
দেশের এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিম সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, সতর্কতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিচালনা করছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শাহাবউদ্দ্দিন তালুকদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় কয়েকটি জটিলতা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি। এ কারণে প্রথমে তাকে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ও বাইপ্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফুসফুসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে বিশ্রাম দিতে তাকে ইলেক্টিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে ভুগছেন। এছাড়া উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা, নিয়মিত ডায়ালাইসিস, এবং রক্ত ও রক্তের বিভিন্ন উপাদান ট্রান্সফিউশন প্রদান করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, জ্বর না কমার কারণে এবং ইকোকার্ডিওগ্রাফিতে ধমনীর ভালভে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা ‘ইনফেক্টিভ এন্ডোকার্ডাইটিস’ শনাক্ত করেছেন। এরপর দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার প্রতিদিনের শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া চিকিৎসা সংক্রান্ত অনুমান বা যাচাইবিহীন তথ্য প্রচার না করার জন্য গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।