
আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দল গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে কোনো দলই এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ দলের নাম প্রকাশ করেনি।
একাধিক গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শেষেই জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। যেখানে যুক্ত থাকবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণরা। তবে সবার মনে এখন প্রশ্ন, কে কোন আসন থেকে নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন?
নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলছে, ‘সদস্য সচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। এদিকে নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রায়ই তাকে সেই আসনে সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়।’
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তিনি কয়েক মাস ধরে সেখানে সভা-সমাবেশ করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে ও মনিরা শারমিন নওগাঁ থেকে লড়বেন।
এসএম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে ও আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুব সমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।