সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী

অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার পুরোনো কৌশলের পথেই এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে লোকজন অবাধে প্রবেশ করছে। অথচ সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। মানুষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রোববার (১০ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত শুভেচ্ছা শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি লোক দেখানো নামাজের কথা বলতেন। এ দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার পার্থক্য স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছে। তারা খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, কারণ তিনি ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রের পক্ষে, আপসহীন এক নেতৃত্বের প্রতীক। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, মানুষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব। এতে জনগণের মধ্যে সন্দেহ ও আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদ কীভাবে দেশত্যাগ করেন? তার লাল পাসপোর্ট কি এখনও বৈধ? উপদেষ্টারা থাকতেও কেন এসব রোধ করা গেলো না! সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রিজভী বলেন, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবাধে লোক ঢুকছে। অথচ সরকারের তরফে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ নেই। ভারতের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব, তা প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার চালায়। অথচ বাংলাদেশ বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল উদাহরণ, যা অনেক দেশের কাছেই ঈর্ষণীয়।

অনলাইনেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বন্ধ হচ্ছে পেজ

বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাইবার স্পেসেও আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুকসহ সাইবার স্পেসে কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিষিদ্ধের পরিপত্র জারির পরই এ ব্যাপারে কাজ শুরু করবে সংস্থাটি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিপত্র জারি হলে এসব পেজ নিষিদ্ধ করতে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে চিঠি পাঠালে সেটি দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা করছি।’ ৫ আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে সাইবার স্পেসেই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো।ইন্টারনেটে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (টুইটার) এর মতো মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে বক্তব্য, মতামত, বিবৃতি প্রচারসহ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল দলটি। একই সঙ্গে এসব মাধ্যম ব্যাবহার করে ভুয়া তথ্যও ছড়াতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ’৭১-এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি একথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চলিয়েছে। (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনও ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে-বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে। তিনি বলেন, মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায়, মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, মুজিববাদী বামেরা দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বি টিম ও শিগগিরই পরাজিত হবে। অন্য কারও কাঁধে ভর করে লাভ নেই।

পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান : তারেক রহমান

পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহীয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মধ্যেও সন্তানকে আগলে রাখেন। সুমাতার সাহচর্যে সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানব-সত্ত্বার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাকে নিয়ে এসব কথা বলেন। পোস্টে তিনি সব মায়েদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারেক রহমান বলেন, আজকের এই দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মাকে। আমি কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শনজনক আন্তর্জাতিক দিবস। এই দিবস সমাজ ও পরিবারে মায়ের গুরুত্ব ও অবদানের জন্য উদযাপন করা হয়। এই দিবসে বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালবাসা জানাতেই আজকের এই দিন। তিনি বলেন, বহু দেশ ও সংস্কৃতি মা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করে এক অসাধারণ মাত্রা দিয়েছে। মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গিত এক অনন্য দিবস—মা দিবস। পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালোবাসায়। তার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনার প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা—সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সন্তানকে নির্ভুল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবল সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়।

আওয়ামী লীগের বি-টিমও শিগগিরই পরাজিত হবে: মাহফুজ আলম

জুলাই-আগস্টের হত্যার বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর দলটির বি-টিমও শিগগিরই পরাজিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শনিবার (১০ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি একথা বলেছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বাম দলগুলোর নিয়েও কথা বলেছেন। দুটি কথা শিরোনামে দেওয়া পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চলিয়েছে (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা লিখেছেন, মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন, আর শাপলায় মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিষ্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বিটিম ও শীঘ্রই পরাজিত হবে। অন্য কারো কাঁধে ভর করে লাভ নেই।

ছোট ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর কয়েকদিন বাসায় পূর্ণ বিশ্রামে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগের চেয়ে সুস্থবোধ করায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসায় যাচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (১০মে) রাতে খালেদা জিয়া গুলশান-২ নম্বরে শামীম ইস্কান্দারের বাসায় যাবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।’

