হিজাব নিয়ে শিক্ষকের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য, বিক্ষোভে উত্তাল রাবি
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:৫৭ এম, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুনের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে রাতভর বিক্ষোভে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। হিজাব সম্পর্কিত তার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১১টায় জোহা চত্বর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় অধ্যাপক মামুনের একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে। সেখানে সংসদে শপথ নিচ্ছে এমন নারীদের ছবি ব্যবহার করে তিনি লিখেছিলেন- ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’
এই পোস্ট ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরে পোস্টটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয়। এরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের ডাক দেন। হল থেকে শিক্ষার্থীরা জোহা চত্বরে একত্রিত হন এবং পশ্চিমপাড়ার মেয়েদের হলের সামনে দিয়ে মিছিল বের করেন। পথে আরও শিক্ষার্থী বিক্ষোভে যুক্ত হন।
বিক্ষোভ শেষে রাকসুর মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা হাফসা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে হিজাব বিদ্বেষীদের একটা আতুরঘরে পরিণত হয়েছে। তাদের যতই বোঝানো হচ্ছে যে হিজাবীরাও সামনে আসতে পারে; তারা ততই কটূক্তি করে আমাদের বাধা দিচ্ছে। আমরা তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই, সে যে মন্তব্য করেছে হুবহু তা করে দেখাক। আমরা তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে এখানে এসেছি। আমরা চাই না তার মতো আর কেউ এই সাহস দেখাক। তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”
রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “শিক্ষার্থীদের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, হিজাবের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, মুসলমানের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে। যদি-কোনো-কিন্তু ছাড়া সে তিন মিনিট না তিন সেকেন্ড পোস্ট রেখেছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা আগামীকাল জার্নালিজম বিভাগের সামনে অবস্থান নেবো। তার বর্ণনা করা অবস্থায় আমরা তাকে দেখতে চাই। তার যদি মেরুদণ্ড সোজা থাকে তাহলে সে অবশ্যই এই অবস্থায় আসবে। নাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামীকালই অনতিবিলম্বে তাকে শোকজ করতে হবে।”