মির্জাপুরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার


Jan 2025/Feb 2025/rape-1744982124.webp

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজ মেয়েকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির বাবা মোজাম্মেল হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনি সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার তেতুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত দেলাজ মিস্ত্রীর ছেলে।

মোজাম্মেল হোসেন পরিবার নিয়ে উপজেলার গোড়াই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, মোজাম্মেল হোসেন পেশায় একজন সিএনজিচালক। তিনি তার স্ত্রী এবং একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে উপজেলার গোড়াই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্ত্রী গোড়াই এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এবং মেয়ে একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ আরও জানায়, গত ২৫ মার্চ ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোজাম্মেলের মেয়ে বাসায় ছিল। ২৭ মার্চ শিশুটির মা সকালে কারখানায় যান ডিউটি করতে। এই সুযোগে মাদকাসক্ত মোজাম্মেল নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে মেয়েকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন তিনি। দু-একদিনের মধ্যে মেয়েটি তার মাকে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথার কথা বলে। মেয়েকে ওষুধ খাওয়ানোর পরও ব্যথা না কমায় মা জানতে চান তার কী সমস্যা হয়েছে। পরে মেয়েটি তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে। বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েটির বাবা মোজাম্মেল পালিয়ে যান।

গত ৫ এপ্রিল শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০), সংশোধন (২০২০) এর ৯(১) ধারায় তার স্বামী মোজাম্মেলকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফেনি সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে ফেনি সদর এলাকা থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×