
আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মমতাজ ৪ দিনের রিমান্ডে
জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক মিরপুর থানা এলাকায় হকার মো. সাগর হত্যা মামলায় আওয়ামী-লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মনিরুল ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার (১২ মে) রারত রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মমতাজকে গ্রেপ্তার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন হকার মো. সাগর। ওইদিন বিকাল টায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা বিউটি আক্তার বাদী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪২ জন আসামি করা হয়।

‘বাংলাদেশকে কি আরেকটা গাজা বানাতে চাচ্ছে?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মানবিক করিডোর নিয়ে কেউ কিছু জানে না। বাংলাদেশকে কি আরেকটা গাজা বানাতে চাচ্ছে? কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে সবার মতামত নিয়ে নিতে হবে। মঙ্গলবার (১৩ মে) তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। তিনি বলেন, গর্তে থেকে বেরিয়ে অনেকেই সংস্কারের তালিম দিচ্ছে অথচ আমরা অনেক আগে থেকেই সংস্কারের কথা বলেছি। সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, আমরা মালিকানা অন্য কাউকে দেইনি। জাতীয় ঐক্যমতের জন্য আমরা প্রস্তুত কিন্তু ঐকমত্য কোথায় আমরা জানতে পারছি না। কেউ যদি মনে করে মালিকানা পেয়ে গেছে, সিদ্ধান্ত নেবে তা হবেনা। শেখ হাসিনা কিছু কিছু স্বৈরাচার তৈরি করে গেছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত কোন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করবেনা। বিনিয়োগকারীদের একটাই শেষ প্রশ্ন- নির্বাচন কবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি ছোট গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশকে একটা জায়গায় নিয়ে যাবে সেটা হবেনা।

৪৭-৫২ ও ৭১কে যারা অস্বীকার করে তাদের বাংলাদেশে রাজনীতির অধিকার নেই; বরকত উল্লাহ বুলু
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, ‘যারা ৪৭, ৫২ ও ৭১-কে অস্বীকার করে তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। যারা ৩০ লাখ শহীদকে অস্বীকার করে, যারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না, যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্বীকার করে না তাদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার অধিকার নেই। সোমবার (১২ মে) লক্ষ্মীপুর বাজার মাঠে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ও পয়ালগাছা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এই দলটি গঠন করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক জিয়াউর রহমান। শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক হচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, ১৮ কোটি মানুষের ভালোবাসায় তারেক রহমান ফিরবেন ও সরকারপ্রধান হবেন। সম্মেলনে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আক্কাছ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নজরুল হক ভূঁইয়া স্বপন, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আ হ ম তাইফুর আলম, জেলা বিএনপি নেত্রী সাকিনা বেগম, বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব চৌধুরী, জেলা বিএনপি নেতা কামরুল হুদা, বরুড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. কাজী নাজমুস সাদাত, বরুড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল জলিলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ত্রিপুরা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা করায় দল থেকে বহিষ্কার হলেন যুবদল নেতা
চট্টগ্রামে মীরসরাইয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া (১৫) ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১২ মে) বিকালে উপজেলার একটি ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম আবুল কাশেম (৩৮)। সোমবার (১২ মে) বিকাল ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় আবুল কাশেমকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আবুল কাশেম উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত কাশেম করেরহাট ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে রয়েছে। এই ঘটনার পর তাকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরী প্রাইভেট পড়ে ঘরে এসে রান্নার কাজ করছিল। তখন আবুল কাশেম বাড়ির উঠোনে এসে ওই কিশোরীর কাছে পানি চায়। পানি দেওয়ার পর অভিযুক্ত ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় কাশেম জবরদস্তি করে ও মুখ চেপে ধরে। এক পর্যায়ে কিশোরী ছুটে ঘরের বাইরে চলে আসে। তার চিৎকারে আশপাশে থাকা ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকজন ছুটে এলে আবুল কাশেম মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় কিশোরীর বাবা-মা ও স্থানীয়রা জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার পথে কয়লা বাজার এলাকায় স্থানীয় একদল লোক তাদের থানায় যেতে বাধা দেয় এবং আগামী বৃহস্পতিবার এই ঘটনার বিচার করে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। ভুক্তভোগীর মা বলেন, রবিবার বিকালে আমি ও আমার স্বামী বাইরে কাজে থাকার সুযোগ নিয়ে আমাদের বসতঘরে ঢুকে আবুল কাশেম মেয়ের ওপর অত্যাচার করে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে বের হলে সন্ধ্যায় কয়লা বাজারে কিছু লোক আমাদের বাধা দিয়ে পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেবে বলে থানায় যেতে দেয়নি। সোমবার বিকালে জোরারগঞ্জ থানায় গিয়ে এ ঘটনায় আবুল কাশেমকে আসামি করে মামলা করেছি। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবুল কাশেম দাবি করে, আমি ওই কিশোরীর বাবার কাছে টাকা পাই। সেই টাকা উদ্ধার করতে তার বাড়িতে গেলে মেয়েটির বাবার সঙ্গে আমার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমি তাদের বাড়ির উঠান থেকে চলে আসি। ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ সত্য নয়। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এদিকে সোমবার বিকালে অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যুবদল জোরারগঞ্জ থানা শাখা। জোরারগঞ্জ থানার আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন। তাদের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জোরারগঞ্জ থানার আওতাধীন ১নং করেরহাট ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার কোনও ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে’ এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা করার বিষয়ে জেনে রবিবার রাতেই সেখানে পুলিশের একটি পরিদর্শন টিম পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সোমবার বিকালে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে আবুল কাশেমকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

