
বাংলাদেশে জনগণকে ধর্মের জোরে প্রভাবিত করে রাজনীতি করার যুগ শেষ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, একাত্তরের চেতনার নামে যারা রাজনৈতিক ব্যবসা করার চেষ্টা করেছে, তারা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, একাত্তরের তাৎপর্য কখনও দলীয় স্বার্থের জন্য ব্যবহার করা উচিত হয়নি। আওয়ামী লীগের ‘হত্যাযজ্ঞ ও দুর্নীতির ইতিহাস’ জাতি ভুলে যেতে পারবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আবেগের ভিত্তিতে নয়, সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা নিয়ে এগোবে। সালাহউদ্দিনের দাবি, ২০২৪ সালের আন্দোলন শুধু ৩৬ দিনের ফল নয়, বরং সাড়ে ১৫ বছরের সংগ্রহীত প্রচেষ্টার ফলাফল।
নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা নিয়ে অনেকের প্রথমে দ্বিধা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবাই স্বাগত জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ৩১ দফা তিনি জাতির ‘মুক্তির সনদের নির্যাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের সহযোগীদের সঙ্গে প্রণীত এই ৩১ দফা এখন বাংলাদেশের ‘মহাকাব্যে’ পরিণত হয়েছে।
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, অনেকেই অতীতের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ভুলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভোটের আকাঙ্ক্ষায় একটি দল তাদের বিতর্কিত অতীত নিয়ে মুখ খোলে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, রক্তস্নাত ইতিহাস, দুর্নীতি এবং অতীতে ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা’-এর ঘটনাগুলো যেন জাতি ভুলে না যায়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শ্বেতপত্রে উল্লিখিত ২৯ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং দেশের ‘কবর রচনা’ করেছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, যাদের ইতিহাস সবসময় দেশের স্বার্থের বিরোধী - ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল; তাদের ভূমিকার কথাও উদঘাটন করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ এখন সচেতন; তাদের কাছে ‘ধর্মের বড়ি’ আর বিক্রি করা সম্ভব নয়।