ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল: সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস নির্বাচিত

ছয় বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নেতৃত্বের নতুন চেহারা পাওয়া গেল। সদ্য ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি পদে জয় পেয়েছেন শিবির-সমর্থিত প্রার্থী সাদিক কায়েম, আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছেন এসএম ফরহাদ।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

সর্বমোট ১৮টি হলের ফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা অর্জন করেন ২ হাজার ৫৪৯টি ভোট। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রতিনিধি আব্দুল কাদের পান ৬৬৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৮১৫টি ভোট।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এসএম ফরহাদ এগিয়ে থেকে বিজয়ী হন। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ তানভীর বারী হামিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার পেয়েছেন ৮৪৫ এবং প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৪৫ ভোট।

সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হয়েছেন মহিউদ্দীন খান। তার প্রাপ্ত ভোট ৯ হাজার ৫০১। ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৫৮ ভোট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে স্থাপিত ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ছিলেন ৫ জন, জিএস পদে ১ জন এবং এজিএস পদে ৪ জন।

নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫। এর মধ্যে ছাত্র ছিলেন ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ১৮ হাজার ৯০২ জন। ভোটগ্রহণে অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো, ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।