আন্দোলনের নামে শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা ইচ্ছা বলা যাবেনা: এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, শাহবাগে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারতো, যমুনায় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারতো। 'বিএনপিকে কেউ কেউ ভুয়া ভুয়া বলে শ্লোগান দেয়' এসব কথা আমাদের মনের ভিতর দাগ কাটে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম করেছি। তাহলে কি কারণে শাহবাগে কিছু স্বল্প সংখ্যক উপস্থিতিতে এ ধরনের শ্লোগান হয়। এটা স্বাধীন দেশ, শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবেনা। সোমবার (১২মে) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, মানুষ এখন আর বার বার মিছিল করবে মিটিং করবে এটা পছন্দ করে না। মানুষ আন্দোলন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়। মানুষ এখন দেশের কথা চিন্তা করে। তাই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, দেশটাকে গড়ি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির মধ্যে কোন ফ্যাসিবাদ ছিলো না, বিএনপির মধ্যে কোন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছিলোনা, এক ব্যক্তির শাসন ছিলো না, স্বৈরাচারী শাসন ছিলো না। বিএনপি সেই দল যে সবাইকে নিয়ে দেশ চালিয়েছে। আগামীতেও বিএনপি সবাইকে নিয়ে চিন্তা করছে। তার প্রমান ৩১দফা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. হাসিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, এড. হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির আহবায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক শাহ মোহাম্মদ এমরান প্রমুখ।

পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে এসে গ্রেপ্তার হলেন আ.লীগ নেতা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগে দিতে আসা আওয়ামী-লীগ নেতা বেলাল হোসেনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) দুপুরের দিকে ধুনট থানায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত বেলাল হোসেন উপজেলার ধেরুয়াহাটি গ্রামের মেহের বক্স শেখের ছেলে। তিনি উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেনের জায়গা প্রতিপক্ষের লোকজন অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে বেলাল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে আসেন। থানা পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নাশকতা ৩টি মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য, বিএনপির কার্যালয় ও গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার বাদী হয়েছেন বিএনপি, যুবদল ও শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দ। মামলায় আওয়ামী লীগের তিনশতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম জানান, এসব মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিলেটে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ২৬ নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের ২৬ নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ করেছে পুলিশের কাছে । সোমবার (১২ মে) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। তবে বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশিক উদ্দিন। আত্মসমর্পণকারীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা পাঁচটি মামলার আসামি। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে তারা আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের শর্ত মোতাবেক সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এদিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসা নেতাকর্মীদের হেনস্থা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিলেটের জকিগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় চারটি মামলা হয়। চার মামলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এক মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম রিপন বলেন, ‘তার মামলার নাম উল্লেখ করা ৪৮ জনসহ আড়াই শতাধিক আসামির মধ্যে তিনজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। সোমবার সিলেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত কারও জামিন আবেদন মঞ্জুর করেননি।’ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশিক উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাঁচ মামলায় ২৬ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

