ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে একযোগে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি


ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে একযোগে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করার দাবি আরও জোরদার করতে এবার নৌপথ অবরোধে নামে আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার মেঘনা নদীর ভৈরব লঞ্চঘাটে প্রায় এক ঘণ্টা নৌচলাচল বন্ধ থাকলেও কর্মসূচি শেষে তারা ঘোষণা দেন, আগামী বৃহস্পতিবার সড়ক, রেল ও নৌপথ একযোগে অবরোধ করা হবে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে চলা এই নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় মানুষদের দাবির তীব্রতা প্রকাশ করা হয়। শেষে আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের লক্ষ্য ভৈরবকে জেলা হিসেবে ঘোষণার দাবি বাস্তবায়ন করা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, "সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ ট্রেনচালক জোরে ট্রেনের হুইসেল বাজানোর কারণে জনতা নিজেদের সেভ করতে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওসির। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পূর্বেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাদের মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।"

ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, "ভৈরবকে জেলা ঘোষণা সর্বস্তরের মানুষের দাবি। পূর্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি।"

ভৈরব নৌ-থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, "সকালে ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে। আন্দোলনকারীরা আগামী বৃহস্পতিবার সড়ক, রেল, নৌপথ একযোগে অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আজকের কর্মসূচি শেষ করেন।"

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশনে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি চলে। ওই সময় কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর আগে রোববার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক বন্ধ করে আন্দোলনকারীরা। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×