ফেসবুকে পোস্ট করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা যায় না: দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ফেসবুকে পোস্ট করে কিংবা রাস্তায় জনদুর্ভোগ তৈরি করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যায় না। একটা প্রেস ব্রিফিং দিয়ে আন্দোলন করার অবস্থা এখন বাংলাদেশে নেই। শনিবার (১০ মে) দুপুরে জামালপুরের মাদারগঞ্জে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই- গত সাড়ে ১৫ বছর অপকর্ম ও জুলাই -আগস্টে এই গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আইনের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশে নির্বাচন দিলে এমনিতেই তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আন্দোলনের নামে একবার শাহবাগে যাওয়া একবার যমুনায় যাওয়া এবং মানুষকে বিরক্ত করা এগুলো যৌক্তিক কাজ নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর কখনো দেশে ফিরবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পার্টি হচ্ছে বিএনপি।

কেউ যেন আর ভোটের অধিকার নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে: তারেক রহমান

‘কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিত করার ষড়যন্ত্র করতে না পারে’ সেজন্য জনগণকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। শনিবার (১০ মে) বিকালে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে বিএনপি দেশে এমন একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে সরকার জনগণের কাছে জবাদিহি করতে বাধ্য থাকবে।’ ‘তবে কেউ যেন আপনার-আমার আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার কুক্ষিত করে রাখার ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেজন্য জনগণের দায়বদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকটি মানুষ… এই ঘরে যে মানুষগুলো আমরা উপস্থিত আছি, এই ঘরের বাইরে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা যে যেখানেই আছি না কেন, যে যার অবস্থান থেকে সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। আপনাদের সবার কাছে আমি আজ সেই আহ্বান জানাই।’ তারেক রহমান বলেন, ‘নিরাপদ ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বে এখনও পর্যন্ত গণতন্ত্রই একমাত্র উত্তম বিকল্প। গণতান্ত্রিক বিশ্বে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গণতন্ত্রবিরোধী যারা গণতন্ত্রের অপশক্তি হিসেবে কিন্তু চিহ্নিত। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে বিগত দশক ধরে যারা, অথবা যে দলটি ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষন চালিয়েছিল দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে তারা অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এরই ভেতরে।’ ‘আমরা যদি ’৭১ সাল, ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, ’৯০ সাল এবং সর্বশেষ ’২৪ সালে বীর জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের যে ধারাবাহিকতা দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ বর্তমান দুইটা বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে একমত, তা হলো— এক. বাংলাদেশকে যাতে আর কেউ ভবিষ্যতে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে, এবং দুই. গণতন্ত্রবিরোধী পলাতক অপশক্তি যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এই দু্ইটা বিষয়ে জনগণ আর কোনও আপস করতে রাজি নয়। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এটি আমি উপলব্ধি করি।’ তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপিসহ বাংলাদেশের পক্ষের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জনগণের এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।’ ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট— যারা সংবিধান বার বার লঙ্ঘন করেছেন, দেশে অবৈধ সংসদ এবং সরকার গঠন করেছে, যারা সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনগণ, সরকার এবং রাজনীতিতে কোনোভাবেই গুম-খুন-অপহরণ-দুর্নীতি-লুটপাট-টাকা পাচার-বর্বর আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতা পতিত পলাতক পরাজিত অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না এই বাংলাদেশের মানুষ।’ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান হয়। ত্রিপিটক পাঠ করে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। ত্রিপিটক পাঠ করেন এম শ্রী ইন্দ্র বংশ ভিক্ষু, ভদন্ত সুধর্ম ভিক্ষু, ভদন্ত সমৈত্রী রতন ভিক্ষু ও আনন্দ প্রিয় শ্রমন। বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৌদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান তারেক রহমান। তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে এখানে একটি কথা রয়ে গেছে। সরকারের কার্য্ক্রম সম্পর্কে জনগণের সামনে যাতে স্বচ্ছ ধারণা থাকে, এই কারণে বিএনপি প্রথম থেকে এই সরকারের কাছে তাদের একটি কর্মপরিকল্পনা-পথনকশা ঘোষণার আহ্বান বার বার জানিয়ে এসেছে, জানিয়ে আসছে।’ ‘সরকারের কার্য্ক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা যদি জনমনে থাকে, তাহলে কোনও রকমের সংশয়-সন্দেহ কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থাকে না।’ ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের দুঃশাসন ও দুষ্কর্মগুলোর চিত্র এবং জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলি বেশি করে প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফ্যাসিবাদী দেড় দশকে কক্সবাজারের রামু, ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার নাসিরনগর, রংপুর, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর বাড়ি-ঘর-উপাসনালয়ে হামলার ঘটনাবলি নিয়েও গণমাধ্যমের কাছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘কারা এসব ঘটনার নেপথ্যে ছিল, এসব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে আর কেউ দেশের ধর্মী জনগোষ্ঠীকে দলীয় রাজনীতিতে ব্যবহারের সাহস করবে না।’ ‘‘আগামী দিনে বিএনপি জনগণের রায়ে ইনশাল্লাহ রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে ফ্যাসিবাদী দেড় দশকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে যে অপ্রীতিকর, অনাহূত ঘটনা ঘটেছে, তার নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ের একটি সর্বদলীয়, সর্বধর্মীয় ‘নাগরিক তদন্ত কমিশন’ গঠন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।” তারেক রহমান বলেন, ‘দলমত ধর্ম নির্বিশেষে দেশে প্রতিটি নাগরিকের প্রথম এবং প্রধান গর্বিত পরিচয় হচ্ছে, আমরা বাংলাদশি। নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস বা সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা বজায় রেখেই বাংলাদেশি হিসেবে প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্র ও সমাজের সমান এবং ন্যায্য অধিকার ভোগ করবে এটি বিএনপির নীতি।’ বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সুভাষ চন্দ্রা চাকমার সঞ্চালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে মৈত্রী দেওয়ান, সমীর দেওয়ান, সাথী উদয় কুসম বড়ুয়া, প্রবীণ চাকমা, অনিমেষ চাকমা, নিকোলা চাকমা, প্রার্থ প্রীতম বড়ুয়া, চন্দ্রা চাকমা, মানস থু চাকমা, লু থু মু মারমা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। পরে গুলশান কার্যালয়ে অতিথি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল

ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শনিবার (১০ মে) বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। পরে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার পাশে বসেন তিনি। আয়োজন করেছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। পলোগ্রাউন্ড মাঠে দেখা যায়, দুপুর ১টার পর থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার নেতাকর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেন। আনুষ্ঠানিক সমাবেশ শুরুর আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। হাতে ব্যানার, মাথায় ক্যাপ আর মুখে শ্লোগান। নেতাকর্মীদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আশপাশের সড়ক। নোয়াখালী জেলা যুবদলে কর্মী মুরাদ আহমেদ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা আগামী দিনে ভোটের মাধ্যমে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামীতে যেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে জন্য দলের প্রস্তুতি হিসেবে কোনো ধরনের নির্দেশনা আসে তা শোনার জন্য এসেছি। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাৎ হোসেন। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক মো. এরশাদুল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ। এর আগে, গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী রোডে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি। এতে সাম্প্রতিক বিষয়ে নিয়ে করণীয় ঠিক করতে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। শনিবার (১০ মে) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাত ৯টায় বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শায়রুল কবির খান আরও বলেন, বৈঠকের নির্দিষ্ট এজেন্ডা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে সাম্প্রতিক বিষয়ে নিয়ে তো আলোচনা হবেই।

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা ও শামিলা রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন ডা. জুবাইদা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) ও সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী)। শনিবার (১০ মে) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তারা সরাসরি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় চলে যান।

জেডআরএফ’র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হলেন অধ্যাপক মোর্শেদ

