পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৪১ পিএম, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপত রাষ্ট্রদূত সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, ‘প্রকৃতি ও পরিবেশের কোন পরিবর্তন না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানি শূন্যতা হ্রাস ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তুলতে আমরা বাঁশের ফলন ও এর ব্যবহার বাড়াতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা সেগুন, মেহগনি আকাশি গাছ লাগাতে আর উৎসাহিত করছি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের পানি শূন্যতা হ্রাস ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এফএও’র বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী ও তার প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুপদ্রীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সকলের উপযোগী প্রকল্প গ্রহণের জন্য এফএও প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ন্যাচারাল রিজার্ভ ফরেস্ট এখানে শতাব্দিকাল পর্যন্ত একইভাবে রয়েছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে এফএও গৃহীত প্রকল্পগুলোর স্থায়িত্ব টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে টেকসই জীবিকার সংস্থান করতে এফএওর গৃহীতব্য প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সুপ্রদীপ চাকমা ইকোসিস্টেমে পরিবেশবান্ধব বাঁশ চাষকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরণা, বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে। কাপ্তাই লেকের পানি সংরক্ষণ ও এর তীরবর্তী এলাকায় কৃষিজ, ফলজ, বনজ সম্পদ গড়ে তোলাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট বাস্তবায়নে উপজেলাগুলোতে কাজু বাদাম, কফি চাষ, ইক্ষু চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা চাকমা পাহাড়ি এলাকায় টেকসই খাদ্য উৎপাদন ও নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফএও প্রতিনিধিদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এফএওর কর্মকর্তাগণ টেকসই কৃষিজ ও বনজ সম্পদ উৎপাদনে নানা কর্মসূচির বিষয়ে উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং স্থানীয় জনপদের চাহিদার আর্টিস্টিক পরিবেশ সম্মত খাদ্য নিরাপত্তার নিয়ে নতুন প্রকল্প নেয়ার আশ্বাস দেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব খন্দকার মুশফিকুর রহমান, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শুভাশিষ চাকমা, এফএওর বাংলাদেশের সহকারী কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ ইমানুন নবী খান, ন্যাশনাল প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার এমদাদুল হক চৌধুরী এবং ইউএনডিপির কর্মকর্তা এএ মং এ সময় উপস্থিত ছিলেন।