ঝিনাইদহে সেনাসদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় মামলা
- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:২৮ পিএম, ০৫ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া এলাকায় সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে হাফিজুর রহমান নামে এক সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী আফরিনা ইয়াছমিন এ্যানী। ক্ষতিগ্রস্ত হাফিজুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বর্তমানে কুড়িগ্রামে কর্মরত আছেন।
মামলায় উপজেলার পারিয়াট গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে নজরুল ইসলাম মোল্লা (৫৫), তার ছেলে জুয়েল (৩০), সড়াবাড়িয়া এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে আলাউদ্দিনসহ (৫৪) ৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা কিছুদিন যাবৎ এলাকায় লুটপাট, চুরি-ডাকাতি করে আসছে। এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার বাড়িতে দরজা ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঘরের ওয়ার্ডরোবের দরজা ভেঙে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণ লুট করে ও ঘরের বিভিন্ন সরঞ্জাম-আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এতে তার প্রায় ১৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান জানান, তিনি ২৯ বছর সেনাবাহিনীতে কর্মরত। আর চাকরি আছে মাত্র ৫ মাস। এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ সময় তার বাড়ি তালা লাগানো ছিল। সকালে ৩০-৪০ জন বোমার বিস্ফোরণ করে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘর থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে। এ ছাড়াও ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, তিনি সেনাসদস্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তালাবদ্ধ ঘর ভেঙে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। সেনাসদস্যের স্ত্রী একটি এজাহার দিয়েছেন।