আ. লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে: মির্জা আব্বাস
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সোমবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। মির্জা আব্বাস বলেন, নাসির উদ্দিন পিন্টুকে আজ যেভাবে স্মরণ করা হচ্ছে, এই নাসির উদ্দিনদের মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকের এই বিএনপি। এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলনকে নাটক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনো আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে; এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে। মির্জা আব্বাস বলেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অথচ সরকার কিছু জানে না, তারা কী জানে? তাছাড়া, প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না, তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে। করিডর নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কথা বলছে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ২৫ মে
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ৮২জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন এদিন ধার্য করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বাসস'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাগুলোর আজ গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ। এজন্য আগামী ২৫ মে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক। এর আগে ১৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চার্জশিটভুক্ত ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। ওই তারিখে প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় আজ ১২ মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য ছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরো চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরো দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় এবং শেখ রেহানা, তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে পৃথক এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। ওই তারিখে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় আজ ১২ মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল । ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ রেহানার বিরুদ্ধে গত ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ শেখ রেহেনা-শেখ হাসিনা-টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে করা মামলায় টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ আজমিনা সিদ্দিক-শেখ হাসিনা-টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে করা মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক-শেখ হাসিনা-টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।

আ.লীগ-জাপা ও ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চায় গণঅধিকার পরিষদ
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটভুক্ত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (১২ মে) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে লিখিত আবেদনপত্র জমা দিয়ে সংগঠনটির নেতারা এই দাবি জানান। সংগঠনটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আসে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান,হাবিবুর রহমান রিজু, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১০ মে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। একইভাবে তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল দেশের নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে গণহত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এছাড়া দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ যে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল, তার অন্যতম সহযোগী ও বৈধতা দানকারী হিসেবে সক্রিয় ছিল জাতীয় পার্টিসহ জোটবদ্ধ বাকি দলগুলো। বিগত তিনটি একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি। হাসান আল মামুন বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরপর তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে না দেওয়া, গুম, ক্রসফায়ার, আয়নাঘরে নির্যাতন, দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রতিবেশী দেশের হাতে তুলে দেওয়া, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করাসহ বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের ওপর চালানো বর্বর আওয়ামী দুঃশাসনের ভিত্তিকে শক্তিশালী করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের মৌলিক মানবাধিকার হরণের মাধ্যমে তারা নিজেদের রাষ্ট্রদ্রোহী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের ওপর নির্মম বর্বরতা চালানো ও ধারাবাহিক দুঃশাসনের প্রধান হোতা আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গী প্রত্যেকটি দলকে গণহত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি করার আহ্বান করছে গণঅধিকার পরিষদ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশপ্রেমিক সরকার নয় : মির্জা আব্বাস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশপ্রেমিক সরকার নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টুর ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অথচ সরকার কিছু জানে না, তারা কী জানে তাহলে? আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশ ছাড়ার ঘটনা আড়াল করতেই শাহবাগে নাটক সাজানো হয়েছে। প্রশাসনে বিএনপি সমর্থিতদের না রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি, এখন তাদের পুনর্বাসন করবে যারা এমন কথা বলেন, তারা বিএনপিকে হিংসা করে। আমার প্রশ্ন, সচিবালয়ের ভেতর এখনো আওয়ামী লীগের লোকেরা কী করে? প্রশাসনে হয় জামায়াত, নয় আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে বাদ দেওয়া হচ্ছে সব জায়গা থেকে। তিনি আরও বলেন, এ সরকার দেশপ্রেমিক সরকার নয়। অনেক উপদেষ্টা আছেন, যারা দেশের নাগরিক না তারাই দেশ পরিচালনা করছেন। মনে হচ্ছে দেশে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে। আমরা কেন সেন্ট মার্টিন, বাঘাইছড়ি আর সাজেক যেতে পারি না? আমাদের কি পাসপোর্ট ভিসা লাগবে, সরকারের কাছে জানতে চাই। বিএনপিই এখন পারে বিদেশি শত্রুর হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে।

‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন সফল হওয়ার পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষে এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার (১২ মে) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, আ.লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যমুনা বা শাহবাগ ঘেরাওয়ে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিল জামায়াত-শিবির। জাশি ও এনসিপির নেতাদের একসঙ্গে বসে ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য ইসলামিক দলেরও ভালো সাপোর্ট ছিল। আমার ধারণা যমুনা ও শাহবাগে ঘেরাওয়ে ৬০ শতাংশ বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল। আরও বেশিও হতে পারে। মূলত তারা উপস্থিত না হলে আন্দোলনটা জমতো না। তিনি লেখেন, তবে আন্দোলন আংশিক সফল হওয়ার পরে কেন যেন এনসিপির নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে। কিন্তু সরাসরি এনসিপির কমিটিতেই শিবিরের বেশসংখ্যক নেতা আছে। যারা বিরুদ্ধে বলছে, তাদের কেউ কেউ শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যাই হোক, এখন রাজনীতি করতে গেলে তাদের প্রগতিশীল হয়ে উঠতেই হবে! তিনি আরও লেখেন, কোনো কোনো মহল থেকে অভিযোগ আসছে, শাহবাগের প্রতিশোধ নিয়েছে জামায়াত শিবির! আমি সেভাবে বলতে চাইনা, কারণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জনগণের পক্ষ থেকে আছে। তাদের প্রশ্ন, যমুনার আন্দোলন কেন শাহবাগে গেলো?! পোস্টের সবশেষে রাশেদ লেখেন, জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও... এবারের ঘটনা থেকে জাশির যদি ন্যূনতম শিক্ষা হয়, তবে ডাক দিলেই আর আগের মত দৌড় দিবে না। আর যদি তারা মনে করে, চড় মেরে ক্ষমা চাইলেও সব ক্ষমা করে দেওয়া যায়, তবে আবার ডাক আসলে, তারা আবার জনশক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে! আর যদি তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হয়, অন্যের আহ্বানে জনশক্তি সরবরাহ করা। তবে এক্ষেত্রে আমার কোন মন্তব্য নেই।

একাত্তরে গণহত্যায় সহযোগিতায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যার আহ্বান এনসিপি’র
একাত্তরে গণহত্যায় সহযোগিতায় অভিযুক্তদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। সোমবার (১২ মে) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়গুলো ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এর যথাযথ স্বীকৃতি এবং মর্যাদা বাংলাদেশে রাজনীতি করার পূর্বশর্ত। একাত্তরে যারা এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলে এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবেন এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মত, পক্ষ এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ একটি পক্ষ সচেতনভাবে দলীয় স্লোগান এবং বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামবিরোধী স্লোগান দিয়েছে। যা জুলাই পরবর্তী সাম্প্রতিক আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এনসিপি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চায়, আমাদের কোনও সদস্য সাম্প্রতিক আন্দোলনে দলীয় স্লোগান কিংবা এই জনপদের মানুষের সংগ্রাম ও ইতিহাসবিরোধী কোনও স্লোগান দেননি। যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষটিকেই বহন করতে হবে। এনসিপিকে এর সঙ্গে জড়ানো সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় একটি পক্ষ আপত্তি জানালেও তারা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদী জমানায় নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে চব্বিশের অভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা পালন করেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের আবশ্যিকভাবে ‘বাংলাদেশপন্থি’ ভূমিকা পালন করে যেতে হবে। এনসিপি মনে করে, কোনও রাজনৈতিক দল বা পক্ষের অতীতের রাজনৈতিক অবস্থান বা আদর্শের কারণে ইতিপূর্বের বিভাজন ও অনৈক্যের রাজনীতির সূত্রপাত ঘটলে সংশ্লিষ্টদের দায় রয়েছে, জনগণের সামনে নিজেদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্যের পথে হাঁটার। বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই শুধু মুজিববাদকে সামগ্রিকভাবে পরাস্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করে এনসিপি।

নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ গণতন্ত্রের জন্য অশুভ: বাসদ
সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের জন্য অশুভ ইঙ্গিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ এই মন্তব্য করেন। বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রকারান্তরে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের প্রতিই মানুষের সহানুভূতি সৃষ্টি করবে। তিনি বিচারে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা না দিয়ে ঢালাও মামলা দিয়ে মামলাকে প্রহসনে পরিণত করার চক্রান্ত বন্ধ করে জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ীদের এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করার দাবি জানান। বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এখনও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জুলাই গণহত্যাসহ তাদের বিগত কর্মকাণ্ডের জন্য ন্যূনতম অনুশোচনাও নেই। কিন্তু তারপরও সন্ত্রাস দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মতো অগণতান্ত্রিক আইনের মাধ্যমে নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা অথবা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার মতো যে কোনো সিদ্ধান্ত দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা। বাসদের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করে জুলাই গণহত্যাসহ সব রাজনৈতিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করার মাধ্যমে তাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। গত ৫৪ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরের গণহত্যার দায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে বিচার করার দাবি জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, কিন্তু কোনো সরকার এই উদ্যোগ নেয়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও এই দাবিকে উপেক্ষা করে জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে তাদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সেই ফ্যাসিবাদী সরকারও সন্ত্রাস দমন আইনে নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে জনগণের মনযোগ ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সমাবেশে যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে স্লোগান উচ্চারণ করেছে এবং জাতীয় সংগীত গাইতে আন্দোলনকারীদের বাধা দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারপূর্বক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এই বাসদ নেতা।

