রাজনৈতিক অর্থায়ন নিয়ে স্পষ্ট জবাব দিলেন: মুফতি ফয়জুল করিম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:১১ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদমাধ্যম ‘ঠিকানা’-এর টকশোতে সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করিম। সেখানে রাজনৈতিক দলের চাঁদা ও তার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "আমরা চাঁদা নিই না, বরং দেই।"
চরমোনাই পীর আরও জানান, দলের সাম্প্রতিক সম্মেলনে অংশ নিতে তাকে নিজে এক লাখ টাকা দিতে হয়েছে। আমিরকেও একই পরিমাণ অর্থ দিতে হয়েছে। সবাই নিজেদের খরচে গেছেন, খেয়েছেন এবং ফেরত এসেছেন। সম্মেলনে খরচ হয়েছে কয়েক কোটি টাকা, যা প্রত্যেকে নিজ নিজ খরচে বহন করেছেন।
তিনি বলেন, “মসজিদে দান বাক্স আসে, সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। ঠিক তেমনি মন্দির, গির্জা বা প্যাগোডায়ও দান দেওয়া হয়। গোটা বিশ্বে চ্যারিটেবল কার্যক্রম এমনভাবেই চলে।”
উপস্থাপক যখন জানতে চান, চাঁদার টাকায় কেউ ব্যক্তিগত সুবিধা নেন কি না, তখন মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, "একজন যদি হাদিয়া হিসেবে ১০ টাকা দেয়, আর কেউ যদি জোর করে নেয়, এ দুয়ের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে।"
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ব্যক্তি তাকে উপহার দিলে তা আলাদাভাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু মসজিদ, মাদ্রাসা বা দলের জন্য দেওয়া অনুদানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। তার ভাষায়, "ব্যক্তিগত হাদিয়া ও সংগঠনের চাঁদার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।"
এ সময় নিজের পরিচয় সম্পর্কে মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, তার প্রথম পরিচয় একজন "মুসলমান" হিসেবে। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মের যাবতীয় ইবাদত ও দায়িত্ব পালন করাই তার জীবনের মূল কাজ। পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও করেন একটি কোম্পানি ও ইটভাটা রয়েছে তার। সময় ভাগ করে পরিবার, দাওয়াতি কাজ ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ বক্তব্যে রাজনৈতিক চাঁদা, ব্যক্তিগত অর্থায়ন এবং ধর্মীয় অনুশীলনের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টেনে দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা।