
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা গেছেন। তিনি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এই মৃত্যুকে ‘নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সংগঠনটি এক যৌথ বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত দোষীদের বিচারের দাবি তোলে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে ৭ ডিসেম্বর ছাত্রাবাসে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত বিরোধ ও মাদকসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের কারণে হলের পরিবেশ অস্থির ছিল। ওই সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আক্রান্ত হন, এবং আহতদের মধ্যেই ছিলেন সাকিব, যিনি আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ছাত্রশিবির নেতারা ঘটনাটিকে ‘অমানবিক ও নিন্দনীয়’ বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নিহত হওয়া কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি ছাত্রদলের সন্ত্রাসী রাজনীতির ধারাবাহিকতা। ছাত্রাবাসে আধিপত্য বিস্তার, মাদকসেবন ও সহিংসতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ব্যর্থতাও স্পষ্ট।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রদল শিক্ষাঙ্গনে ভয় ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করেছে। পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে তা আড়ালে থাকলেও অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এ প্রবণতা আরও বেড়েছে।
নেতারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা নিহত সাকিবের প্রতি গভীর শোক এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।