
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে ১২৫ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে দলের মনোনীত প্রাথমিক তালিকায় স্থান পাননি জুলাই আন্দোলনের আইকনিক স্যালুট দিয়ে পরিচিত রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন। ফলে ঢাকা-৮ আসনে তিনি এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন না।
মনোনয়ন না পাওয়ায় সুজনের হতাশা ও আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে দল আমাকে কিছুই জানায় নাই। হারা–জেতা আছেই। আমাকে নমিনেশন দেয় নাই, আমি প্রচারণায় নামব না। আর যদি দিত, তাহলে নামতাম।”
সুজন আরও বলেন, “এলাকার সাধারণ গরিব মানুষেরা আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চেয়েছিল। ছোট থেকেই মানুষ বড় হয়। যারা দিন আনে দিন খায়, তারাই এই সুজনকে চাইছিল। গত ১২ বছর গরিবরা কিছু পায়নি, বঞ্চিত হয়েছে, তাই ওরাই আমাকে চাইছিল।”
তিনি মন্তব্য করেন, “ঢাকা-৮ আসনে জুলাই যোদ্ধাদের তিনজন প্রার্থী হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এতে ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমি গরিব মানুষ, গরিবের কষ্ট বুঝি। আশা ছিল সংসদে গিয়ে গরিব মানুষের এমপি হবো। মানুষ এখনো আমাকে বলে গরিবের এমপি।”
সুজন বলেন, তার অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনো দাবি বা আকাঙ্ক্ষা নেই। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে আগে গুরুত্ব দিতে হবে। “৫ আগস্ট আমরা রাজনৈতিক পরিবর্তন করেছি। জনগণ যা চায়, তা আগে দিতে হবে।”
পেশাগত জীবনের কষ্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি নগর ভবনে মাস্টার রোলে কাজ করি। চাকরি করলে টাকা, না করলে টাকা নাই। রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু চাইলে আবার চালাতেও পারি। মাঝে মাঝে এখনো রিকশা চালাই।”
এর আগে, ২০ নভেম্বর তিনি ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। ফরম সংগ্রহের সময় সুজন বলেন, “আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিকশা চালাই। ওখানেই আন্দোলনের সময় পরিচিতি পাইছি। তাই আমি এই আসন থেকেই নির্বাচন করতে চাই। আমি নিজেই এই আসনটা বাইছা নিছি।”
ফরম সংগ্রহের সময় তার হাতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা ফরম তুলে দেন।