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হয়েছেন সংগঠনের ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। শুক্রবার জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জেডআরএফের গভর্নিং বডি (বোর্ড অফ ডাইরেক্টরস), মনিটর, কো-অর্ডিনেটররহ সকল সদস্যদের জানানো যাচ্ছে যে, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ব্যক্তিগত প্রযোজনে শুক্রবার কানাডা গেছেন। এই সময় ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য। দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সব সমস্যার সমাধান নয় : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়। সমস্যা মনমানসিকতার। পাকিস্তান সৃষ্টির মূল কারিগর ছিল মুসলিম লীগ। আজকে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। জাসদও বড়দল ছিল। তারা আজ কয়েক ভাগে বিভক্ত। ভাসানী-কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন ইউপিপিও বিলীন হয়ে গেছে। জনগণের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তারা এমনিতেই বিলীন হয়ে যায়। শনিবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোট কর্তৃক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণই ঠিক করে কারা গ্রহণযোগ্য বা কারা জনগণ কর্তৃক নিষিদ্ধ। আজকে আওয়ামী লীগকে যারা নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছেন, কয়েকদিন পর তারাই যে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে চাইবে না তার গ্যারান্টি কী? মানুষ যদি মনে করে আওয়ামী লীগ দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য বিষ, তাহলে জনগণই তাদের নিষিদ্ধ করে দেবে। তিনি আরও বলেন, জামায়াত এখনও নিষিদ্ধ দল। এখনও তারা নিবন্ধন ফিরে পায়নি। তারপরও তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এই জামায়াত কীভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিল? আজকে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কলকাঠি কারা নাড়াচ্ছেন? যারা এ দেশে ১/১১ এনেছিল তারাই অদৃশ্যভাবে এ সরকার চালাচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, হামিদ চলে গেলেন। রাষ্ট্রের দুইবার প্রেসিডেন্ট। কোনো সংস্থা জানে না তিনি যাচ্ছেন। যখন ইমিগ্রেশন ক্রস করলেন সরকার তা জানে না, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। সরকারের সম্মতি ছাড়া তিনি বাইরে যেতে পারেন না। আসলে সরকার কয়টা? আছে ইউনূস সরকার, ছাত্রদের সরকার..। তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই, এটি আমরা সরকারের কাছ থেকে শুনতে চাই। আপনারা বিদেশ থেকে এনে কাউকে কাউকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বও দিয়েছেন। যে মানুষটি বিদেশে বসেও দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন আজকে তার স্বদেশ ফিরতে বাধা কোথায়, জাতি তা জানতে চায়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ইমরুল কায়েস, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, পিএনপি চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন প্রমুখ।

ষড়যন্ত্র করে থামানো যাবে না, আ.লীগ নিষিদ্ধ করতেই হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১০ মে) বেলা ১১টার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘আপনি আমাদের যেকোনও বাইনারিতে ফেলে ভাগ করতে পারেন। এসব ভাগ করে, ষড়যন্ত্র করে, ট্যাগিং দিয়ে— আমাদের থামাতে পারবেন না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।’ এর আগে তিনি আরেকটি পোস্টে এনসিপির কর্মসূচির বিষয়ে উল্লেখ করেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘তিন দফা দাবিতে বিকাল ৩টা থেকে শাহবাগে ছাত্র-জনতার গণ-জমায়েত। সারা দেশের জুলাই স্পটে ছাত্র-জনতার গণ-অবস্থান।’ গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে অবরোধ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি। শাহবাগ মোড় থেকে সড়কগুলো বন্ধ থাকলেও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলোকে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত থেকে এই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এই দাবি নিয়ে অবস্থান নেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এনসিপির পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। সকালে জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কয়েকটি দল এতে যোগ দেয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঘোষণা দেন, জুমার পর যমুনার পূর্ব পাশে বড় জমায়েত ও বিক্ষোভ চলবে। ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলের নেতারাও এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন। পাঁচটি পিকআপ ভ্যান জোড়ায় মঞ্চ তৈরি হয়। জুমার পর সেখানে বড় জমায়েত হয় এবং শেষে হাসনাত শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। বিকাল ৪টার দিকে যমুনার সামনে থেকে মিছিল নিয়ে এসে শাহাবাগ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে সারা রাত অবস্থান করেন। তবে মধ্যরাতের দিকে সড়কে অবস্থানকারীদের সংখ্যা কমে আসে। পরে কয়েক ঘণ্টার জন্য কর্মসূচির বিরতি নিলেও রাস্তায় থাকেন অনেকেই। শনিবার (১০ মে) সকাল থেকে শাহবাগে আবারও জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সারা দেশের জুলাই অভ্যুত্থানের স্থানগুলোতেও গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এদিকে আজ ভোরের দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ঢাকার শাহবাগ ছাড়া সারা দেশের মহাসড়কগুলোতে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ঢাকার শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারা দেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না। ব্লকেড খুলে দিন।’ গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তিনটি দাবি সম্বলিত একটি পোস্ট করেন। দাবিগুলো হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা। পরে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্যান্য নেতারাও একই পোস্ট শেয়ার করেন। নাহিদ ইসলাম আরও একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।’

