেখে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি আজিজুল হক, সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর ও বাবুল মিয়া, পরিচালক আজিজুর রহমান, জুয়েল খান, তানভির আহমেদ ও জাবেদুল ইসলাম।
কেবল সাতজন সদস্য উপস্থিত থাকলেও ছয়জন ভোটারের নাম চূড়ান্ত করতে আলোচনা হয়। সভা শেষ হতেই একটি পক্ষ সভার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করে উত্তেজনা ছড়ায় এবং কার্যবিবরণীর রেজিস্টার ছিনিয়ে নেয়।
চেম্বারের কম্পিউটার অপারেটর দুলাল মিয়া জানান, “একদল লোক জোর করে অফিসে ঢুকে ভয়ভীতি দেখায় এবং আমার কম্পিউটার থেকে হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। এতে ২০১০ সাল থেকে সংরক্ষিত সকল ডেটা ছিল।”
হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, “আমাকে রুম থেকে টেনে বের করে মারধর করে। পকেটে থাকা ২১–২২ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা শনাক্ত করতে পারিনি।”
চেম্বারের সচিব মো. আজিম উদ্দিন বলেন, “৫০–৬০ জনের একটি দল চেম্বার ভবনে প্রবেশ করে। তারা আমার কক্ষে ঢুকে দুটি মোবাইল ফোন এবং ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বৈঠক কেন হলো, তা নিয়েই তারা হট্টগোল করছিল।”
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চেম্বারের সাধারণ সদস্য কাজল মিয়া দাবি করেন, বর্তমান কমিটির বেশিরভাগ সদস্য আওয়ামীপন্থী এবং তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “গত এক বছরেও তারা কোনো বৈধ সভা করেনি। হঠাৎ করে চুপিসারে একটি অবৈধ বৈঠক করে এখন নাটক করছে।”
চেম্বার সভাপতি আজিজুল হক বলেন, “আমরা সভা শেষ করে চলে আসার পর কিছু লোক অফিসে ঢুকে স্টাফদের মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।”
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, “চেম্বারে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। কে সভা করেছে, কে করেনি—তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। চেম্বার থেকে টাকা ও মোবাইল নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে, তবে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। মারধরেরও কোনো অভিযোগ পাইনি।”