আওয়ামী লীগ কচুর পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর-উত্তম) বলেছেন, ‘এখন একটা বৈরী হওয়া বইছে। একটা জিনিস বুঝতে হবে মওলানা ভাসানীর তৈরি করা দল ও বঙ্গবন্ধুর লালন-পালন করা দল আওয়ামী লীগ। যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। সেই আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না।সেটা সিদ্ধ হবে না, নিষিদ্ধ হবে এ রায় দেওয়ার মালিক জনগণ।’ রবিবার (১১ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতীহাটি গ্রামে এলাকার মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে টেনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। জনগণ যদি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, অনুমোদন দিলেও সে দল দাঁড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের যারা অন্যায় করেছে, ভুল করেছে তাদের বিচার হবে এবং আইনের বিচারের দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু কোনো পরিষদ সিদ্ধান্ত নিলেই সেটা কার্যকর হবে বা সেটাই শুদ্ধ, সেটা ঠিক নয়।’ পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখনকার দিনে যুদ্ধ কোনো ছেলেখেলা নয়। দু-একটা গুলি ছোড়া আর যুদ্ধ করা এক জিনিস নয়। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হতে পারে না। যুদ্ধ হলে এমন ভয়াবহ হবে সারা পৃথিবীতে তার প্রভাব পড়বে। যুদ্ধ হলে সারা পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এখন কোনো যুদ্ধই তার একার নয়। আমরা ভারতের নিকটবর্তী প্রতিবেশী আমাদের ওপর অবশ্যই প্রভাব পড়বে।’ এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা (বীরপ্রতীক) আব্দুল্লাহ, কালিহাতী উপজেলা যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম নাজমুল আলম ফিরোজ, বল্লা ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি মোস্তফা আনসারী, সাধারণ সম্পাদক সাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিলম্ব হলেও আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ করায় আমরা আনন্দিত: মির্জা ফখরুল
সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করা ও বিচার নির্বিঘ্ন করতে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিএনপি আনন্দিত বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার দাবি বিএনপি জানিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, তখন তাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নিলে বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হত না। রোববার (১১ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে হলেও গতরাতে অন্তর্র্বতী সরকার ফ্যাসীবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসীবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সকল সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী ফ্যাসীবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্র্বতী সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আমরা আশা করি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেওয়া পত্রে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার’ দাবি জানিয়েছিলাম। ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা ‘পতিত ফ্যাসীবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল, তাদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার’ দাবি জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসীবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বারবার উত্থাপন করেছি। আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মূহুর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার তথা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসীবাদের পতনের জন্য গুম, খুন, জেল, জুলুম সহ্য করেও অব্যাহত লড়াই করেছে। তাদের সেই দাবি এখনো অর্জিত হয়নি।’ সবশেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে, সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুলেছে গণঅধিকার পরিষদ
সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে পতিত আওয়ামী লীগের। এবার জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুলল গণঅধিকার পরিষদ। রোববার (১১ মে) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তোলা হয়। জানানো হয়, সোমবার (১২ মে) নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলে লিখিত অভিযোগ পাঠাবেন গণঅধিকার পরিষদ। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদও জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। এসময় আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খাঁন বলেন, শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আন্দোলনকারী বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকেও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তবে চূড়ান্ত নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকে গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে তৎপর ভূমিকা পালন করে আসছে। এ লক্ষ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ, গত ২২ মার্চে ঢাকায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনসহ দেশব্যাপী নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সর্বশেষ শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ২টায় গণমিছিল এবং পল্টন মোড় অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। এছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’ ‘গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, গণহত্যার বিচার ও সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার না হলে এই গণঅভ্যুত্থান অপূর্ণ থেকে যাবে। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হলে দেশ-বিদেশে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেত।’ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেহেতু অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গণঅভ্যুত্থানের সরকার। আন্দোলনের মাধ্যমে যেকোনো দাবি আদায় কিংবা রাস্তা অবরোধ, যমুনা বা সচিবালয় ঘেরাও ইত্যাদি সরকারের জন্য যেমন বিব্রতকর, ঠিক একইভাবে জনগণের ওপর সরকারের অনাস্থা প্রকাশ পায়। সুতরাং জনগণের সেন্টিমেন্ট বিবেচনায় আন্দোলন ছাড়াই সরকারকে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করছি।’ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না, আবারও কেন ছাত্র-জনতা রাজপথে নামলো? গত ৮ মে রাত ৩টা ৫ মিনিটে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ দেশ ছেড়েছেন। এ ঘটনায় রাঘববোয়ালদের বাঁচাতে চারজন পুলিশের নিরপরাধ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদের বদলি আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চরিত্র থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশকিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম এসেছে। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকা আমরা জানতে চাই। তার গাফলতি নাকি সহায়তা ছিল? যেটাই হোক না কেন তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না। ডামি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’ তিনি বলেন, ‘শুধু আবদুল হামিদই নয়, ওবায়দুল কাদেরসহ ডামি এমপিরা কীভাবে পালালো? কেন এসব ঘটনায় সরকারের কোনো সুষ্ঠু তদন্ত নেই? এক্ষেত্রে সন্দেহ থেকে যায় আবদুল হামিদের মতো আওয়ামী লীগের ডামি এমপি-মন্ত্রীদের সেফ এক্সিট দিয়েছে কি না সরকার।’ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি উপদেষ্টাদের কেউ কেউ রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ ও ডামি এমপিদের পুনর্বাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। উপদেষ্টা পরিষদেই ঘাপটি মেরে আছে আওয়ামী দোসররা। সরকার এখন পর্যন্ত আওয়ামী সুবিধাভোগী, ডামি নির্বাচনে সহযোগিতাকারী ডিসি, এসপি, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং সরকার তাদের পুনর্বাসন করেছে। এমনকি ছাত্র-জনতার বুকে সরাসরি গুলি চালিয়ে হত্যা করা পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে হাসিনার ফ্যাসিবাদ তন্ত্র ধ্বংস করা যাবে না। হাসিনা পালিয়ে গেলেও পুরো ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিদ্যমান রেখে দেশ চালাচ্ছে সরকার। এভাবে চলতে থাকলে এই বিপ্লব যেকোনো সময় নস্যাৎ হয়ে যেতে পারে।’