শাহবাগ ছাড়া অন্য কোনো হাইওয়েতে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান হাসনাতের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় ছাড়া দেশের অন্য কোনো হাইওয়ে এমনকি রাজধানীর অন্য কোনো সড়ক বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। শনিবার (১০ মে) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি সারা দেশে সবাইকে গণজমায়েত ও সমাবেশ করার জন্য বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারা দেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দিবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না। ব্লকেড খুলে দিন।’ একইসঙ্গে তিনি তিন দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বিকেল ৩টা থেকে শাহবাগে ছাত্র-জনতার গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সারা দেশের জুলাই-স্পটগুলোতে ছাত্র-জনতার গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। ছাত্র-জনতার এই তিন দফা দাবিগুলো হলো — ১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।৩. জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

‘বেগম জিয়া, শাহবাগ ও বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়’

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে উত্তাল রাজধানীর শাহবাগ। সেখানে ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’সহ নানা স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৭টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।’ ফেসবুকে দেওয়া আরেকটি পোস্টে হাদি বলেন, ‘যেই শাহবাগে ফ্যাসিবাদের উত্থান, সেই শাহবাগেই তার কবর রচিত হবে। ইনশাআল্লাহ্।’ এদিন বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পার্শ্ববর্তী সড়ক থেকে সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই অবরোধে যেন ফিরে এসেছে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ের উত্তাল দিনগুলো, যা ‘জুলাই আন্দোলন’ নামে পরিচিত।

আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’ : নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’র মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার (৯ মে) চলমান ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্যেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা ফেসবুক পোস্টে বলেন, শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে। নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, জুলাই বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, ইসলাম বিরোধী, নারী বিরোধী, মানবতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থি সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই। ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন হয়েছিল। ৮ মে রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার দুপুরেও এনসিপির নেতাকর্মীরা যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে শুক্রবার বিকেলে থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজধানীর শাহবাগ মোড়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলছে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হবে না: আমিনুল হক

বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই দলীয়করণ করা হয়েছে। তবে এই দলীয়করণে দৃশ্যমান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর পতেঙ্গা মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি প্রাইস মানি ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দল বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ থেকে মুক্ত রাখা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হবে দেশের সর্বসাধারণের। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা অনেক অযোগ্য লোককে দলীয়করণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিল। যার কারণে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারের সঙ্গে আঁতাত করে একটি মহল ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করেছে। এখন দেখা যায় তারাও বহাল তবিয়তে রয়েছে। অতি দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় না আনলে, স্বৈরাচারী কায়দায় তারা আবারও স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনবে এবং দেশকে আবারো ধ্বংস করে দেবে। এর আগে সকালে রাজধানীর পল্লবী ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ১ম লাইট হাউস কারাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিনুল হক।

চাঁদাবাজি করে দেশকে অশান্ত করে তুলেছে বিএনপি: চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বিএনপিকে উদ্দেশ্য বলেন, হাজার হাজার মায়ের কোল খালি হলো, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? সংস্কার যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো সংস্কার না হতেই স্লোগান শুধু নির্বাচন আর নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে আপনারা কী করেছেন? আমরা দেখছি আপনারা সারা দেশে চাঁদাবাজি করে অশান্ত করে তুলেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথায় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আপনারা ঘাট দখল করেছেন, স্টেশন দখল করেছেন, মামলা বাণিজ্য শুরু করেছেন। আপনারা আগে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন, তারপর নির্বাচন চান। ক্ষমতায় গেলে আপনারা কী করবেন; তা বাংলাদেশের মানুষের জানা হয়ে গেছে। নতুনভাবে আর দেখতে চাই না। চরমোনাই পীর বলেন, বিএনপিকে আমি বলবো- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের বিচারের দাবিতে এবং সংস্কারের দাবিতে আগে আপনারা একমত হোন। সমস্ত রাজনৈতিক দলসহ সকল ধর্ম-বর্ণ সকল পেশার মানুষকে আমি বলবো- দেশকে সুন্দরভাবে গঠন করার জন্য আমরা একত্র হয়ে কাজ করব। গণসমাবেশে আ ন ম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আব্দুলাহ আজাদ, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ নুরুন নাবী প্রমুখ।

সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইছে : তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকার নানা ইস্যু সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর ক্ষেত্র হয়তো তৈরি করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়িতে বার্ক অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান ফোরামের উদ্যোগে ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, অভিযোগ উঠেছে- সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে। অন্যদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে নানা ইস্যু সৃষ্টি করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ফাটল ধরানোর একটা ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে। পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদেরও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রও হয়তো তৈরি করতে চাইছে। এই বিষয়গুলো ঘুরেফিরে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন র‌্যাব সদস্যরা ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে গুম করে। আজ পর্যন্ত আমাদের এই সহকর্মীর হদিস আমরা পাইনি। স্বৈরাচারের শাসনকালে শুধু একজন সুমন নয়, ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে এ রকম অসংখ্য সুমনদের গুম, খুন ও অপহরণ করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে পলাতক স্বৈরাচারের সময় গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গুম হওয়া সুমনের বোনের নেতৃত্বে ২০১৪ সালে গঠিত হয়েছিল সামাজিক একটি সংগঠন ‘মায়ের ডাক'। অত্যন্ত আশ্চর্য এবং উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গুম হওয়া সুমনকে ধরার জন্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সুমনের বোনের বাসায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। তিনি বলেন, এখন প্রশাসন বলছে, তারা নাকি সুমন সম্পর্কে জানতো না। তর্কের খাতিরে আমরা ধরে নিলাম যে, প্রশাসন সুমন সম্পর্কে জানতো না। কিন্তু এই যে পলাতক স্বৈরাচারের সময়ের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি (আবদুল হামিদ) বিমানবন্দর দিয়ে চলে গেছেন দেশ ছেড়ে। এর আগে ৫ আগস্ট একইভাবে আরেকজন দেশ ছেড়ে পালিছেন। এবার সাবেক ওই রাষ্ট্রপতিও অনেকটা একই কায়দায় পালিয়ে গেছেন। কিন্তু বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার তার এই দেশত্যাগের ব্যাপারে কিছুই জানে না! প্রত্যেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানেটা কী? তারেক রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্রে সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়া না হওয়ার ওপর দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা কিন্তু নির্ভর করে না। দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকলে কথিত সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু, অর্থাৎ আপনি কিংবা আমি-আমরা কেউ নিরাপদ নই। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও নিরাপদ নয়। রাষ্ট্রে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনই নিশ্চয়তা দিতে পারে নাগরিকদের নিরাপত্তা। দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করার অন্যতম পূর্ব শর্ত হচ্ছে, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই দেশ জনগণের। এ সময় তিনি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তারেক রহমান বলেন, জনগণের ভোটে তাদের কাছে দায়বদ্ধ একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি এখনও তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। তবে বিভিন্ন কারণে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছে কি-না, এ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জন গমেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ: হাসনাত আবদুল্লাহ

গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলন করছেন ছাত্র-জনতা। সেখানে সমাবেশ থেকে একই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এই ঘোষণা দেন। পরে তিনি ছাত্র-জনতাকে নিয়ে শাহবাগের দিকে রওয়ানা দেন।হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকার) কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।হাসনাত বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এই ভূখণ্ড থেকে নির্ধারিত হবে। বিদেশি কারো ইশারায় হবে না।জুলাই আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমাদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগের মতো ভাইরাস নিয়ে আর একদিনও বাংলাদেশে থাকতে চাই না আমরা।হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমি শুনলাম, প্রধান উপদেষ্টা নাকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছেন। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসলে রাজনীতি করতে পারবে কি না এসব ব্যাপারে মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ জুলাই আন্দোলনের সব আহত-নিহতের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে।এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পৌনে ৩টায় পূর্বঘোষিত সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সবাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং করে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

অনলাইনে শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং করে অরাজকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (৯ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহিনুল ইসলাম। ভার্চুয়াল বৈঠকে নাশকতার পরিকল্পনা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার অনলাইনে যুক্ত হয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বৈঠকে কুমিল্লা সদরের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এই বৈঠকে কুমিল্লাজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিমকে। বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্যদেরকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণই রাস্তায় নামবে: ফারুক

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণই রাস্তায় নামবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। শুক্রবার (৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন হবে না, জনগণই রাস্তায় নামবে। তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, অন্যথায় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা শুধু সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পায়। সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের জনগণ আর মেনে নেবে না। নির্বাচনের জন্য এখনই সংস্কার প্রয়োজন। প্রতিবাদী যুব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, মাওলানা নেসারুল হক, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মির আমির হোসেন আমু, মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও মফিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।