ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শপথ, আট বিষয়ে


ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শপথ, আট বিষয়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) শপথ নেন। নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আচরণ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার তারা ব্যক্ত করেন।

দুপুর ১টার দিকে কলা ভবনের সামনে বটতলায় শপথ অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম শপথবাক্য পাঠ করান। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) তানভীর আল হাদী মায়েদসহ ডাকসু ও হল সংসদের ২০৫ জন প্রার্থী এই অনুষ্ঠানে শপথ নেন।

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথম দফার শপথে ঘোষণা করা হয়, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আনন্দময়, নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলের জোরপূর্বক রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, গণরুম প্রথা ও অন্যায় নিপীড়ন আর কখনো ফিরিয়ে আনা হবে না।

দ্বিতীয় দফার শপথে পূর্বসূরিদের মতো লড়াই চালানোর অঙ্গীকার করা হয়। এতে বলা হয়, যেখানে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে, আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। যেমন বিগত যুগে পূর্বসূরিরা করেছে।

তৃতীয় দফার শপথে নারীদের সুরক্ষার অঙ্গীকার জানানো হয়। এখানে বলা হয়, ক্যাম্পাসকে নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও সুরক্ষিত করা হবে। নারীদের জন্য নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, সম-অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে।

চতুর্থ দফার শপথে বৈধ সিট ও সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, হলগুলোতে বৈধ সিটের ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী খাবার, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কার্যকর পরিবহন নিশ্চিত করা হবে।

পঞ্চম দফার শপথে অনলাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়। প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেন, সাইবার বুলিং, মিথ্যা তথ্য, ডিসইনফরমেশন ও অনলাইন অপতৎপরতা রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে।

ষষ্ঠ দফায় মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা এবং ক্যাম্পাস পরিবেশের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।

সপ্তম দফার শপথে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি শিষ্টাচার বজায় রাখার অঙ্গীকার জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচিত হলে আমরা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশে সর্বদা শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক মনোভাব বজায় রাখব।

শেষ দফার শপথে প্রার্থীরা প্রতিজ্ঞা করেন, এই শপথের প্রতিটি শব্দ আমরা মনেপ্রাণে ধারণ করি। নির্বাচিত হলে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রতিটি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে, ইনশা আল্লাহ।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×