আ.লীগের বিচারের দাবি বিএনপিই তুলেছিল: সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় সরকারকে সধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি কয়েক মাস আগেই লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার দায়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তখন প্রধান উপদেষ্টা যদি দাবিটি আমলে নিতেন, তাহলে গত কয়েকদিনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবিধান সংস্কার বিষয়ে নাগরিক জোটের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিএনপি শাহবাগে না যাওয়ার কারণ সম্পর্কে- সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা কেন শাহবাগে যাবো। আমাদের দাবি তো বহু আগেই লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও গণমানুষের কথাগুলো বলেছিলাম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নজির আছে যে সমস্ত ফ্যাসিবাদী দল গণহত্যার জন্য দায়ী দল হিসেবে তাদেরকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে এসে নিষিদ্ধ করা হয়। এর উদাহরণ সারা পৃথিবীতে আছে। সুতরাং দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করবে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য স্বাগতম জানাই। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, বিএনপি এই রকম যেসব পরামর্শ দিয়েছে দেশ ও জনগণের পক্ষে তা যেন যথাসময়ে আমলে নেয়। সরকার ও দেশ পরিচালনায় আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব। সারাদেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব বলে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এ জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানিয়েছি, নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করতে। আওয়ামী লীগ ও তাদের অন্যান্য সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার আরও একটি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মনে হয় এইজন্য সরকারকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কিছুটা সংশোধনী আনতে হবে। কারণ এই আইনে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের কথা বলা আছে। এখানে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি উল্লেখ নেই বলেও জানান সালাহউদ্দিন। বিএনপি এতদিন যে গণতান্ত্রিক রাজনীতির কথা বলে আসছে, সেখানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ কতটা গণতান্ত্রিক- এমন প্রশ্নে সালাহউদ্দিন বলেন, তারা একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, তারা একটি মাফিয়া শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়াতন্ত্রের চর্চা করেছিল দেশের মানুষের ওপর। তারা আর রাজনৈতিক দল নেই। তারা একটা মাফিয়া শক্তি, ফ্যাসিবাদী দল। সুতরাং তাদেরকে রাজনৈতিক দলের কোনো তকমা দিতে চাই না। আওয়ামী লীগের ডিএনএতে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক চর্চা নেই বলেও দাবি করেন সালাহউদ্দিন।

