আমরা ভালো থাকলে ভারতও ভালো থাকবে: জামায়াত আমির


April 2025/Shafique India.jpg

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা আর ভারতের আধিপত্যের ছায়া দেখতে চাই না। পারস্পরিক শ্রদ্বা, সম্প্রীতি ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাস করতে চাই। আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে, আমাদের ভালো কেড়ে নিলে তারাও ভালো থাকবে কিনা তা তাদের চিন্তা করতে হবে। আমরা দেখতে চাই, আমরা উভয়ই ভালো থাকবো। সেই পরিবেশকে ভারতকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে।’

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে লালমনিরহাট জেলা কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘লালমনিরহাট সীমান্তে হাসিনুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি যুবক বিএসএফর গুলিতে মারা গেছেন। তার বুকের উপর পা রেখে বিএসএফ ঠান্ডা মাথায় তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। লাশ টেনেহিঁচড়ে ওপারে নিয়ে যায় বিএসএফ। সীমান্ত পেরিয়ে বিএসএফ ঠান্ডা মাথায় এই কাজ করেছে। আমাদের বিজিবি ভারতে প্রবেশ করে এগুলো করে না। আমরা তাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তাদের সম্মান করি। সে সম্মানটুকু বাংলাদেশের পাওয়ার অধিকার আছে। আমরা আর আধিপত্যের ছায়া দেখতে চায় না।’

জামাায়াত আমির বলেন, ‘তিস্তার কারণে প্রতিবছর উত্তর জনপদের মানুষ আতংকে থাকে। তাই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের চোখ রাঙানোকে তোয়াক্কা করা যাবে না।’

ধর্মীয় সম্প্রতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘টানা ১৫ দিন আমারা মসজিদ, মন্দির, মঠ ও চার্চ পাহারা দিয়েছি। আগামীতে এমন এক দেশ চাই, যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান পাহারা দিতে হবে না। ৫৩, ৫৪ বছর ধরে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগরু এই শ্লোগান দিয়ে সমাজকে বিভক্ত করা হয়েছিল। আমাদের মুখোমুখি করে রাখা হয়েছিল। গত ফ্যাসিস্ট আমলে রংপুরের মৎসপল্লী, দিনাজপুরের সাঁওতাল পল্লী ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু পল্লীতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দুদের যারা মায়া কান্না করে তারাই এই হামলা করেছিল।’

নির্বাচন নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। খুনিদের বিচার দৃশ্যমান হতে হবে ও প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। এই দুটি ছাড়া জনগন নির্বাচন মেনে নেবে না। আমারা নির্বাচন চাই। বিচার ও সংস্কার করে নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের আমির আবু তাহের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বেলালসহ জেলার অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া জনসভায় লালমনিরহাট হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি পুস্পজিৎ বর্মণ বক্তব্য রাখেন। জনসভায় প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×