আ.লীগের পর জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আহ্বান গণঅধিকার পরিষদের
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে দলটির সঙ্গে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (১২ মে) নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা। রবিবার (১১ মে) দুপুর ১২টায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান লিখিত বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। লিখিত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদ জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান মো. রাশেদ খান। গণঅধিকার পরিষদ জানায়, শুরু থেকেই তারা গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, শুধু সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা নয়, আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত নিবন্ধন বাতিল না হলে এই গণঅভ্যুত্থান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিবন্ধন বাতিল এবং চূড়ান্তভাবে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে নির্বাচন কমিশন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করেন তারা। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদ বলেছে, দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে পাঁচটির বেশি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত। পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমানোর আহ্বান জানানো হয়।

সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার পুরোনো কৌশলের পথেই এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে লোকজন অবাধে প্রবেশ করছে। অথচ সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। মানুষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রোববার (১০ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত শুভেচ্ছা শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি লোক দেখানো নামাজের কথা বলতেন। এ দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার পার্থক্য স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছে। তারা খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, কারণ তিনি ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রের পক্ষে, আপসহীন এক নেতৃত্বের প্রতীক। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, মানুষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব। এতে জনগণের মধ্যে সন্দেহ ও আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদ কীভাবে দেশত্যাগ করেন? তার লাল পাসপোর্ট কি এখনও বৈধ? উপদেষ্টারা থাকতেও কেন এসব রোধ করা গেলো না! সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রিজভী বলেন, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবাধে লোক ঢুকছে। অথচ সরকারের তরফে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ নেই। ভারতের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব, তা প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার চালায়। অথচ বাংলাদেশ বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল উদাহরণ, যা অনেক দেশের কাছেই ঈর্ষণীয়।

অনলাইনেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বন্ধ হচ্ছে পেজ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাইবার স্পেসেও আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুকসহ সাইবার স্পেসে কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিষিদ্ধের পরিপত্র জারির পরই এ ব্যাপারে কাজ শুরু করবে সংস্থাটি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিপত্র জারি হলে এসব পেজ নিষিদ্ধ করতে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে চিঠি পাঠালে সেটি দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা করছি।’ ৫ আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে সাইবার স্পেসেই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো।ইন্টারনেটে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (টুইটার) এর মতো মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে বক্তব্য, মতামত, বিবৃতি প্রচারসহ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল দলটি। একই সঙ্গে এসব মাধ্যম ব্যাবহার করে ভুয়া তথ্যও ছড়াতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ’৭১-এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি একথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চলিয়েছে। (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনও ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে-বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে। তিনি বলেন, মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায়, মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, মুজিববাদী বামেরা দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বি টিম ও শিগগিরই পরাজিত হবে। অন্য কারও কাঁধে ভর করে লাভ নেই।

পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান : তারেক রহমান
পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহীয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মধ্যেও সন্তানকে আগলে রাখেন। সুমাতার সাহচর্যে সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানব-সত্ত্বার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাকে নিয়ে এসব কথা বলেন। পোস্টে তিনি সব মায়েদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারেক রহমান বলেন, আজকের এই দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মাকে। আমি কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শনজনক আন্তর্জাতিক দিবস। এই দিবস সমাজ ও পরিবারে মায়ের গুরুত্ব ও অবদানের জন্য উদযাপন করা হয়। এই দিবসে বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালবাসা জানাতেই আজকের এই দিন। তিনি বলেন, বহু দেশ ও সংস্কৃতি মা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করে এক অসাধারণ মাত্রা দিয়েছে। মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গিত এক অনন্য দিবস—মা দিবস। পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালোবাসায়। তার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনার প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা—সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সন্তানকে নির্ভুল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবল সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়।

আওয়ামী লীগের বি-টিমও শিগগিরই পরাজিত হবে: মাহফুজ আলম
জুলাই-আগস্টের হত্যার বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর দলটির বি-টিমও শিগগিরই পরাজিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শনিবার (১০ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি একথা বলেছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বাম দলগুলোর নিয়েও কথা বলেছেন। দুটি কথা শিরোনামে দেওয়া পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চলিয়েছে (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা লিখেছেন, মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন, আর শাপলায় মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বিটিম ও শীঘ্রই পরাজিত হবে। অন্য কারো কাঁধে ভর করে লাভ নেই।